দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর উপজেলার দক্ষিণ বাসুদেবপুরের শিবলী নোমান ছাগল পালন করে আজ স্বাবলম্বী। নিজ বসতবাড়ীর পাশে গড়ে তুলেছেন ছাগলের খামার। শখের বসেই ৩ বছর পূর্বে দুটি ছাগল ক্রয় করে লালন পালন করা শুরু করেন।
জানা যায়, বছর তিনেক আগে শখের বসে ২টি ছাগল পালন দিয়ে শুরু করেন। এখন তার খামারে ছাগলের সংখ্যা ১০০। যার বাজার মূল্য প্রায় ১৫ লাখ টাকা। তার খামারে দেশি ছাগলের পাশাপাশি রয়েছে বিদেশি প্রজাতির ছাগল। শিবলীর সফলতা দেখে অনেকেই ছাগলের খামার করতে তার কাছ থেকে পরামর্শ নিচ্ছেন।
শিবলী নোমান জানান, ৩ বছর আগে শখের বসে ১০ হাজার টাকায় ২টি ছাগল কিনে লালন-পালন করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে ছাগল দু’টি ছয়মাস পরপর দুটি করে মোট ৮টি বাচ্ছা দেয়। পরে ওই ছাগল গুলি বিক্রি করে ৪০ হাজার টাকা আয় হয়। এরপর সে সীদ্ধান্ত নেন ছাগলের খামার করবেন। উপজেলা প্রাণী সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরামর্শক্রমে একটি করে যমুনাপাড়ি, তোজাপাড়ি, হরিয়ান ও ব্লাক বেঙ্গল প্রজাতির ছাগল ক্রয় করে মাচং পদ্ধতিতে খামার গড়ে তোলেন। এখন তার খামারে চার প্রজাতির মোট ১০০ টি ছাগল রয়েছে।
তিনি আরো জানান, এই গৃহপালিত প্রাণীটির বছরে দুই বার প্রজনন ক্ষমতা রয়েছে। প্রতিবার প্রজননে একাধিক বাচ্ছা দেয়। রোগ বালাইও কম। তাছড়া দেশের বাজারে ছাগলের চাহিদার পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশ ভারতে ব্যপক চাহিদা রয়েছে। তাই ছাগল রপ্তানী করে প্রচুর বৈদেশিক মূদ্রা উপার্জন করা সম্ভব।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুস ছামাদ জানান, আমরা নিয়মিত ওই ছাগলের খামারে প্রয়োজনী ওষুধ ও পরামর্শ দিয়ে দিচ্ছি। ছাগলের খামার করে নোমানের সফলতা দেখে এখন অনেকেই খামার গড়ে তোলার পরামর্শের জন্য আমাদের কাছে আসছেন। আমরা বেকারত্ব দূর করতে নতুন করে তরুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি করতে যুবক যুবতী উভয়কে এসব ছাগল পালনসহ বিভিন্ন ধরনের খামারী হওয়ার পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে। এভাবেই সীমন্তবর্তী এ উপজেলা একাধিক খামারী উদ্যোক্তা সৃষ্টি হচ্ছে।