সুন্দরবন ডেক্স: বাগেরহাটের শরনখোলায় বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। এসময় দুইটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার, দুইটি ডেন্টাল ক্লিনিক ও দুইটি ফার্মেসিকে দুই লাখ পাশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া আমড়াগাছিয়ার অনুমোদনহীন একটি ক্লিনিক ও একটি ফামের্সি সিলগালা করে দেয়া হয়েছে।
রবিবার (২৯ মে) সকাল ১০টা থেকে রাত ৭টা পর্যন্ত প্রায় ২০টি ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ফার্মেসিতে এ অভিযান পরিচালিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ নুর ই আলম সিদ্দিকীর নেতৃত্বে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ প্রিয় গোপাল বিশ্বাস ও আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ ফয়সাল আহম্মেদ এ অভিযান পরিচালনা করেন।
ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানাগেছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের নির্দেশে উপজেলার বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ অভিযান চালানো হয়। এসময় চিকিৎসক না থাকার অভিযোগে পদ্মা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক মোঃ হেলাল উদ্দিন তালুকদারকে ৫০ হাজার এবং মদিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক আবদুল্লাহ আল সুমন (৩২) ৫০০০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়া ডেন্টাল ক্লিনিকের পরিচয়ে পাইলস, পলিপাস চিকিৎসা করার অভিযোগে মুক্তা ডেন্টাল ক্লিনিকের মালিক আবু সালেহ আহম্মেদকে ৩০ হাজার এবং হাসি ডেন্টাল ক্লিনিকের মালিক মোঃ নাসির উদ্দিনকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
উপজেলার ধানসাগর ইউনিয়নের আমড়াগাছিয়া বাজারে ভুয়া চিকিৎসক দিয়ে রোগী দেখার অভিযোগে হালিম ফার্মেসির মালিক মোঃ মাইনুল ইসলামকে ৫০ হাজার ও আলামিন ফার্মেসির মালিক মোঃ আমির হোসেনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং জনতা ফার্মেসি সিলগালা করে দেয়া হয়।
এছাড়া অভিযানের সময় আমড়াগাছিয়া সাতঘর গ্রামের মধ্যে অনুমোদনহীন বেগম রোকেয়া নামের একটি ক্লিনিকের মালিক মোঃ সগির হোসেন পালিয়ে গেলে ক্লিনিকটি সিলগালা করে দেয়া হয়েছে। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত রয়েছে।