কুমিল্লা শহরকে আনঅফিশিয়ালি বলা হয়ে থাকে ‘দ্য ল্যান্ড অফ সল্ট’। অনেক বছর আগে বিশিষ্ট বিজ্ঞানীরা অনেক পরীক্ষা করেও যে কারণটি বের করতে পারেননি, আজ আমরা কুমিল্লায় বিশ্রামরত সারি সারি বাসের দিকে তাকিয়েই সে জিনিসটি ব্যাখ্যা করতে পারি। তবে কুমিল্লার পর একই কাহিনীর পুনরাবৃত্তি জানা গেছে ফরিদপুরের অধিবাসীদের কাছ থেকেও। এক গোপন সূত্রে জানা যায়, পদ্মা সেতু চালু হবার পর থেকে ফরিদপুরের নদী নালা খাল বিলে কেবল লবণ! এমনকি রান্না করা খাদ্যদ্রব্যেও বেড়ে গেছে লবণের পরিমাণ।
ফরিদপুর অধিবাসীদের এমন অভিযোগে কুমিল্লাবাসীরা একচোট হেসে নেন। হাসাহাসির পর তারা একে অপরকে বুকে জড়িয়ে ধরেন। ফরিদপুরবাসীর কানের কাছে ফিসফিসিয়ে কুমিল্লাবাসী বলেন, ‘ফার্স্ট টাইম?’ প্রথমে মন খারাপ করলেও পরবর্তীতে ব্যাপারটি বুঝতে পারেন ফরিদপুরের বাসিন্দারা।
কুমিল্লার হাশেম (২৪) নামের এক তরুণ eআরকি প্রতিবেদককে জানান, ‘আপনারা সবাই জানেন এতদিন কুমিল্লা শহর মানুষের সুস্বাস্থ্য রক্ষায় কীভাবে পাশে থেকেছে। এমনকি কিডনী দিবসে বিশেষ অবদানের জন্য একমাত্র জেলা হিসেবে বিশেষ পুরস্কার ও সম্মাননাও পেয়েছে। সামগ্রিক ব্যাপারটি আমাদের জন্য গর্বের হলেও একই সাথে ছিলো বিব্রতকর। ইয়ের গন্ধে ঘর থেকে বের হওয়া মুশকিল৷ যাত্রীরা বেশি বেশি পানি খাইলেও ব্যাপারটা বুঝতাম… তবে পদ্মা সেতু হওয়ার পর আমাদের সমকক্ষ ও প্রতিযোগি হিসেবে ফরিদপুরকে পাশে পেয়ে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। আশা করি শীঘ্রই ফরিদপুরকে ‘দ্বিতীয় কুমিল্লা’ হিসেবে ঘোষণা দেয়া হবে… ’
কুমিল্লাবাসী অহংকার একটু বেশিই উল্লেখ করে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ফরিদপুরবাসী বলেন,
‘এখন থেকে আমরা যাত্রীদের ইয়ে জমায়ে রাখবো। দেখি কুমিল্লা কেমনে টক্কর দেয়। খালি নাম বেঁচে খাইলে হবে না, এখন আমাদের স্বপ্নের পদ্মা সেতু আছে। প্রতি মাসের শেষে হিসাব হবে কোন জেলায় কত গ্যালন ইয়ে জমছে। যেখানে বেশি, সেই চ্যাম্পিয়ন…’