টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : দেশীয় সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে দেশি সফটওয়্যার শিল্পকে বিকশিত করতে উৎসাহিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ।
মন্ত্রী সোমবার ঢাকায় শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে দেশীয় রাইড শেয়ারিং দ্যা বোরাক এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে দ্যা বোরাক সার্ভিসেস লিমিটেডের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: নজরুল ইসলাম, প্রতিষ্ঠাতা শফিউল আলম বিপ্লব এবং প্রতিষ্ঠানটির প্রশাসনিক কর্মকর্তা মেজর অব: রাকিব হাসানও বক্তৃতা করেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, দেশি উদ্যোক্তাদের তৈরি করা সফটওয়্যার এখন বিশ্বের ৮০টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। এই যুগে পড়ালেখা থেকে শুরু করে সর্বক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহারের বিকল্প থাকবে না। এরই ধারাবাহিকতায় প্রত্যন্ত ও দূর্গম এলাকাসহ দেশের সর্বত্র দ্রুতগতির ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে আমরা কাজ করছি। ইতোমধ্যেই দুর্গম পাহাড় ও হাওরে ইন্টারনেট ভিত্তিক আউট সোর্সিং শিল্প গড়ে উঠার পাশাপাশি ডিজিটাল শিল্প উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে।
তিনি দেশীয় অ্যাপস দ্যা বোরাককে নতুন প্রজন্মের তৈরি একটি সময়োপযোগী উদ্যোগ বলে উদ্যোক্তাদের ভূমিকার প্রশংসা করেন।
ডিজিটাল প্রযুক্তির সক্ষমতায় দেশের বর্তমান প্রজন্মকে অত্যন্ত পারদর্শী উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, নতুন প্রজন্মের ছেলে মেয়েদের মেধা সৃজনশীলতা এবং কর্মক্ষমতা পৃথিবীতে অনন্য দৃষ্টান্ত। আজ থেকে ৩৫ বছর আগেও এ দেশে কম্পিউটার ব্যবহারের একজন মানুষও পাওয়া যায়নি । হানিফ উদ্দিন মিয়ার হাত ধরে ৬৪ সালে এ অঞ্চলে প্রথম কম্পিউটার আসে এবং ১৯৮৭ সালের পর কম্পিউটারে বাংলা প্রচলনের পর কম্পিউটার বিকাশের অভিয়াত্রা শুরু হয়। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরে কম্পিউটার সাধারণের জন্য সহজলভ্য করতে কম্পিউটারের ওপর থেকে ভ্যাট ট্যাক্স প্রত্যাহার করার পর কম্পিউটার সাধারণ মানুষের নাগালে পৌঁছুতে শুরু করে।
শফিউল আলম বিপ্লব বলেন, সকল শ্রেণির পেশা নাগরিকদের এই অ্যাপসের মাধ্যমে নিরবচ্ছিন্ন ও দ্রুততম সময়ে সেবা নিশ্চিত করাই তাদের মূল লক্ষ্য । আর ২০২৬ সালের মধ্যে দেশের অর্ধেক নাগরিককে এই প্লাটফর্মের আওতায় আনা এবং দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিশ্ব জয় করা তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ।
সূত্র – প্রেস বিজ্ঞপ্তি