বান্দরবনের মাটিতে চাষ হচ্ছে ব্রাজিলের সুস্বাদু ফল জাবাটিকাবা। দেখতে অনেকটা আঙ্গুরের মতো হলেও ওষুধি গুণে ভরা ব্রাজিলের এই ফলটি। পাহাড়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু এই ফল চাষে উপযোগি বলে ধারণা করছে কৃষি বিভাগ।
কৃষি বিভাগ বলছে, পরিপক্ক জাবাটিকাবা ফলের রং থাকে সবুজ আর পরিপক্ক হলে কালো রং ধারণ করে। খাওয়ার যোগ্য হতে সময় লাগে ১ থেকে দেড় মাস। পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকায় এই ফলের আবাদ বাড়লে একদিন কৃষি অর্থনীতিতে আবদান রাখতে সক্ষম হবে এই জাপাটিকাবা।
জানা যায়, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতাধীন হর্টিকালচার সেন্টারসমূহ সেন্টারের ম্যান্ডেট অনুযায়ী দেশি-বিদেশি বিভিন্ন উন্নত ফলের জাত সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে ব্রাজিল থেকে এ জাতটি নিয়ে আসে। বর্তমানে বান্দবনের হর্টিকালচার সেন্টার উদ্যানে চাষ হচ্ছে জাপাটিকাবা।
বান্দরবান হর্টিকালচার সেন্টারের উপ-সহকারী উদ্যান কর্মকর্তা অধীন চন্দ্র দে বলেন, আমাদের সেন্টারে ব্রাজিল থেকে জাবাটিকাবা চারাটি আনা হয়। বর্তমানে সেন্টারে ৪টি জাবাটিকাবা গাছ রয়েছে। ৪টি মধ্যে প্রচুর ফল হয় আর ১ বছরে তিন বার ফল পাওয়া যায় গাছগুলো থেকে। জাবাটিকাবা গাছের ফলন দেখে বান্দরবানের চাষিরা এই ফলের চারা সংগ্রহ করেছেন এবং ধীরে ধীরে এই চারা লাগাতে অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
বান্দরবান পৌরসভার বালাঘাটা এলাকার বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী মো. জিয়াউদ্দীন বলেন, জাপাটিকাবা গাছ আমার দেখা প্রথম এমন একটি গাছ, এর সবখানেই ফলে ভরপুর। এমন সুমিষ্ট আর নয়নাভিরাম ফল দেখে যে কারো মন ভরে যাবে। আমি কয়েকটি চারা সংগ্রহ করার চেষ্টা করছি। আশা করছি, আগামীতে আমার বাগানে এই চারা রোপণ করে ভালো ফলন পাব।
হর্টিকালচার সেন্টার বান্দরবানের উপ-পরিচালক ড. সাফায়েত আহম্মদ সিদ্দিকী বলেন, জাবাটিকাবা ব্রাজিলে আঙ্গুর হিসাবে পরিচিত। এটা ব্রাজিলের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের একটি স্থানীয় উদ্ভিদ হিসেবে প্রসিদ্ধ লাভ করেছে। এটা দক্ষিণ আমেরিকা থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন উষ্ণমণ্ডলীয় অঞ্চলে ছড়িয়ে গেছে। এই গাছ কিছুটা খরা সহিষ্ণু। এ গাছের সম্প্রসারণের মাধ্যমে বাণিজ্যিকভাবে বাগান করা গেলে পুষ্টির সঙ্গে সঙ্গে কৃষকদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ঘটবে।