টেকশহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : কাস্টমাইজড পণ্যে সাফল্যের পথে হাঁটছেন টু ইমপ্রেসের জেসমিন আক্তার সুমি । পরিবারের প্রয়োজনে উপার্জনের পথে নতুন উৎস তৈরি করতেই জেসমিনের শুরু ।
কেন এলেন অনলাইনে উদ্দ্যোক্তা হতে ? এমন প্রশ্নে জেসমিন বললেন, সময় এবং পরিস্থিতি অনেক কিছু শেখায় । আমি মূলত সময়ের দাবী পূরণেই এসেছি ।
হাজবেন্ড দীর্ঘ ৫ বছর যাবত ক্যান্সার আক্রান্ত , তাঁর চিকিৎসা, একমাত্র মেয়ের পড়াশুনা , সংসার কিভাবে চলবে – এমন হাজারো ভাবনা থেকেই উদ্দ্যোক্তা হবার প্ল্যান আসে মাথায় । বিষয়টিকে উসকে দেয় উইমেন এন্ড ই কমার্স ট্রাস্টের চেয়ারম্যান নাসিমা আক্তার নিশার একটি লাইভ। লাইভে মেয়েদের কর্মমুখী হবার জন্য প্রভাবিত করছিলেন তিনি । দেরি না করে সেই রাতেই শাশুড়ির রুমে ছুটে যান , মা কে বলেন , সবাই করছে , পারছে , আমিও কিছু করতে চাই ।
মা প্রথমে অবাক হয়ে চেয়েছিলেন তাঁর দিকে তারপর জেসমিনের চোখে আত্মবিশ্বাস দেখেই হয়ত অনুমতি দিলেন । জেসমিনের এই অনুমতিটার প্রয়োজন ছিল অনেক বেশি । সাথে ইনভেস্ট করার জন্য মা নিজ হাতে দিলেন ১৫ হাজার টাকা ।
বউ শাশুড়ি গেলেন বাজার করতে , কোথা থেকে কি করবেন , কি করে যাবেন কিছুই জানতেন না , কেবল জানতেন তাকে করতে হবে । একটা কিছু করতে হবে । এই উদগ্রীব আকুতিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে দিতে উই গ্রুপের মাস্টার ক্লাস চলতে থাকল পুরোদমে ।
মেয়ের আগ্রহ উচ্ছাসের সাথে স্বামীর হাজারো প্রশ্ন , ভয় , আশঙ্কা ইত্যাদিকে পরাজিত করতে বদ্ধ পরিকর ছিলেন জেসমিন। অদম্য স্ত্রীকে তাই তিনি নিজেই ফেইসবুক পেইজ ওপেন করে দিলেন । তবে অনলাইনের আগে অফলাইনেই বিক্রি শুরু হয়ে গেল জেসমিনের । ব্লকের বেড কাভার, পর্দা , শাড়ি, থ্রি পিস, কুশন কাভার ,মাস্ক ইত্যাদি নিয়ে কাজ করছেন জেসমিন । ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা হিসেবে প্রায় সব ধরনের পণ্যের সমাহার করতে চান নিজের শো রুমে।
কাজ করতে করতে শিখেছেন , শিখছেন প্রতিনিয়ত । গল্পের বিস্তারিত দেখুন ইউটিউব লিংকে ।