শুক্রবার, ০৯ জুন ২০২৩, ১০:১৮ পূর্বাহ্ন

মুড়ি মাখানোতে জিলাপি মেশানো নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হুলস্থুল সংঘর্ষ

  • Update Time : রবিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২২
মুড়ি মাখানোতে জিলাপি মেশানো নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হুলস্থুল সংঘর্ষ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া—’দ্য ল্যান্ড অব গ্ল্যাডিয়েটরস’ নামে খ্যাত বাংলাদেশের বিশেষ ঐতিহ্যবাহী এক জেলা।

জন্মের পর থেকেই এখানকার শিশুরা মারামারিতে বিশেষ দীক্ষা লাভ করে। বেশ অনেকদিন যাবতই বিজ্ঞানীরা এর কারণ অনুসন্ধান করে আসছেন। তবে সম্প্রতি এক ভুয়া গবেষণায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জন্ম নেওয়া শিশুদের জিনে মিউটেশনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। eআরকিক বিজ্ঞানীরাএই নতুন ক্রোমোজমের নাম দিয়েছেন F ক্রোমোজোম বা ‘ফাইটার ক্রোমোজোম’,যার কারণে তারা জন্ম থেকেই মারামারি করার অদ্ভুত ক্ষমতা নিয়ে আসে।

তবে সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংঘটিত হওয়া সংঘর্ষ এক বিশেষ মাত্রায় পৌঁছে গেছে। গতপরশু শুক্রবার বেলা বারোটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া হাই স্কুলের মাঠে ইফতারে মুড়ি মাখানোতে জিলাপি মেশানো নিয়ে এক তুমুল সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্ষে আহত হয়েছেন প্রায় পঞ্চাশ জন, নিহতের সংখ্যা এখনো জানানো যায়নি।

এ ব্যাপারে হারুন (২৫) নামের এক যুবক eআরকি’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘ছোলামুড়ির সাথে জিলাপি মিশানো আর হালিমের মধ্যে পায়েস মিশানো একই কথা। এইগুলা মানুষের খাবার? গরুকে দিলে গরুও খাবে না এইসব খাবার….’  হারুন মিয়া বেশ শান্তভাবে কথা বললেও রাগ দমিয়ে রাখতে পারেননি তার বাবা শফিউদ্দিন৷

শফিউদ্দিন দূর থেকে চিৎকার করে বলেন, ‘জিলাপি ওগো পু****কি দিয়া ভইরা দে…মুড়ির সাথে জিলাপি মিশায়, হালার পুতেরা….’ এরপরই তিনি অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল শুরু করেন।

তিনি আরো বলেন, ‘মুড়ি মাখানোতে সাথে যখন জিলাপিই খাবি তাহলে এবার একটু ট্যাঁটা বল্লমও খা। এইটা আরো বেশি মজা।’

অপরপক্ষের সাথে কথা বলেও একইরকম সহিংসতার চিত্র দেখা যায়। তাদের দাবি, ইফতারের মুড়ি মাখার সাথে জিলাপি খাওয়া এক প্রাচীন ঐতিহ্য। ব্রাহ্মণবাড়িয়া চিরকালই ঐতিহ্যবাহী,কোনোভাবেই একে হারিয়ে যেতে দেওয়া যাবে না। রাকিব (২৬) নামের এক যুবক এ ব্যাপারে বলেন,‘কুত্তার পেটে ঘি সয় না, এইটা তো সবাই জানি। ওদের কথা আর কি বলবো। যা বুঝার বুইঝা নেন। গ্রাম দুই ভাগ কইরা ফেলবো আমরা। এক ভাগে থাকবে যারা জিলাপি মিশায়ে খাই, মানে আমরা। আর ওইভাগে থাকবে ওরা। গ্রামের মধ্যে এক ব্যারিকেড দিয়ে দিতেছি। পুরা রমজান মাস ওদের চেহারা দেখতে চাইনা। ভুলেও কেউ যদি আমাদের গ্রামের এদিকে পা দেয়, হাত পা ভাইঙ্গা গাছে ঝুলায়া রাখুম…’ এই বলে তিনি তার ডান হাতে থাকা বিশাল লাঠি এবং বাম হাতে থাকা রামদা উঁচু করে দেখান। 

তবে এ ব্যাপারে এক মুরুব্বি বলেছেন,‘এগুলা আমাদের জন্য কিছু না ভাইজান। এতো রিপোর্ট টিপোর্ট করার দরকার নাই। আসলে ছুটির দিনে একটু মারামারি না হইলে আমগোর গা ম্যাজম্যাজ করে, হাত নিশপিশ করে। তাই বুধবার থাইকাই আমরা কিছু না কিছুর প্রস্তুতি নেই। সামনে আবার বুধবার আইতাছে, হে হে হে…’




Source by [সুন্দরবন]]

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Recent Posts

© 2023 sundarbon24.com|| All rights reserved.
Designer:Shimul Hossain
themesba-lates1749691102