পাবনার বেড়া উপজেলার কৃষকদের পেঁয়াজ চাষ করে যে টাকা লোকসান হয়েছিল তা সাথী ফসল বাঙ্গি চাষ করে পুষিয়ে নিচ্ছে। উপজেলার বড়শিলা গ্রামের কৃষক সাইদুল ইসলাম তাঁর দুই বিঘা জমিতে পেঁয়াজ আবাদ করে এবার প্রায় ৪০ হাজার টাকা লোকসান দিয়েছেন। কিন্তু পেঁয়াজের জমিতে সাথী ফসল বাঙ্গি চাষ করে ৫০ হাজার টাকা লাভ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ফলে পেঁয়াজ আবাদের ক্ষতি পুষিয়ে যাচ্ছে।
সাইদুল ইসলাম বলেন, পেঁয়াজের জমিতে বাঙ্গি চাষ করে যে টাকা আয় হয়েছে তা আমাদের ঈদের বোনাস। পেঁয়াজ চাষে বিঘা প্রতি ২০ হাজার টাকার বেশি লোকসান হয়েছে। পেঁয়াজ চাষ করে যে ক্ষতি হয়েছে তা বাঙ্গি দিয়ে পুষিয়ে গিয়েছে। এখন পর্যন্ত ১২ হাজার টাকার বাঙ্গি বিক্রি করেছি। যা সব মিলিয়ে ৫০ হাজার টাকা বিক্রি করতে পারবো আশা করছি।
কৃষকেরা বলেন, পেঁয়াজের জমিতে সাথি ফসল হিসেবে বাঙ্গি, মিষ্টিকুমড়া, কাঁচা মরিচসহ বিভিন্ন ফসলের আবাদ দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। জমিতে পেঁয়াজ লাগানোর পর তা কিছুটা বড় হলে এর ফাঁকে ফাঁকে এসব সাথি ফসল লাগানো হয়। পেঁয়াজের জন্য যে সার, কীটনাশক, সেচ দেওয়া হয়, তা থেকেই সাথি ফসলের সব চাহিদা পূরণ হয়ে যায়। ফলে সাথি ফসলের জন্য বাড়তি কোনো খরচ হয় না।
কৃষক আজমত আলী জানান, তাঁর জমিসহ এই এলাকার জমি থেকে ৮ থেকে ১০ দিন হলো বাঙ্গি উঠতে শুরু করেছে। এবার বাঙ্গির ফলনও হয়েছে বেশ ভালো। বাজারে এসব বাঙ্গি আকারভেদে প্রতিটি ৬০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এমন দাম থাকলে এক বিঘা থেকে প্রায় ৩০ হাজার টাকার বাঙ্গি বিক্রি হবে।
সাঁথিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জীব কুমার গোস্বামী বলেন, পেঁয়াজের সঙ্গে সাথি ফসলের আবাদ কৃষকদের মধ্যে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এ ব্যাপারে তাঁরাও কৃষকদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।