সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার উজ্জল হোসেন শাকসবজি চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। ডিগ্রি পাসের পর চাকরির পেছনে না ছুটে শাকসবজি চাষ শুরু করেন। শাকসবজি চাষে মাসে ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা আয় হয় তার।
জানা যায়, উজ্জল লেখা পড়া যে করে চাকরি না খুঁজে নিজের জমিতে সবজি চাষ করেন। সবজি চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন। সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব, রাসায়নিক সার ও রাসায়নিক বালাইনাশক ছাড়া সবজি আবাদ করছেন তিনি। চলতি মাসে বেগুন চাষে সফলতার মুখ দেখেছেন তিনি। সারা বছরই শাকসবজি চাষে ব্যস্ত থাকতে হয়। শাকসবজি চাষ করে খুব ভালোভাবেই চলছে সংসার। মাসে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার শাকসবজি বিক্রি করে।
উজ্জল হোসেন বলেন, শ্যামনগর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের পরামর্শ ও সহযোগিতায় এবার ৫০ শতক জমিতে বেগুন চাষ করেছি। রাসায়নিক সার ও রাসায়নিক বালাইনাশক ছাড়াই আবাদ করেছি। এতে খরচ কম লাভ বেশি। আমার উৎপাদিত বিভিন্ন শাকসবজি খেতেও সুস্বাদু। পোকামাকড় দমনে ফেরোমন ফাঁদ, আলোর ফাঁদ ও আটা সমৃদ্ধ হলুদ কার্ড ব্যবহার করছি। সেখানে পোকা বসলে মারা যায়।
উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামসুর রহমান বলেন, শিক্ষিত যুবক উজ্জল হোসেনকে আমরা বিভিন্ন পরামর্শ ও সহযোগিতা দিচ্ছি। পোকামাকড় দমনের ক্ষেত্রে ফেরোমন ফাঁদ, ইউলাইস্টেকার ব্যবহার করা হচ্ছে। যেখানে পোকা বসলে মারা যায়। ক্ষেতে রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার করার প্রয়োজন হয় না। সম্পূর্ণ জৈবিক উপায়ে ফসল ফলানো হয়। এতে খরচ কম লাভ বেশি। কৃষকদের জন্য আমাদের সহযোগিতা ও পরামর্শ সবসময় অব্যাহত আছে। উজ্জল হোসেনের সফলতা দেখে এলাকার অনেক শিক্ষিত বেকার যুবকও কৃষিকাজে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। অনেকে তার পরামর্শে শাকসবজি চাষ করেছেন।