সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩, ১২:৫৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম

ওয়াসার এমডিকে ২০২৩ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার দেয়ার দাবি

  • Update Time : মঙ্গলবার, ৫ এপ্রিল, ২০২২
ওয়াসার এমডিকে ২০২৩ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার দেয়ার দাবি

‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদক। ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর ২৬শে মার্চ এই পদক প্রদান করা হয়ে আসছে। এই পুরস্কার বিভিন্ন ক্ষেত্রে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশের নাগরিক এমন ব্যক্তি বা গোষ্ঠিকে প্রদান করা হয়ে থাকে। এছাড়াও ব্যক্তির পাশাপাশি জাতীয় জীবনের নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে অনন্য উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য প্রতিষ্ঠানসমূহকেও এই পুরস্কার প্রদান করা হয়ে থাকে।

আনন্দের ব্যাপার এই যে, আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে তাকসিম এ খানকে চিকিৎসায় স্বাধীনতা পুরস্কার দেয়ার দাবি তুলেছে একটি মহল। ‘ঠিক কোন কারণে এমন দাবি?’—জানতে চাইলে উক্ত মহল জানান, ওয়াসার পানির এক্সট্রা অর্ডিনারি ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে বিভিন্ন ফ্লেভার যুক্ত করার জন্যই তাঁকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেয়া উচিত।

এমন দাবির সাথে একাত্বতা প্রকাশ করে বেশ আবেগাপ্লুতও হয়েছেন ঢাকাবাসী। জুরাইনের মিজানুর রহমান (৪৯) নামের এক ভদ্রলোক বলেন, ‘তাকসিম এ খানের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। মাঝেমাঝে ওয়াসার পানিকে বেহেশতের শরাব মনে হয়, আর ঢাকা যেন জঞ্জালময় পৃথিবীর বুকে এক টুকরো বেহেশত। এর  বেশিরভাগ কৃতিত্বই কিন্তু তাকসিম স্যারের। জানি না বললে বিশ্বাস করবেন কি না, একই পানি থেকে বিভিন্ন ঘ্রাণ পাই। কখনও আঙুরের, কখনও কমলার, কখনও হালুয়ার, আবার কখনও গোশতের। প্রথমে ভাবতাম এ হয়তো আমাদেরই ভুল। তাই একবার স্যারকে এই পানি খাওয়াতে গিয়েছিলাম, স্যার শরবত ভেবে পানিটুকু খেয়ে দারুণ তৃপ্তি পেয়েছেন..’

শুধু তাই নয়, এমন খবরে উচ্ছ্বসিত হয়েছেন পানির আবিষ্কারক হেনরি ক্যাভেন্ডিস। eআরকি’র সাথে এক ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘তাকসিম এ খানকে মনে মনে আমি ‘বস’ মানি। যদিও পানি আমি আবিষ্কার করেছি, কিন্তু তিনি পানিকে নিয়ে গেছেন অন্য মাত্রায়। হোয়াট আ জিনিয়াস ম্যান হি ইজ! তবে দুঃখের ব্যাপার যা শুনেছি, উনার বেতন মাত্র ছয় লাখ টাকা। অর্জনের তুলনায় এ অর্থমূল্য নিতান্তই সামান্য। মাসে মাসে তার বেতন দু’লাখ করে বৃদ্ধি পাওয়া উচিত। অবশ্য যোগ্য লোককে জীবিত অবস্থায় কখনোই মানুষ মূল্যায়ন করতে পারেনি। তাই আমি মনেপ্রাণে চাই তিনি স্বাধীনতা পুরস্কার পাক।’

হেনরি ক্যাভেন্ডিসের সাথে একমত প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন ভাইরাস ব্যাকটেরিয়ার আবিষ্কারকেরাও। বিশেষ করে ই.কোলাই ব্যাকটেরিয়ার আবিষ্কারক ডা. থিওডর ইস্কেরিক বলেন, ‘তাকসিম ইজ ব্রিলিয়ান্ট। ইদানীং খুব বিপদে থাকি। আমার আবিষ্কার করা ব্যাকটেরিয়াকে সবাই মেরে ফেলতে চায়। কতভাবে যে স্টেরিলাইজ করে—না দেখলে বিশ্বাস করতে পারবেন না। মেরেই যদি ফেলে তাহলে এতো কষ্ট করে আবিস্কার করলাম কেন? তাকসিমের কাছে আমি কৃতজ্ঞ আমার আবিষ্কারকে এতদিন ধরে পেলে পুষে বড় করার জন্য। নিখিল বাংলা ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়া সমিতি থেকে তাকসিম এ খানকে প্রাণঢালা ভালোবাসা। ২০০৯ সাল থেকে কেন শুধু, আমি চাই ও ৩০২২ সাল পর্যন্ত ও ক্ষমতায় থাকুক।’

এদিকে ওয়াসার পানির নতুন এক ব্যবহারও খুঁজে পেয়েছে eআরকি। আগে বিয়ের সময় নতুন জামাইয়ের পেট খারাপ করার শ্যালিকারা শরবতের সাথে জামাল গোটা মিশিয়ে খাইয়ে দিতো। এখন আর জামাল গোটা খাওয়ায় না। ওয়াসার পানি খাওয়ালেই যা হওয়ার হয়ে যায়।




Source by [সুন্দরবন]]

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Recent Posts

© 2022 sundarbon24.com|| All rights reserved.
Designer:Shimul Hossain
themesba-lates1749691102