দেশের অন্য সকল পণ্যের দামের সাথে তাল মিলিয়ে নারায়ণগঞ্জে বৃদ্ধি পেয়েছে লবণের দাম। দেশের লবণ উৎপাদন কমে গিয়েছে। লবণ উৎপাদন কমে যাওয়া ফলে বাজারে সরবরাহ কমে গিয়েছে। আর তার জন্য লবণের দাম উর্ধ্বমুখি।
জানা যায়, বিগত ১৫ দিনে নারায়ণগঞ্জের পাইকারি বাজার নিতাইগঞ্জে খাওয়ার লবণ কেজিতে প্রায় আড়াই টাকা করে প্রতি বস্তায় ২৫ কেজি ৬০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। আর শিল্পকারখানা ও চামড়া সংরক্ষণে ব্যবহার্য এবং গবাদিপশুকে খাওয়ানোর আয়োডিনবিহীন সাদা লবণের দাম কেজিতে ৪ টাকা করে বস্তায় ৭৪ কেজি ৩০০ টাকার মতো বেড়েছে।
নিতাইগঞ্জের ব্যবসায়ীদেরা সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, বিগত বছর এই সময় ২৫ কেজি লবণের দাম ছিল ৬০০ টাকা। যার ১৫ দিন আগেও ছিল ৭০০ টাকার আশপাশে। বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা পর্যন্ত। অন্যদিকে ৭৪ কেজি ওজনের প্রতি বস্তা শিল্পে ও পশুখাদ্য হিসেবে ব্যবহারের আয়োডিনবিহীন লবণের দাম গত বছরের এই সময়ে ছিল ৫৫০ টাকা। এখন সেই লবণ কিনা ১ হাজার ২৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ লবণ মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাঈন উদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশে লবণের উৎপাদন কমেছে। গত বছর দেশে লবণ উৎপাদিত হয়েছিল ২৮ লাখ টন কিন্তু এ বছর তা কমে ১৮ লাখ টনে নেমে এসেছে। চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম হওয়ার কারণে দেশে লবণের দাম বাড়ছে।
বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ডাইংশিল্প ও ইটিপি পরিচালনায় ব্যবহার্য লবণের দাম বাড়ায় পোশাকপণ্য উৎপাদনের খরচ অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাচ্ছে। এতে রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
আরও বলেন, আমরা ক্রেতাদের সঙ্গে আগামী ৬ মাস পণ্য রপ্তানির চুক্তি করেছি। এখন উৎপাদন ব্যয় বাড়লে তাঁরা কিন্তু আমাদের বেশি টাকা দেবেন না। তাই লবণের দাম বাড়ায় পোশাক খাতের ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়বেন।