সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩, ০১:৩৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম

দেশিয় অ্যাপ নির্মাতাদের জন্য বড় জায়গা ‘বিডিঅ্যাপস’ – টেক শহর

  • Update Time : মঙ্গলবার, ৩১ মে, ২০২২
দেশিয় অ্যাপ নির্মাতাদের জন্য বড় জায়গা ‘বিডিঅ্যাপস’ - টেক শহর

প্রযুক্তির মানুষ হয়েও নিয়মিত লেখালেখি করেন এবং নির্মানের সঙ্গেও জড়িত আছেন মুহাম্মাদ আলতামিশ নাবিল। বাংলাদেশের জাতীয় অ্যাপ স্টোরের স্বীকৃত প্রাপ্ত ‘বিডিঅ্যাপস’ এর বিজ এনগেজমেন্ট লিড হিসেবে কাজ করছেন তিনি। যুক্ত আছেন জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনালের সঙ্গেও। ‘বিডিঅ্যাপস’ এ প্রায় ২৫ হাজার ডেভলপার যুক্তে আছেন এবং এ অ্যাপ স্টোরে বর্তমানে অ্যাপের সংখ্যা ৫০ হাজারের বেশি। এ অ্যাপস্টোরের কথা এবং অ্যাপ নির্মাতাদের নানা বিষয় নিয়ে তিনি কথা বলেছেন টেকশহর ডটকমের নিয়মিত আয়োজন ‘টেক ভেঞ্চারস টক’-এ।

টেকশহর: আমাদের জাতীয় অ্যাপ স্টোর ‘বিডিঅ্যাপস’ সম্পর্কে কিছু বলুন।

মুহাম্মাদ আলতামিশ নাবিল: বিডিঅ্যাপসের যাত্রা শুরু হয় ২০১৪ সালে একটি ন্যাশনাল হ্যাকাথনের মাধ্যমে। সেই শুরু থেকে এখন পর্যন্ত এ অ্যাপস্টোরে যুক্ত আছে প্রায় ২৫ হাজার ডেভলপার এবং তাদের তৈরিকৃত অ্যাপের সংখ্যা ৫০ হাজারের বেশি। বিডিঅ্যাপস স্টোরটি মূলত একটি অ্যাপস্টোর এবং যারা প্রোগ্রামার তাদের জন্য একটি এপিআই হাব। এছাড়াও যারা কোডিং পারে না কিন্তু তথ্যপ্রযুক্তি খাতে কাজ করতে চান, বিশেষ করে কোডিং ছাড়াই অ্যাপ তৈরি করতে চান তাদের জন্যও বড় একটা জায়গা হচ্ছে এ অ্যাপস্টোর। এক কথায় এ স্টোরটি কোডিং জানা বা না জানা সকল অ্যাপ নির্মাতাদের জন্য একটি জায়গা যেখানে অ্যাপ রাখা যাবে এবং মনিটাইজেশনও করা যাবে।

টেকশহর: বাংলাদেশের জন্য এ ধরনের অ্যাপস্টোর কতটা উপকারী বলে মনে করেন?

মুহাম্মাদ আলতামিশ নাবিল: একটা বিষয় এখানে ক্লিয়ার করা দরকার, যে আমরা আসলে কোন অ্যাপ নির্মাতাকে এমন কোন বিষয় বলছি না যে তারা তাদের তৈরি অ্যাপ কোন অ্যাপ স্টোরে দিতে পারবে না। আমরা যেটা করছি, আমরা এ অ্যাপস্টোরে একটি অ্যাড চ্যানেল দিচ্ছি। যেখানে আমরা স্থানীয় গ্রাহকদের নিয়ে কাজ করি এবং তাদের স্থানীয় বাজার ধরার একটা জায়গা হিসেবে আমরা কাজটি সহজ করে দিচ্ছি। আর এ কাজটি মোবাইল বিলিংয়ের মাধ্যমেই করা যায়। তাই আমরা কখনই বলিনি, এটা গুগল প্লে স্টোর কিংবা অ্যাপলের অ্যাপস্টোর’র প্রতিদ্বন্ধী। বরং আমরা বলি, আমাদের নির্মাতারা যাতে অন্যান্য অ্যাপস্টোরের পাশাপাশি স্থানীয় বাজার ধরার জন্য হলেও এ অ্যাপস্টোরে অ্যাপ দিয়ে একটা বাড়তি আয়ের ব্যবস্থা হয়।  

টেকশহর: বিডিঅ্যাপস স্টোরে আয়ের পদ্ধতিটি কিভাবে হয়?

মুহাম্মাদ আলতামিশ নাবিল: সাধারণত যে কোন অ্যাপ স্টোরে অ্যাপ যুক্ত করতে চাইলে নির্দিষ্ট একটি ফি দিয়ে আগে নিবন্ধিত হতে হয়। তারপরেই নিজের অ্যাপ উক্ত অ্যাপস্টোরে যুক্ত করার সুযোগ হয়। এক্ষেত্রে বিডিঅ্যাপসে কাজটি সহজ। এখানে কোন ধরনের ফি ছাড়াই শুধুমাত্র নিবন্ধন করেই অ্যাপ দেয়া যায়।  

টেকশহর: জাতীয় অ্যাপ স্টোর ঘোষণার পর থেকে এখন এ অ্যাপস্টোরের কি অবস্থা?

মুহাম্মাদ আলতামিশ নাবিল: এটা আসলে বলা যায়, যারা শুরু থেকে এ অ্যাপস্টোরে কাজ করেছেন তাদের জন্য বড় একটা স্বীকৃতি যে বিডিঅ্যাপস জাতীয় অ্যাপ স্টোরের স্বীকৃতি পেয়েছে। এছাড়াও এটা নির্দিষ্ট করা হয়েছে যে, সরকারি সকল ধরনের অ্যাপ এখন থেকে বিডিঅ্যাপসেই দেয়া হবে। অর্থাৎ, সরকারি সকল অ্যাপ এ অ্যাপ স্টোরে পাওয়া যাবে। এছাড়াও গত কয়েক বছরে আয়ের দিক দিয়েও এ অ্যাপস্টোরের অ্যাপগুলো অনেক এগিয়েছে।

টেকশহর: বিডিঅ্যাপসে কিভাবে গিয়ে অ্যাপ পাওয়া যাবে?

মুহাম্মাদ আলতামিশ নাবিল: বিডিঅ্যাপসে গিয়ে যে কেউ সহজেই অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। এ জন্য আগ্রহীদের www.bdapps.com ঠিকানায় গিয়েই কাজটি করতে পারেন। একটা বিষয় এখানে বলা যায়, বিডিঅ্যাপস কিন্তু শুধুমাত্র অ্যাপস্টোরেই সীমাবদ্ধ নয়। এখানে বাল্ক এসএমএসের সুবিধা আছে, বিভিন্ন ধরনের লাইট অ্যাপ রাখার সুবিধাও আছে।

টেকশহর: গেমস ভিত্তিক অ্যাপ নির্মাতাদের জন্য বিডিঅ্যাপস কতটা উপযোগী?

মুহাম্মাদ আলতামিশ নাবিল: আন্তর্জাতিক ভাবে গেম খেলতে গেলে পেমেন্ট গেটওয়ে বিষয়ক একটা সমস্যায় পড়েন অনেক গেম নির্মাতা এবং গেম খেলোয়াড়েরা। এক্ষেত্রে কাজটি যদি এমন হয়, যে গেমের নির্মাতা বা যিনি খেলছেন তিনি মোবাইলের ব্যালেন্স থেকেই পে পেমেন্ট করতে পারেন সেটা দারুণ হয়। সেটি নিয়ে আমরা কাজ করছি। এছাড়াও এ স্টোরের মাধ্যমে গেম নির্মাতারা স্থানীয় গ্রাহকদের সহজেই নিজেদের গেম খেলায় আগ্রহী করে তুলতে পারেন।

[সাক্ষাৎকার নিয়েছেন টেকশহর ডট কমের স্পেশাল করসপনডেন্ট নুরুন্নবী চৌধুরী]




Source by [author_name]

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Recent Posts

© 2022 sundarbon24.com|| All rights reserved.
Designer:Shimul Hossain
themesba-lates1749691102