সুন্দরবন ডেক্স: বাগেরহাটের শরণখোলায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ করাতে না পারায় হতদ্ররিদ্রদের ৩৪ লক্ষাধিক টাকা ফেরৎ যাচ্ছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর থেকে বিলম্বে বরাদ্দ আসার কারনে এ অস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে, শরণখোলায় গত ৫ মে ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির (ইজিপিপি) প্রকল্পের ২য় পর্যায়ের ৭২ লাখ ৪৮ হাজার টাকা বরাদ্দ আসে। উপজেলার চারটি ইউনিয়নের ৪৫৩ জন হতদরিদ্র ব্যক্তি দৈনিক চারশত টাকা মজুরিতে গত ১০ মে থেকে ৮ জুন পর্যন্ত কাজ করেন। সরকারি ছুটি বাদে তারা ২১ দিনের বিল পাবেন।
কিন্তু কাজের মেয়াদ ৬ জুন শেষ হয়ে যাওয়ায় বাকি ১৯ দিন কাজ করতে পারছেন না তারা। যার কারনে তাদের অনুকুলে বরাদ্দ আসা ৩৪ লাখ ৪২ হাজার ৮০০ টাকা ফেরৎ পাঠানো হচ্ছে।
এব্যাপারে শরণখোলা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল আলিম জানান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর থেকে আমাদের এখানে বিলম্বে বরাদ্দ আসে। এছাড়া ৮জুনের মধ্যে কাজ শেষ করে বিল না পাঠালে শ্রমিকরা টাকা পাবে নাই। তাই ১৯ দিন কাজ করানো যাচ্ছে না বলে ৩৪ লাখ ৪২ হাজার ৮০০ টাকা ফেরৎ পাঠাতে হচ্ছে।
উপজেলার খাদা গ্রামের খলিল হাওলাদার, জাফর হাওলাদার, লাল মিয়া জোমাদ্দর জানান, এমনিতেই এ মৌসুমে এলাকায় কোন কাজ নেই। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি। ৪০ দিন কাজ করতে পারলে কোনমতে চলা যেত। কিন্তু আমাদের টাকা ফেরৎ যাচ্ছে শুনে হতাশ হয়ে পড়ছেন তারা।
সাউথখালী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মোজাম্মেল হোসেন জানান, তার এলাকায় খেটে খাওয়া মানুষের সংখ্যা বেশী। বর্তমানে সুন্দরবন ও সাগরে মাছ ধরা বন্ধ। এ অবস্থায় ৪০দিন কাজ করতে পারলে হতদরিদ্রদের অনেক উপকার হতো। খোন্তাকাটা ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন খান মহিউদ্দিন বলেন,
বর্তমান সময়ে এলাকার মানুষের হাতে কাজ নেই। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর থেকে এক মাস আগে বরাদ্দ আসলে এই মুহুর্তে আমাদের দরিদ্র মানুষগুলোর টাকা ফেরৎ দিতে হতো না। শরনখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নুর ই আলম সিদ্দিকী জানান, বিষয়টি খোজ খবর নিয়ে দেখা হবে।