প্রতিবছরের মত কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন বগুড়ার খামারিরা। জেলার প্রায় ৪৬ হাজার খামারিসহ ব্যক্তি পর্যায়ে বাসাবাড়িতে কোরবানির পশু পালন করছে। তাছাড়া ইতোমধ্যেই বিভিন্ন এসব পশু বিক্রির জন্য জেলার বিভিন্ন হাটবাজারে তোলা হচ্ছে।
জানা যায়, জেলার ১২টি উপজেলায় ব্যক্তি পর্যায়ে ও খামারিরা কোরবানির পশু পালল করে থাকেন। বাড়তি লাভের আশায় কেউ কেউ ৩ মাস আবার অনেকেই ৬ মাস আগে থেকে গবাদিপশু পালন করেন। জেলায় এ বছর ৪ লক্ষাধিক কোরবানিযোগ্য গবাদিপশু প্রস্তুত রয়েছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, আসন্ন ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে জেলার মোট ১২টি উপজেলার ৪৬ হাজার ১৫ জন খামারি মোট ৪ লাখ ২৭ হাজার ২শ’ ৯৫টি গবাদি পশু কোরবানিযোগ্য করে তুলেছেন। এ বছর জেলায় কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে পশুর চাহিদা রয়েছে ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩শ’ ৭৫টি। চাহিদার অতিরিক্ত পশু রয়েছে ৬৭ হাজার ৯শ’ ২০টি।
খামারিরা বলেন, বাজারে কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর কোন সংকট হবে না। বাজারে গো-খাদ্যের দাম যে হারে বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে আমাদের উৎপাদন খরচ বেশি হয়েছে। যদি বাজার ভালো থাকে তাহলে ভালো দাম পাবো বলে আশা করা যায়। কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের একটা দাবি ভারতীয় গরু যাতে বাংলাদেশে প্রবেশ না করতে পারে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, জেলার কোরবানিযোগ্য গবাদি পশু ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলে যাবে। আবার বিভিন্ন জেলার পশুও এ জেলায় আসবে। তাই ঈদে কোরবানির পশুর কোনো সঙ্কট হবে না বরং চাহিদার অতিরিক্ত রয়েছে।