টেকশহর কনটেন্ট কাউন্সিলর: আমরা আকাশপথে ভ্রমন করার সময় দেখতে পাই উড়োজাহাজটি যখন উড়ার প্রস্তুতি নেয় তখন ফ্লাইট ডেকের দরজাটি খোলা কিছুটা খোলা থাকে। কিন্তু এ রকম হওয়ার মূল কারণ কি?
উড়োজাহাজ আকাশে উড়ার আগে যাত্রীদের উঠা-নামার জন্য ককপিটের দরজা খোলা রাখার প্রয়োজন হয়। একইসঙ্গে ফার্স্ট অফিসারকে ফিরে যাওয়ার আগে প্রি-ফ্লাইটের আগে হেটে সবকিছু যাচাই করতে হয়। ক্যাপ্টেনকে বোর্ডিং প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করার জন্যও দরজা খোলা রাখতে হয়। এছাড়াও গ্রাউন্ড স্টাফ সদস্যদেরকে পাইলটের সঙ্গে ধারাবাহিক যোগাযোগ অব্যাহত রাখতে হয়। এসব গ্রাউন্ড স্টাফের মধ্যে টেকনিশিয়ান, ফুয়েলিং স্টাফ এবং পরিচ্ছন্নতা ও ক্যাটারিং কর্মীও রয়েছে।
ফ্লাইট চালুর আগে একটি প্লেনের ভেতরে কয়েকদফায় গুরুত্বপূর্ণ চেক চলে। ফলে পাইলটকে কার্যক্রম শুরুর আগে একজন টেকনিশিয়ানকে উড়তেসক্ষম অনুমোদন দিতে হবে। অন্যদিকে ফুয়েলিং স্টাফ পাইলটদেরকে ফুয়েল স্লিপ সরবরাহ করে, সঠিক ট্যাঙ্কে পর্যাপ্ত পরিমানে জ্বালানী দেয়া হয়েছে তা নিশ্চিত করেন তিনি। বোর্ডিং প্রক্রিয়ায় কেবিন ক্রুরাও পাইলটদের সঙ্গে সহযোগিতা করে, তাদের কাছে একটি তালিকা থাকে এবং ফ্লাইটে উপস্থিত যাত্রীদেরকে গণনা করে তারা। বোর্ডিং প্রক্রিয়ার সময় শেষ মুহুর্তের পরিবর্তনের সঙ্গে তালিকাটি মিলিয়ে দেখা হয়। এসব পরিবর্তনের মধ্যে রয়েছে, যাত্রী না থাকা, ট্রানজিট বাতিল অথবা ভ্রমন শ্রেনী পরিবর্তন করা।
প্লেনের প্রস্তুতি নিয়ে বিভিন্ন বিভাগ থেকে আসা তথ্য নিয়ে পাইলট সন্তুষ্ট হওয়ার পরই দরজা বন্ধ করার নির্দেশ দেয়া হয়। এরপরেই এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারদের কাছে পুশব্যাক ও টেকঅফের ক্লিয়ারেন্স দেয়া হয়। সবকিছু ঠিকঠাক হওয়ার পরই ককপিট দরজা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধ করা হয়।
সাধারন বিষয় ছিলো। সেসময় শিশুদেরকে ককপিটে আসার আমন্ত্রন জানানো হতো এবং ক্যাপ্টেনের টুপি ধরতে পারতো তারা। কিন্তু ৯/১১ দূর্ঘটনার পর থেকে ফ্লাইট ডেকের দরজা সাধারনত বন্ধ রাখা হয় এবং কোন যাত্রীকেই ককপিটের ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়া হয় না।
বিমান উড্ডয়নের পর দরজাটি শুধুমাত্র পাইলটকে খাবার সরবরাহ, শিফট পরিবর্তন অথবা শৌচাগারে যাওয়ার সময় খোলা হয়। তবে এয়ারলাইনভেদে এই নিয়মেরও ব্যতয় ঘটে।
সিম্পলফ্লাই/আরএপি