চলতি মৌসুমে মুগ ডলের বাম্পার ফলন হয়েছে পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলায়। পটুয়াখালীর অধিকাংশ কৃষক এক সময় আমন ধানের ওপর নির্ভরশীল ছিলেন। অল্প সময়ে অধিক লাভের কারণে এখন ধানের পাশাপাশি মুগ ডাল চাষ করছেন তারা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে মোট ৩ হাজার ৫শ হেক্টর জমিতে বারি-৬ মুগ ডালের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে মুরাদিয়ায় ৯৪৩ হেক্টর, পাঙ্গাশিয়ায় ৮৩০, আঙ্গারিয়ায় ৫৬০, লেবুখালীতে ৪৭২ ও শ্রীরামপুর ইউনিয়নে ৬৯৫ হেক্টর জমিতে মুগ ডাল চাষ হয়েছে।
কৃষক মিজানুর রহমান বলেন, গতবছরের তুলনায় এ বছর ডালের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। এখনো সম্পূর্ণ ডাল তোলা হয়নি। আশা করছি হেক্টর প্রতি ১২শ থেকে ১৩শ কেজি ডাল পাব।
কার্তিকপাশা গ্রামের রাণী বেগম বলেন, আমি ২০ শতাংশ জমিতে ডাল চাষ করে ছিলাম। গতবছরের তুলনায় দেড়গুন ডাল পেয়েছি। কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় মুগ ডালের ভালো ফলন হয়েছে।
কৃষি কর্মকর্তা মেহের মালিকা বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় দুমকিতে এ বছর মুগ ডালের ফলন ভালো হয়েছে। সবসময়ই কৃষকদের সার্বিক বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছি। এ ছাড়া প্রান্তিক চাষিদের জমি তৈরি থেকে শুরু করে বীজ বোনা, কীটনাশক ছেটানো, ফসল সংগ্রহ এবং ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তিতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখছি।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন বলেন, আমাদের কৃষি বিজ্ঞানীরা নিরলস শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন নতুন জাত উদ্ভাবনের জন্য। নুতন জাত উদ্ভাবিত হলে তা প্রান্তিক কৃষকদের মঝে সম্প্রসারণের ব্যবস্থা করব। মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা সবসময়ই কৃষকদের পাশে রয়েছে। কৃষিজনিত যেকোনো সমস্যা সমাধানে আমরা তাদের কারিগরি সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, অনুকূল আবহাওয়া, পর্যাপ্ত সার-বীজ ও আধুনিক কৃষি উপকরণের সহজলভ্যতার কারণে এবার ফলন ভালো হয়েছে।