বঙ্গোপসাগরের নোনা পানি ব্যবহার করে হবে ভেটকি ও কোরাল মাছের প্রজনন। এছাড়াও অন্যান্য বাণিজ্যিক গুরুত্বসম্পন্ন সামুদ্রিক মাছের কৃত্রিম প্রজননের স্বপ্ন নিয়ে স্থাপন করা হয়েছে ‘মেরিন রিসার্চ হ্যাচারি’। মালয়েশিয়ান কারিগরি প্রযুক্তিতে তৈরি এই হ্যাচারিতে তেলাপিয়া-পাঙ্গাসের মতো ভেটকি ও অন্যান্য বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক মাছের উৎপাদন শুরু করতে পারলে-তা বাংলাদেশের সুনীল অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে এবং দেশের মৎস্য ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক উন্নয়ন সাধিত হবে।
শনিবার চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) কক্সবাজারস্থ কোস্টাল বায়োডাইভার্সিটি, মেরিন ফিশারিজ অ্যান্ড ওয়াইল্ডলাইফ রিসার্চ সেন্টারে ‘মেরিন রিসার্চ হ্যাচারি’র উদ্বোধন করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, এমপি।
মেরিন রিসার্চ প্রসঙ্গে দীপু মনি বলেন, যেকোনো সম্পদ আহরণের ক্ষেত্রে দক্ষ জনশক্তির বিকল্প নেই। তাই সমুদ্রের সম্পদ আহরণের জন্যও আমাদের দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা প্রয়োজন। সমুদ্্রসম্পদ আহরণে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে সিভাসু’র এই গবেষণা কেন্দ্র ও মেরিন রিসার্চ হ্যাচারি কার্যকর ভূমিকা পালন করবে বলে- আমার বিশ্বাস।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, সিভাসু’র একুশে পদকপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ, সিভাসু’র ফিশারিজ অনুষদের ডিন ও উক্ত গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ নূরুল আবছার খান, ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, সিভাসু’র ওয়ান হেল্থ ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ড. শারমীন চৌধুরী, রেজিস্ট্রার মীর্জা ফারুক ইমাম, পরিচালক (ছাত্রকল্যাণ) প্রফেসর ড. ওমর ফারুক মিয়াজী , প্রক্টর তাসনিম ইমাম প্রমুখ।