দিন দিন গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় দুশ্চিন্তায় সিরাজগঞ্জের গরু চাষি ও খামারিরা। তাই কৃষকরা গো-খাদ্য কমিয়ে দিয়েছে খাবারে ঘাসের পরিমাণ বৃদ্ধি করছেন। এর ফলে কৃষকরা ফসল কম হয় এমন অনাবাদি জমি, বাড়ির আঙ্গিনা, পতিত জায়গা ও সড়কের দুই ধারে ব্যাপকভাবে ঘাস চাষ শুরু করেছেন। অনেকেই গবাদিপশুর জন্য বাড়তি খাবার হিসাবে কাঁচা ঘাস খাওয়াচ্ছেন। এতে দুধ দেওয়া গরুর দুধের পরিমাণ বেঁড়ে গেছে।
জানা যায়, যে সব জমিতে ফসল ভালো হয় না সেই জমিতে কৃষক ঘাস চাষ করছে। বাজারে ঘাস বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন। খামারিরা গো খাদ্যের উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে দিচ্ছে। ঘাসের উপর নির্ভরশীলতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কৃষক মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, ৩-৪ টি গরু সারা বছর লালন পালন করে থাকি। দিন দিন গো খাদ্যের দাম যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে বাধ্য হয়ে ঘাস চাষ করছি। এতে বিগত বছরের মতো গো- খাদ্য ও খড়ের উপর নির্ভর করতে হবে না।
ঘাস ব্যবসায়ী আবু সাইদ বলেন, চাষিদের নিকট থেকে আমি প্রতি আঁটি ৪ থেকে ৫ টাকা দরে পাইকারি কিনছি, তা আবার ১০ টাকা দরে বিক্রি করছি। প্রতিদিন প্রায় ২০০ থেকে ২২০ আঁটি ঘাস বিক্রি করি। দিনে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা লাভ হয়। ঘাসের ব্যবসা করে অনেক ভালোভাবে জীবিকা নির্বাহ করছি।
এ বিষয়ে উপজেলা উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ আজমল হোসেন বলেন, গো-খাদ্যের দাম কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকের পতিত ও অনাবাদি জমিতে উন্নত জাতের ঘাস চাষের জন্য পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা করছে উপজেলা কৃষি অফিস ও মাঠ পর্যায়ের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোর্শেদ উদ্দিন জানান, উপজেলার প্রায় সকল খামারে দুধ দহন ও বিক্রি এর জন্য গরু পালন করা হয়। গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পাওযায় খামারিদের লোকসান হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিকল্প হিসাবে খামারিদের অনাবাদি জমি, পতিত জায়গায় উন্নত জাতের ঘাস চাষ করার জন্য পরামর্শ দিচ্ছি। কাঁচা ঘাস খেলে গরু দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। অল্প দিনে গরু সুঠাম দেহের অধিকারী হয়।