আল-আমীন দেওয়ান : ভবিষ্যত প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ সামলাতে বেশ কিছু আইন ও নীতিমালা করতে যাচ্ছে সরকার।
ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের তৃতীয় সভায় খাতভিত্তিক এসব বিশেষ আইন ও নীতিমালার বিষয়ে প্রস্তাব তুলেছে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ।
‘ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্স’-এর এই সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রায় সাড়ে ৬ বছর অনুষ্ঠিত হওয়া এই বৈঠকে ডিজিটাল বাংলাদেশের পর ভবিষ্যত বাংলাদেশের রূপরেখা দেন প্রধানমন্ত্রী।
সভায় ভবিষ্যত প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতার সঙ্গে এগিয়ে যেতে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ বেশ কিছু আইন প্রণয়নের প্রস্তাব করেছে বলে টেকশহর ডটকমকে জানিয়েছেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি জানান, ‘ সভায় ডেটা প্রটেকশন অ্যাক্ট, ডিজিটাল সার্ভিস অ্যাক্ট, আইডিয়া অ্যাক্ট এবং শেখ হাসিনা ইন্সটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি আইন প্রণয়নের জন্য প্রস্তুাব দিয়েছি।’
এছাড়া অ্যারোনটিক্যাল স্পেস হরাইজন এজেন্সি বা আকাশ প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে, উল্লেখ করেন তিনি।
পলক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তাবয়নে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ কোথাও বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান, কোথাও সহযোগী ভূমিকা পালন করেছে, কোথাও পরামর্শের ভূমিকা পালন করেছে । আর এভাবেই আমরা ৪১ এর স্মার্ট বাংলাদেশেরও প্রধান সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করতে চাই।’
‘প্রধানমন্ত্রী সেভাবেই সকল মন্ত্রণালয়ের সাথে সমন্বয় করে কাজগুলো করতে বলেছেন । পাশাপাশি এই ডিজিটাল বাংলাদেশের নির্বাহী কমিটির যিনি সভাপতি, প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব এটি সমন্বয় করবেন এবং ওনার সভাপতিত্বে পরবর্তী নির্বাহী কমিটির সভাগুলো করে যে প্রস্তাবগুলো এসেছে, সেগুলো বাস্তবায়নে কাজ করতে বলেছেন’ জানান প্রতিমন্ত্রী।
সভায় প্রধানমন্ত্রী সবার বক্তব্য শুনেছেন এবং দিক নির্দেশনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা জোরদার করার ওপর মনোনিবেশে জোর দিতে বলেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘নতুন প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, উৎকর্ষতা এবং এর বিবর্তনের সাথে সাথে নিরাপত্তার সমস্যাও বাড়বে। আমাদের এখন নিরাপত্তার দিকে আরও বেশি মনোযোগ দিতে হবে। আসলে, প্রযুক্তি যেমন আমাদের জন্য সুযোগ তৈরি করে, এটি সমস্যারও সৃষ্টি করতে পারে। এই দিক থেকে, আমাদের নিরাপত্তা নিয়ে নতুনভাবে ভাবতে হবে । ‘
এর আগে ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের দ্বিতীয় বৈঠক বসেছিলো ২০১৫ সালের ৬ আগস্ট। আর আগে প্রথম বৈঠক হয় ২০১০ সালের ৩ আগস্ট।
আর ২০১০ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক জাতীয় টাস্কফোর্স’ নাম পরিবর্তন করে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্স’ করা হয়।