সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩, ০১:১১ অপরাহ্ন
শিরোনাম

মালি আম চাষে সফল টেকনাফের তারেক! | Adhunik Krishi Khamar

  • Update Time : শনিবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২২
মালি আম চাষে সফল টেকনাফের তারেক!




কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের ফুলের ডেইল গ্রামের তারেক মাহমুদ। দরগাহ রসুলাবাদ গ্রামের একখণ্ড টিলা জমির বাগানে সাতটি গাছে অসংখ্য মালি আম ধরেছে। স্থানীয়ভাবে এই আম ‘মাইল্লাম’ বা ‘মাইজ্জাম’ নামে পরিচিত।

তারেক বলেন, গত ১০-১২ দিনে সাতটি গাছ থেকে প্রায় দেড় লাখ টাকার মাইল্লাম বিক্রি করেছেন। গাছে আরও কিছু মাইল্লাম ঝুলছে। অবশিষ্ট আমগুলো অন্তত ২০ হাজার টাকায় বিক্রি হবে বলে আশা করছেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, মিয়ানমার থেকে আনা ৪৫০ টা আমের চারার মধ্যে সাতটি মালি আমের চারা ছিল। কিন্তু চেনা আমের চেয়ে মালি আমেই ফলন ভালো হচ্ছে বলে দাবি করছেন তারেক। গত মৌসুমের উদাহরণ টেনে তারেক বলেন, গত মৌসুমে প্রায় পৌনে দুই লাখ টাকার মাইল্লাম বিক্রি করেছি। অন্য জাতের ৪০০-এর বেশি গাছের আম বিক্রি করে পাওয়া যায় আড়াই লাখ টাকার মতো।

টেকনাফের ফল ব্যবসায়ী বাদশা মিয়া বলেন, ৯৫ হাজার ৫০০ টাকায় চারটি গাছের আম কিনেছি। গত কয়েক দিনে তিনি ১০ মণের বেশি মাইল্লাম কিনে চট্টগ্রাম-ঢাকা পাঠিয়েছেন। আগে এই মাইল্লাম আসত মিয়ানমার থেকে। টেকনাফসহ কক্সবাজার অঞ্চলের মানুষ মাইল্লাম দিয়ে আচার তৈরি করে।

ফল ব্যবসায়ীরা বলেন, বাগান থেকে প্রতি কেজি মালি আম ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হয়। প্রতি কেজিতে ২০-২২টি মাইল্লাম ধরে। ওই হিসাবে প্রতি পিস মালি আমের দাম পড়ে ১৩ টাকা। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ৪৫০-৫০০ টাকায় বিক্রি হয়। তখন প্রতিটি মাইল্লামের দাম পড়ে ২২ টাকার বেশি।

টেকনাফ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ভবসিন্ধু রায় বলেন, এখানে মালি আমের বাণিজ্যিক চাষ না থাকলেও হ্নীলার কয়েকটি বাগানে মাইল্লামের ভালো ফলন হচ্ছে। পাহাড়ি ফলটি স্থানীয় ব্যক্তিদের কাছে মাইল্লাম, আবার স্থানভেদে মাইজ্জাম নামে পরিচিত। ফলগুলো আকারে ছোট, পাকলে হলুদ রং ধারণ করে এবং খেতে খুবই টক। পাহাড়ি ফলটির চাহিদা এখন ঢাকা-চট্টগ্রামেও ছড়িয়ে পড়েছে।









Source by [সুন্দরবন]]

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Recent Posts

© 2022 sundarbon24.com|| All rights reserved.
Designer:Shimul Hossain
themesba-lates1749691102