সময়ের কন্ঠস্বর, ঢাকা: ওলামাদের বিরুদ্ধে গণকমিশনের ভূমিকা দেশে নতুন সংকট সৃষ্টি করবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে জাতীয় তাফসীর পরিষদ।
রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, ১১৬ জন আলেম ও ১০০০ মাদ্রাসার তালিকা করে আলেমদের সমাজে অসম্মান করার ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে। যারা তালিকা তৈরি করেছে, তারা নিজেরাই বিভিন্ন অপরাধে অপরাধী ও তিরস্কৃত।
জাতীয় তাফসীর পরিষদের চেয়ারম্যান আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মহাসচিব মাকসুদুর রহমানসহ নেতাদের নামে পাঠানো বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, জাতির বিবেক ওলামায়ে কেরামদের বিরুদ্ধে যে কোনো চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র দেশের ইমানদার জনতা সহ্য করবে না।
সাবেক বিচারপতি মানিক চৌধুরী নিজের দ্বৈত নাগরিকত্ব গোপন রেখে বিচারপতি হয়েছে, যা সংবিধান বিরোধী। অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে তুরিন আফরোজ বহিষ্কার হয়েছে। লজ্জা থাকলে আলেম ও মাদ্রাসার বিরুদ্ধে কথা বলত না। দেশে আইন আদালত থাকতে গণকমিশন গঠন কী ভাবে হয়, গণ কমিশন দেশের সংবিধান বিরোধী। দেশের সংবিধান লঙ্ঘন করে তথাকথিত গণকমিশন গণ ধিকৃত হয়েছে।
দেশের ওলামায়ে কেরামের তালিকা করে দুদকে দেওয়ার এখতিয়ার তাদের নেই। ওলামাদের বিরুদ্ধে তথাকথিত গণকমিশনের ভূমিকা দেশে নতুন সংকট সৃষ্টি করবে।
নেতারা বলেন, তুরিন ও মানিকদের করা অপরাধের বিচার আগে করতে হবে। এরপর নিয়ম অনুযায়ী দেশের আইন আদালতের মাধ্যমে ওলামায়ে কেরামে কোনো অপরাধ থাকলে সেটা হবে। কিন্তু গণকমিশন গঠনের এখতিয়ার তাদের কে দিয়েছে? সেটা স্পষ্ট করতে হবে।
মানিক ও তুরিনদের বিচার না করলে দেশে যে কোনো বিশৃঙ্খলার জন্য গণকমিশন দায়ী থাকবে।