টেকশহর কনটেন্ট কাউন্সিলর: ফেইসবুক ব্যবহারকারীদের যেসব তথ্য সংগ্রহ করে তা কোথায় যায় বা কি কাজে ব্যবহৃত হয় তা জানেন না স্বয়ং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটির প্রাইভেসি প্রকৌশলীরা। তারা এ বিষয়টিকে ‘পানির ওপর ভাসমান কালি যা যেকোন জায়গায় যেতে পারে’ এমন পরিস্থিতি হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন। ফেইসবুকের ফাঁস হওয়া কিছু নথিতে এ তথ্য পাওয়া গিয়েছে।
ফেইসবুকের অ্যাড অ্যান্ড বিজনেস প্রোডাক্ট টিমের লেখা অভ্যন্তরীণ ডকুমেন্টে বলা হয়েছে, ‘কিভাবে এই তথ্যগুলো ব্যবহৃত হয় সে বিষয়ে আমাদের পর্যাপ্ত নিয়ন্ত্রন নেই। আর এ কারনেই আমরা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে পলিসি পরিবর্তনের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রন রাখতে পারি না।
বর্তমানে বিভিন্ন দেশের সরকার ও নীতিনির্ধারকরা ব্যবহারকারীদের তথ্য ব্যবহার আরো কঠোর করার জন্য ফেইসবুকের কাছে নিয়মিত আহ্বান জানিয়ে আসছে। ফাঁসকৃত নথিতে দেখা গিয়েছে ফেইসবুক এ ধরনের কোন নিয়ন্ত্রন আনতে পারবে না কারন সংগৃহীত তথ্যের ওপর তাদের নিজেদেরই কোন নিয়ন্ত্রন নেই। বিষয়টি এভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে, ‘এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলার জন্য আমাদের সিস্টেম কিভাবে কাজ করে, তথ্য সংগ্রহ করে এবং প্রক্রিয়াজাত করে তার ওপর নিয়ন্ত্রন পেতে বিজ্ঞাপন ও অবকাঠামো টিমে কয়েক বছর বিনিয়োগ করতে হবে।’ অথবা ফেইসবুক সিস্টেম যেভাবে কাজ করে সেখানে মৌলিক পরিবর্তন প্রয়োজন। আর এ ধরনের পরিবর্তনেও অনেক বছর ব্যয় হবে।
ফাঁসকৃত এই নথির প্রতিক্রিয়া হিসেবে বলা হয়েছে, ‘এই নথিটি আমাদের প্রাইভেসি রেগুলেশনের ক্ষেত্রে সামগ্রিক প্রক্রিয়া ও নিয়ন্ত্রনকে কোনভাবেই উপস্থাপন করে না। গোপনীয়তা রক্ষা নিয়ে বিশ্বজুড়ে নতুন নতুন আইনে ভিন্ন ভিন্ন শর্ত রয়েছে। আমরা এসব বিষয়ে যে টেকনিক্যল সমাধানে যাচ্ছি তা নথিতেই প্রতিফলিত হচ্ছে।’