টেকশহর কনটেন্ট কাউন্সিলর: ভিডিও গেমের মতো খেলাগুলো শিশুদের মানসিক বিকাশের পথে অন্তরায় বলেই জানি আমরা। কিন্তু নতুন এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যেসব শিশুরা বেশি সময় ভিডিও গেম খেলে তাদের বুদ্ধিমত্তা আরো বিকশিত হয়। শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশ এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা সংস্থা এবিসিডি স্টাডি এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
অবশ্য গবেষণাটি জিনগত পার্থক্য এবং শিশুদের আর্থ-সামাজিক অবস্থানের ব্যবধান সম্পর্কে সচেতন ছিলো। পাশাপাশি বুদ্ধিমত্তার ওপর টিভি দেখা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করা খুব বেশি ইতিবাচক বা নেতিবাচক প্রভাব ফেলে না বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
এবিসিডি স্টাডির গবেষকরা এই গবেষনাটিতে নয় হাজার ৮৫৫ জন শিশুর স্ক্রিন টাইম পর্যবেক্ষণ করেছেন। এই শিশুদের সবাই যুক্তরাষ্ট্রের যাদের বয়স ৯ থেকে ১০ বছরের মধ্যে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে এই শিশুরা দৈনিক আড়াই ঘন্টা টিভি অথবা অনলাইন ভিডিও দেখে, এক ঘন্টা ভিডিও গেম খেলে এবং আধঘন্টা ইন্টারনেটের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ করে। গবেষকরা এর দুইবছর পর এই শিশুদের মধ্যে পাঁচ হাজারের জনের বেশি ডাটা সংগ্রহ করে। গবেষণায় বলা হয়েছে মাঝখানের এই বিরতির সময়ে দেখা গিয়েছে যারা ভিডিও গেমসে বেশি বেশি সময় ব্যয় করতো তাদের আইকিউ গড়ে দুই দশমিক পাঁচ শতাংশ বেড়েছে।
রিডিং কম্প্রিহেনসন, দৃষ্টিশক্তির বিকাশ, নমনীয় চিন্তাভাবনা এবং আত্মনিয়ন্ত্রনের মতো দক্ষতার ওপর ভিত্তি করে আইকিউ পয়েন্ট বাড়িয়েছিলেন গবেষকরা। তবে গবেষণার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে এটি শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের শিশুদের ওপর নির্ভর করে সম্পন্ন করা হয়েছে এবং এখানে ভিডিও গেমের ধরনের ওপর (মোবাইল ও কনসোল গেম) পার্থক্য করা হয় নি। অবশ্য গেমিংয়ের সঙ্গে আইকিউএর সম্পর্ক বোঝাতে এটি খুবই মূল্যবান এবং বুদ্ধিমত্তা শুধু জন্মের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয় এ বিষয়ক ধারণার ক্ষেত্রে সমর্থন দেয়।
সুইডেনের কার্লোলিনসকা ইনস্টিটিউটের নিউরোবিজ্ঞানী তরকেল ক্লিংবার্গ বলেছেন, ‘আমাদের গবেষণার ফলাফল এই দাবিকে সমর্থন করে যে স্ক্রিন টাইম শিশুদের জ্ঞানীয় ক্ষমতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে না এবং ভিডিও গেম খেলা মূলত বুদ্ধিমত্তা বৃদ্ধিতে আরো সহায়তা করে।’
ভিডিও গেমসের আরো কিছু সুফল রয়েছে বলেও গবেষণাটিতে দাবি করা হচ্ছে।
আরএপি