টেকশহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : বন্যাদূর্গত এলাকায় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট টেলিযোগাযোগ সেবা, বন্ধ টাওয়ার সচল হয়েছে । সিলেট , সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা ও উত্তরবঙ্গে জরুরী টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবা সচল রাখতে সিলেট হাইটেক পার্কে ভিস্যাট হাব স্থাপন করার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর সাথে সংযোগ স্থাপন শুরু হয়েছে।
এই লক্ষ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার-এর নির্দেশে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড ইন্টারনেটসহ নিরবচ্ছিন্ন টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিত করতে ভিস্যাট যন্ত্রপাতি সরবরাহ করেছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোবাইল অপারেটরসমূহকে বানভাসি মানুষদের জন্য তিনটি করে টোল ফ্রি নাম্বার চালু করার নির্দেশে দিয়েছেন।
টোল ফ্রি নাম্বারগুলো হচ্ছে , গ্রামীণফোন: ০১৭৬৯১৭৭২৬৬, ০১৭৬৯১৭৭২৬৭, ০১৭৬৯১৭৭২৬৮
রবি: ০১৮৫২৭৮৮০০০, ০১৮৫২৭৯৮৮০০, ০১৮৫২৮০৪৪৭৭
বাংলালিংক: ০১৯৮৭৭৮১১৪৪, ০১৯৯৩৭৮১১৪৪, ০১৯৯৫৭৮১১৪৪ এবং
টেলিটক: ০১৫১৩৯১৮০৯৬, ০১৫১৩৯১৮০৯৭, ০১৫১৩৯১৮০৯৮।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মো: খলিলুর রহমানের তত্ত্বাবধানে বন্যাকবলিত এলাকায় টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে শনিবার ১২টি ভিস্যাট যন্ত্রপাতি হস্তান্তর করা হয়। রবিবারও নেত্রকোণা এবং উত্তরবঙ্গে ভিস্যাট হাব স্থাপিত হবে। সিলেট বিভাগের বিভাগীয় কমিশনারের দপ্তরকেও আরও ২৩ সেট ভিস্যাট যন্ত্রপাতি হস্তান্তরের প্রস্তুতি চলছে। এর ফলে আরও ২৩ টি বন্যা উপদ্রুত এলাকায় জরুরী টেলিযোগাযোগ সেবা স্থাপন করা হবে।
এছাড়াও বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি বন্যা কবলিত এলাকায় নিয়োজিত সামরিক ও বেসামরিক প্রশাসনের প্রয়োজন অনুযায়ী আরও ভিস্যাট যন্ত্রপাতি সরবরাহ করতে সক্ষম, যার মাধ্যমে বন্যাকবলিত আরো এলাকায় জরুরী টেলিযোগাযোগ সেবা স্থাপন করা যাবে। মুঠোফোন কোম্পানিগুলোর প্রয়োজন অনুযায়ী মুঠোফোন নেটওয়ার্ক সচল করার কাজেও বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১ ব্যবহার করতে পারবে।
ভিস্যাট এর মাধ্যমে দুর্যোগকালীন সময়ে নিরবচ্ছিন্ন টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিএসসিএল একটি মনিটরিং সেল গঠন করেছে, যেটি মাঠ প্রশাসনের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখে নিরবিচ্ছিন্ন সেবা নিশ্চিত করবে।
একইভাবে বন্যা পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে দূর্গত এলাকাসমূহে নিরবচ্ছিন্ন টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি) একটি শক্তিশালী মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে।
কমিশনের চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারের তত্ত্বাবধানে বিটিআরসি’র ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড অপারেশন্স বিভাগের একজন পরিচালকের নের্তৃত্বে সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও শাখাসমূহের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে উক্ত সেল বন্যাদুর্গত এলাকার মোবাইল নেটওয়ার্ক, অপটিক্যাল ফাইবার ট্রান্সমিশন ব্যবস্থা, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার ও ব্যান্ডউইথ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে ।
বন্যাদুর্গত এলাকায় বিটিআরসির উদ্দ্যোগে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে টোল ফ্রি নাম্বার এবং ২০টি মোবাইল হ্যান্ডসেট সরবরাহ করা হয়েছে।
সুনামগঞ্জ, সিলেট, নেত্রকোনা এই তিন এলাকায় ০৪ টি মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরদের মোট ২,৫২৮ সাইট (বিটিএস) রয়েছে। বন্যাপ্লাবিত এলাকায় অবস্থিত ১,১৫৯ সংখ্যক সাইট সমূহ বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন হয়ে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উক্ত সাইটভুক্ত এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রাপ্তিতে প্রতিবন্ধকতা দেখা দেয়। মোবাইল অপারেটরদের প্রচেষ্টায় ও অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে মোট ১৫৭ টি সাইট পুনরায় সচল করা হয় এবং অবশিষ্ট সাইট সমূহ সচল করার জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
বিটিআরসি’র লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানসমূহের মাঠ পর্যায়ের কর্মীগণ বন্যাদুর্গত এলাকার সর্বশেষ অবস্থার হালনাগাদ তথ্য কমিশনকে অবহিত করছে এবং মনিটরিং সেলের নির্দেশনায় কার্যকরী টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট মোবাইল অপারেটর, এনটিটিএন অপারেটর, আইএসপি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের মাধ্যমে নেটওয়ার্ক সচল ও নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবা প্রদানের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় জেনারেটর, অপটিক্যাল ফাইবার ও পর্যাপ্ত জ্বালানী তেলের যোগান দেওয়ার ব্যবস্থা চলমান আছে।
সুত্র – প্রেস বিজ্ঞপ্তি