চলছে গ্রীষ্মকাল। গ্রীষ্মকাল মানেই নানারকম ফলের সমারোহ। অসংখ্য মানুষ খেয়ে চলছেন বস্তার বস্তা আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু। তবে সবকিছু একটা নির্ধারিত সীমা আছে। সীমা অতিক্রম হলেই শুরু হয় নানা বিপত্তি। এমনই এক সমস্যায় পড়েছেন মিরপুরের সাদেক (২৬) নামের এক যুবক। সম্প্রতি এক ভুয়া তথ্য থেকে জানা গেছে, সাদেকের বিরুদ্ধে হেনস্তার অভিযোগ এনেছেন এক ফজলি আমের আঁটি।
মিরপুর থানায় মামলা দায়ের করতে করতে আমের আঁটিটি বলেন, ‘এই ছেলে কি মানুষ? এতো অসভ্য আচরণ মানুষের হয়? আঠারো ঘণ্টা ধরে চুষতেছে৷ তাও ছাড়তেছে না। রস না থাকার পরেও কেউ এমনে চুষতে পারে—এইটা বিশ্বাস করার মতো না। ভাগ্যিস আমি মানুষ না, আম হয়ে জন্মাইছি।’
কথা বলতে বলতে আমের আঁটি একসময় ফুপিয়ে ফুপিয়ে কেঁদে ওঠে। এ সময় উপস্থিত তার বাবা ও মা আম পাশ থেকে সান্ত্বনা দেন।
এ ব্যাপারে সাদেকের মন্তব্য জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘আরে ভাই দোষ কি আমার নাকি? সারাদিন প্রেমিকার সাথে কথা বলি। তাও সে একবারও বলে না এবার আমের আঁটিকে নিস্তার দিয়ে….থাক সে কথা না বলি। শুধু এতটুকু বলতে চাই দোষ আমার একার না। গ্রেফতার করতে হলে তাকেও করেন..’
শুধু সাদেক নয়, সাদেকের বন্ধুচক্রের সাথে কথা বলেও আরও অসংখ্য যুবকের বিরুদ্ধে আমরা এমন অভিযোগ পেয়েছি। তবে সাদেকের ক্লোজ ফ্রেন্ড মফিজ জানান, ‘একটা গোপন কথা বলি। সাদেকের এই সমস্যা কিন্তু নতুন না। আগে থেকেই সে বিচির প্রতি, মানে আমের বিচি, লিচুর বিচি, জামের বিচি অনেকক্ষণ ধইরা চুষে। আমি আবার হোমোফোবিক। বিচি টিচি খাওয়ার ঝামেলায় যাই না বলে আম কেটেই খাই….’