প্রথমবারের মতো ৪৬০ কোটি বছর আগের মহাকাশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ রঙিন ছবি প্রকাশ করেছে মার্কিন মহাশূন্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসা। ১০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ থেকে তোলা এই ছবিতে গ্যালাক্সীতে ভরপুর এবং মহাবিশ্বের সবচেয়ে গভীরতম চেহারা দেখা যায়। এই নিয়েই ফেসবুকে চলছে তুমুল আলাপ-আলোচনা।
তবে এ আলোচনাকে ছাপিয়ে আলোচনায় চলে এলেন বনানীর সুমাইয়া হক(২৭) নামের এক তরুণী। জেমস টেলিস্কোপ নিয়ে চারদিকে বিজ্ঞানমনস্ক কথাবার্তা চললেও সুমাইয়া নাসা বরাবর করেছেন এক আশ্চর্য অপ্রাসঙ্গিক আবদার। এক বিশ্বস্তসূত্র থেকে জানা গেছে, তিনি জেমস টেলিস্কোপে স্বামীর অতীত দেখতে চান। এ ব্যাপারে সুমাইয়া বলেন, ‘৪৬০ কোটি বছর আগের জিনিস দেইখা ফেলাইছে আর আমার স্বামীর জিনিসপত্র তো চার-পাঁচ বছর আগের। আমার বিয়ের সময় সে বলছিলো তার আগে কোন সম্পর্ক টম্পর্ক ছিলো না। কিন্তু ইদানীং আমি কিছু জিনিসপত্র শুনতেছি যেটা আমার সন্দেহ উদ্রেক করতেছে। আমার তীব্র বিশ্বাস এই জেমস টেলিস্কোপ দিয়ে ওর অতীত জানা সম্ভব। অবশ্য বড় বড় গার্লস গ্রুপগুলাই এই টেলিস্কোপের কাজ করে, তারপরও একটু নিশ্চিত হইতে চাই…বুঝেনই তো…’
জানা গেছে, নাসা বরাবর এক দরখাস্ত করেছেন সুমাইয়া। বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, ‘৪৬০ কোটি বছর আগের জিনিস যদি এতো ক্লিয়ারলি দেখা যায়, চার পাঁচ বছর আগের জিনিস না জানি কেমনে দেখা যাবে! নাসার ভাইদেরকে বলছি যে মেয়েগুলার সাথে সম্পর্ক ছিলো ওদের নামটা যদি পাওয়া যায় তাইলে ঝগড়ার সময় একটু এগিয়ে থাকা গেলো।’
এই আবদারে বিস্মিত ও মুগ্ধ হয়েছে মহাশূন্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসা। নাসার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা একটি ফেক অ্যাকাউন্ট থেকে বলেন, ‘জেমস টেলিস্কোপকে যে আরও ১০১ টি কাজে লাগানো যেতে পারে, এ ব্যাপারটা আমাদের মাথায়ই আসেনি। বাংলাদেশীদের ক্রিয়েটিভিটির কথা ভাবলেই ভীষণ হিংসে হয়। তাই আমরা চিন্তা করছি নাসার সদর দপ্তর আমেরিকা থেকে ঢাকার বাড্ডায় শিফট করা যায় কি-না। তাহলে বাংলাদেশীরাও নানারকম বুদ্ধি দিয়ে আমাদের কাজে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অংশগ্রহণ করতে পারবে… এটি আমাদের সৌভাগ্য ছাড়া আর কিছুই নয়…’