নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে লক্ষ্য করা যায় কমতে শুরু করেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় সবজীর দাম। সরকারের বাজার মনিটরিং ও তদারকি জোরদারের ফলে দাম কিছুটা কমতে শুরু করেছে। তাতে কিছুটা স্বস্তিতে ফিরেছে নগর বাসি। চাল, ডাল, আটা, ময়দা, তৈল ইত্যাদি পণ্যের দাম নগরীর বিভিন্ন বাজারে স্থিতিশীল রয়েছে।
বাজার সূত্র জানায়, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি যাতে হতে না পারে তাই সরকার বাজার মনিটরিং ও তদারকি জোরদার করেছে। আর তাতে বাজার ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে আসছে। গত এক সপ্তাহ আগে ঝিঙা, বরবটি, করলা, শসা, চিচিঙ্গা, সিমসহ অধিকাংশ সবজির মূল্য ছিল গড়ে ৮০-৯০ টাকা আর এখন বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা করে। নগরীর বিভিন্ন জায়গায় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২২-২৫ টাকা কেজি দরে। পাইকারি বাজারে পেঁয়াজ ও আলু দর ১৭ ও ১৩ টাকা। গত এক সাপ্তাহ আগে বেগুনেরর দাম ছিল ১০০ টাকা কেজি আর এখন বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭৫ টাকা ।
পাইকারি বিক্রেতা মো. জাহাঙ্গীর হোসনের মোল্লা বলেন, ইতোমধ্যে ভারত থেকে বিপুল পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। তাছাড়া দেশি পেঁয়াজের দাম অনেক কমেছে। বাজারে প্রচুর পরিমাণ পেঁয়াজ মজুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন। ফলে, পেঁয়াজের দাম বাড়ার কোন কারণ নাই।
সবজি বিক্রেতা লোকমান হোসেন বলেন, বাজারের নতুন সবজি দাম একটু বেশি হলেও সহনীয় মাত্রায় রয়েছে। সরকার বাজারের মনিটরিং ও তদারকি জোরদার করেছে। তাই ধীরে ধীরে বাজার স্থিতিশীল হচ্ছে। যদি কোন প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয় তালে সবজির দাম আরও কমবে।
তেল, চিনি, চাল, ডালের মুল্য স্থিতিশীল থাকার পাশাপাশি চাল বিআর-২৮ প্রতি কেজি ৪৬ থেকে ৪৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মিনিকেট ও নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকা। চাল বিক্রেতা মিজান বলেন, বৈশাখ মাসে নতুন চাল বাজারে আসলে চালের দাম আরও কমে যাবে।
বাজারে সবজির দাম কমলেও মাছের দাম বেড়েছে। এক কেজি ইলিশের মুল্য ১৪০০-১৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সরকার মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় মাছের বাজার চড়া বললেন ব্যবসায়িরা। বাজারে এখন গরুর মাংসের দাম প্রতি কেজি ৬৮০ টাকা, খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮৫০-৯৫০ টাকা। দেশির মুরগির প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা দরে।