বর্তমান বাজারের নতুন হাইপের নাম মিষ্টি কুমড়া। বাজারে চালু হয়েছে মিষ্টি কুমড়ার নানা রেসিপি। ইফতার,সেহেরি কিংবা রাতের খাবার—কোথাওই পিছিয়ে নেই প্রিয় মিষ্টি কুমড়া। বাংলাদেশী গৃহবধূরা জানিয়েছেন মিষ্টি কুমড়ার ছোলা, জিলাপি, পিঁয়াজী,বেগুনি,চপ, মিষ্টি কুমড়ার কাবাব—কোনো কিছুই বানানোই তারা বাকি রাখছেন না৷ তবুও পরিবারের সদস্যরা আরও মিষ্টি কুমড়া খেতে চান। কোনভাবেই তাদের চাহিদা দমিয়ে রাখা যাচ্ছে না দেখে বেশ বিপাকে আছেন তারা।
তবে মিষ্টি কুমড়া দিয়ে নানা ধরনের আইটেম বেশ ভালো হলেও মিষ্টি কুমড়ার বেগুনি ঠিক জমে উঠছে না৷ একটা মিষ্টি মিষ্টি স্বাদ থেকে যাচ্ছে। এই সমস্যা দূরীকরণের লক্ষ্যে সরকারের ৫০০ জন কর্মকর্তার একটি দল বেলজিয়াম সফরে যাচ্ছেন। সেখানে তারা মিষ্টি কুমড়া দিয়ে বেগুনি বানানো শিখবেন।
দলটির এক সদস্য সমস্যাটি সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে বলেন, ‘মিষ্টি কুমড়া দিয়ে বেগুনি বানালে টেক্সচারটা ঠিক পাওয়া যাচ্ছে না৷ ওয়েল কুকডও হইতেছে না। টিন্ডার ভাবটা আসলেও জুসি ভাবটা একেবারেই অনুপস্থিত। এটা তো বিরাট সমস্যা। আশু সমাধান দরকার। তাই আমরা বেলজিয়াম যাচ্ছি। আশা করছি, ২৫ রোজার মধ্যে অরিজিন্যাল রেসিপি পেয়ে যাবো৷ দেশের মানুষ শেষ ৫দিন প্রাণভরে মিষ্টি কুমড়ার বেগুনি খেতে পারবেন।’
বেগুনি ছাড়াও মিষ্টি কুমড়ার আরও নানাবিধ পদের চাহিদা আছে বলে জানান খালেদা নামে এক গৃহবধূ। তিনি জানান, তার ৩ বছরের ছেলে আগে মিষ্টি কুমড়া দেখলেই দৌড়াইতো। কোনোভাবেই খাওয়ানো যেতো না। ওইদিন টিভিতে কী জানি শুনছে, এখন মিষ্টি কুমড়া ছাড়া ভাত খায় না৷ ওর প্রিয় খাবার এখন মিষ্টি কুমড়ার বেগুনি হইলেও মিষ্টি কুমড়ার সবকিছু তার অত্যন্ত প্রিয়। ইতোমধ্যে হাজার বিশেক রেসিপি বানিয়ে ছেলেকে খাওয়ানোর পর রেসিপি সংকটে পড়েছেন তিনি। সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘মনে হইতেছে কয়দিনের মধ্যে মিষ্টি কুমড়ার ভাতও রান্না করা শিখতে হবে। যত ধরনের রেসিপি পারতাম, সব ট্রাই করা শেষ। নতুন রেসিপি দরকার….আপনেরা যারা বিদেশ যাইতেছেন, দুই একটা নতুন রেসিপিও শিখে আইসেন।’
মিষ্টি কুমড়ার বেগুনি বানানো শিখতে বিদেশে ফ্যামিলি নিয়ে যাওয়া কতটুকু জরুরি এমন প্রশ্নের উত্তরে এক কর্মকর্তা বলেন, ‘কাজটি বাইরে থেকে খুব সহজ মনে হলেও পুরো প্রসেসটাই বেশ জটিল। এসময় ফ্যামিলির দেওয়া মেন্টাল সাপোর্ট খুব জরুরি। মিষ্টি কুমড়ার বেগুনি বানাতে বানাতে যদি মেন্টাল ব্রেকডাউন হয়, ফ্যামিলি আমাকে বাঁচিয়ে রাখবে। তাই ফ্যামিলিকে পাশে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি….’