সোমবার, ২০ মার্চ ২০২৩, ০৬:৪৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম
সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন খুলনা মহানগর শাখার সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত রামপালে যথাযোগ্য মর্যাদায় বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন শরণখোলায় বিআরডিবির নবনির্বাচিত পরিষদের শপথ ও দায়িত্ব গ্রহন শরণখোলায় দিনব্যাপী উদ্যোক্তা সমাবেশ ও প্রদর্শনী মেলা অনুষ্ঠিত শরণখোলায় শ্রেণীকক্ষ থেকে ২০০ এ্যান্ড্রয়েড ফোন উদ্ধার! মোরেলগঞ্জে নিখোঁজ ড্রেজার শ্রমিকের লাশ উদ্ধার মোরেলগঞ্জে খালে পড়ে ড্রেজার শ্রমিক নিখোঁজ চুরি হয়েছিল গর্ভবতী গাভি, ৫ মাস পর বাছুরসহ ফেরত দিলো চোর! মোরেলগঞ্জে স্কুল শিক্ষিকার বসতঘর পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা মোরেলগঞ্জে সরকারি রাস্তা কেটে ৫ বছর ধরে ঘেরে পানি তুলছেন প্রভাবশালী

মুনাফায় হুয়াওয়ে, বাংলাদেশে মনোযোগ ডিজিটাল পাওয়ার-ক্লাউডে

  • Update Time : সোমবার, ৪ এপ্রিল, ২০২২
মুনাফায় হুয়াওয়ে, বাংলাদেশে মনোযোগ ডিজিটাল পাওয়ার-ক্লাউডে

টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : হুয়াওয়ে ২০২১ সালে আয় করেছে প্রায় ১০০ বিলিয়ন ডলার, টাকায় যা ৮ দশমিক ৬৫ ট্রিলিয়ন । এই আয়ে বিশ্বখ্যাত কোম্পানিটির নিট মুনাফা ১৭ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার, টাকায় যা ১ দশমিক ৫৪ ট্রিলিয়ন।

বছরটিতে হুয়াওয়ের মুনাফা বেড়েছে ৭৫ দশমিক ৯ শতাংশ।

প্রতিষ্ঠানটি ২০২১ সালে রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টে খরচ করেছে প্রায় ২ ট্রিলিয়ন টাকা বা ২২ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার । এটি প্রতিষ্ঠানটির মোট রাজস্বের ২২দশমিক ৪ শতাংশ। এ খাতে গত ১০ বছরেরও বেশি সময়ে প্রতিষ্ঠানটি ১১ দশমিক ৪৮ ট্রিলিয়ন টাকা বা ১৩২ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে।

Techshohor Youtube

২০২১ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন উন্মোচন উপলক্ষে সম্প্রতি ঢাকায় এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে হুয়াওয়ে। বৈশ্বিক প্রতিবেদন উম্মোচনের সঙ্গে সঙ্গে হুয়াওয়ে বাংলাদেশের কর্মকর্তারাও ওই অনুষ্ঠানে বিস্তারিত তুলে ধরেন ।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্যান জুনফ্যাং, বাংলাদেশ বোর্ড অব ডিরেক্টর জেসন লিজংশেং, চিফ টেকনিক্যাল অফিসার কেভিন স্যু, পাবলিক অ্যাফেয়ারস অ্যান্ড কমিউনিকেশন্স ডিরেক্টর ইউয়িং কার্ল।

প্যান জুনফ্যাং বলেন, সামনে ডিজিটাল পাওয়ার ও ক্লাউডে নিবিড়ভাবে কাজ করে যেতে চায় হুয়াওয়ে। এজন্য সামনের দিনগুলোতেও রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট খাতে প্রতিষ্ঠানটি ধারাবাহিকভাবে তাদের বিনিয়োগ বাড়ানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।

সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনায় প্যান জুনফ্যাং ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নযাত্রায় হুয়াওয়ের বিভিন্ন অংশগ্রহণের কথা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, ‘গত ২৩ বছর থেকে হুয়াওয়ে বাংলাদেশে বাংলাদেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এই সময়ে বাংলাদেশ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে অনেক এগিয়েছে এবং এতে সক্রিয় অংশীদার হিসেবে তারা আনন্দিত। বাংলাদেশের সামনে যে অমিত সম্ভাবনা সেক্ষেত্রে ইনোভেশন, লোকালাইজেশন ও কলাবোরশনের মাধ্যমে কাজ করে যেতে চায় তারা।’

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, হুয়াওয়ে ইতোমধ্যে ক্লাউড সার্ভিসে সারাবিশ্বে পঞ্চম এবং চীনে তৃতীয় অবস্থান অর্জন করেছে। পাশাপাশি ডিজিটাল পাওয়ার সেক্টরে কাজ করে যাচ্ছে হুয়াওয়ে। বাংলাদেশের ময়মনসিংহ সোলার প্লান্টে হুয়াওয়ের স্মার্ট ফটোভোলটিক সল্যুশন ব্যবহার করা হয়েছে। এই বছর বাংলাদেশে এই খাতগুলোর আরও বেশি সহযোগী হয়ে উঠতে চায় হুয়াওয়ে।

অন্যদিকে বাংলাদেশের আইসিটি ট্যালেন্ট তৈরিতে বেশ অনেকগুলো বছর থেকে কাজ করে যাচ্ছে হুয়াওয়ে। ২০২১ সালে বাংলাদেশ আইসিটি ডিভিশনের সাথে যৌথভাবে ‘বাংলাদেশ আইসিটি স্কিলস কম্পিটিশন’ নামে একটি নতুন প্রোগ্রাম চালু করে হুয়াওয়ে বাংলাদেশ।

অনুষ্ঠানে জেসন লিজংশেং বলেন, ‘তথ্য-প্রযুক্তিনির্ভর ভবিষ্যত পৃথিবীতে দক্ষ তরুণদের অনেক প্রয়োজন তৈরি হবে। বাংলাদেশের এক দারুণ শক্তি এই দেশের তরুণ। তারা চায় এদেশের তরুণরা বিশ্ববাজারে নিজদের জায়গা করে নেবে এবং নিজেদের দক্ষতা, দারুণ সব আইডিয়া দিয়ে বাংলাদশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

‘তাই হুয়াওয়ে গত অনেকগুলো বছর থেকেই এদেশের তরুণদের আইসিটি খাতে দক্ষ করে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে। আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে তারা দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় এক লঅখ তরুণদের আইসিটিতে দক্ষ করে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছে, যেখানে বাংলাদেশ থেকে অনেক তরুণ অংশ নিতে পারবে। এবছর বাংলাদেশ থেকে ছয় হাজাররেও বেশি তরুণ এই সুযোগ পাবে’ বলছিলেন তিনি।

বার্ষিক প্রতিবেদন নিয়ে হুয়াওয়ের সিএফও মেং ওয়ানঝৌউ বলেন, ২০২১ সালে আয় হ্রাস পাওয়া সত্ত্বেও তাদের মুনাফা করার সক্ষমতা ও নগদ অর্থের প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সক্ষমতা বেড়েছে।

‘প্রতিষ্ঠানটির প্রধান ব্যবসাগুলো এ মুনাফা বৃদ্ধির মাধ্যমে ২০২১ সালে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে নগদ অর্থের প্রবাহ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর দায় অনুপাতও ৫৭ দশমিক ৮ শতাংশ কমেছে। পাশাপাশি এর সামগ্রিক আর্থিক কাঠামো আরও স্থিতিশীল হয়েছে।’ উল্লেখ করেন তিনি।  

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২০২১ সালে হুয়াওয়ের ক্যারিয়ার বিজনেসে ৩ দশমিক ২৮ ট্রিলিয়ন টাকা ৪৪ বা ১৯ বিলিয়ন ডলার আয় হয়েছে । তারা সারা বিশ্বজুড়ে ক্যারিয়ার প্রতিষ্ঠানগুলোকে নেতৃস্থানীয় ফাইভজি নেটওয়ার্ক স্থাপনে সহায়তা করেছে।

‘তৃতীয় পক্ষের এক পরীক্ষার ফলাফলে দেখা গেছে, সুইজারল্যান্ড, জার্মানি, ফিনল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, দক্ষিণ কোরিয়া ও সৌদি আরবসহ ১৩ দেশের গ্রাহকদের জন্য হুয়াওয়ে নির্মিত ফাইভজি নেটওয়ার্কগুলো ব্যবহারকারীদের উন্নত অভিজ্ঞতা প্রদান করতে সক্ষম হয়েছে’ উল্লেখ করা হয় অনুষ্ঠানে ।

হুয়াওয়ে বলছে, ক্যারিয়ার এবং অংশীদারদের সাথে কাজ করার মাধ্যমে তারা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইভজি অ্যাপ্লিকেশনের জন্য ৩০০০ এর বেশি বাণিজ্যিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই ধরনের ফাইভজি অ্যাপ্লিকেশনগুলো বর্তমানে উৎপাদন, খনি, লোহা ও ইস্পাত প্ল্যান্ট, বন্দর এবং হাসপাতালের মতো খাতগুলোতে বড় আকারের বাণিজ্যিক ব্যবহার করেছে।

ডিজিটাল রূপান্তরের প্রবণতা অব্যাহত রাখার জন্য হুয়াওয়ের এন্টারপ্রাইজ ব্যবসাও দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে । ২০২১ সালে হুয়াওয়ে সরকার, পরিবহন, অর্থ, শক্তি এবং উৎপাদনের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতের জন্য ১১টি সিনারিও-বেজড সল্যুশন চালু করেছে।

প্রতিষ্ঠানটি একটি কোলমাইন টিম, স্মার্টরোড টিম এবং একটি কাস্টমস ও পোর্ট টিমসহ একাধিক গ্রুপ তৈরি করেছে, যাতে প্রতিষ্ঠানগুলো একত্রিত হয়ে আরও দক্ষতার সাথে গ্রাহকদের চাহিদা পূরণ করতে পারে । ৭ শতাধিক শহর এবং ২৬৭টি ফরচুন গ্লোবাল ৫০০ কোম্পানি তাদের ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন পার্টনার হিসেবে হুয়াওয়েকে বেছে নিয়েছে এবং হুয়াওয়ে এখন সারা বিশ্বে ছয় হাজারেরও বেশি পরিষেবা এবং অপারেশন পার্টনারদের সাথে কাজ করছে।

হুয়াওয়ে তাদের প্রতিবেদনে বলছে, কনজ্যুমার বিজনেস গ্রাহকদের চাহিদা এবং প্রয়োজনকে প্রাধান্য দিয়ে প্রতিষ্ঠানটির সিমলেস এআই লাইফ কৌশলের অংশ হিসেবে বিশ্বব্যাপী গ্রাহকদের জন্য একটি স্মার্ট, অল-কানেক্টেড এরা নিশ্চিতে গ্লোবাল ইকোসিস্টেম তৈরিতে কাজ করেছে তারা।

হুয়াওয়ের এই ব্যবসা ২০২১ সালে ৩ দশমিক ৩০ ট্রিলিয়ন টাকা বা ৩৮ দশমিক ২১ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে এবং স্মার্ট ওয়্যারেবলস, স্মার্ট স্ক্রিন, ট্রু ওয়্যারলেস স্টেরিও (টিডব্লিউএস) ইয়ারবাড এবং হুয়াওয়ের মোবাইল সার্ভিসেস (এইচএমএস)-এর বিক্রি বেড়েছে। বিশেষ করে স্মার্ট ওয়্যারেবলস এবং স্মার্ট স্ক্রিন দু’টি ক্ষেত্রেই বছরে ৩০ শতাংশের ও বেশি বৃদ্ধি হয়েছে। সব মিলিয়ে ২০২১ সাল পর্যন্ত ২২০ মিলিয়নেরও বেশি হুয়াওয়ে ডিভাইসে হারমনি ওস ব্যবহৃত হয়েছে, যা বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল মোবাইল ডিভাইস অপারেটিং সিস্টেম হয়ে উঠেছে।




Source by [author_name]

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Recent Posts

© 2022 sundarbon24.com|| All rights reserved.
Designer:Shimul Hossain
themesba-lates1749691102