৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে নোয়াখালীর হাতিয়ার উপজেলায় চেয়ারম্যান ঘাটের ফিরেছে ফিশিং বোট এমভি আরাফ-৩। এ বোটে মিলল ১০২ মণ ইলিশ। নিলামে বিক্রি হয়েছে ২৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা। চেয়ারম্যান ঘাটের মেঘনা ফিশিংয়ে এসব ইলিশ বিক্রি করা হয়।
মেঘনা ফিশিংয়ের ম্যানেজার মো. হাবিব ভূইয়া বলেন, ২১ জন জেলে মাছগুলো ৩ দিনে ধরেছে। আজ সকালে বোটটি চেয়ারম্যান ঘাটে এসেছে। বিভিন্ন সাইজের মাছ ছিল। তবে বড় সাইজের ইলিশ মাছ বেশি ছিল। নিলামে দাম তুলতে তুলতে শেষ পর্যন্ত ১০২ মণ ইলিশের দাম হয়েছে ২৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
তিনি আরও বলেন, হাতিয়ার জেলেরা গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যায় কিন্তু তাদের ঘর-বাড়ি নদীতে ভেঙে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি ব্লকের ব্যবস্থা করেন, তাহলে এই জেলেরা দেশের অর্থনীতিতে ভালো ভূমিকা রাখতে পারবে।
বোটটির সারেং মো. জহির বলেন, মেঘনা নদীতে ইলিশ কম। তাই গভীর সমুদ্রে গিয়েছি মাছ ধরতে। সেখান থেকে আসতে আমাদের ১৩ ঘণ্টা সময় লেগেছে। মাছগুলো আকারে বড় হয়েছে। দামও ভালো পেয়েছি।
হাতিয়া মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. আখতার হোসেন বলেন, গতকাল ৯৯ মণ মাছ পেয়েছে একটি বোট। আজ ১০২ মণ পেল আরেকটি বোট। প্রতিনিয়ত সমুদ্রে যাওয়া বোটগুলো ঘাটে আসছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন বলেন, জেলায় নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ৪০ হাজারের বেশি। এছাড়া বিভিন্ন এলাকা থেকে আমাদের মোহনায় মাছ ধরতে জেলেরা আসে। ইলিশ শিকার করে জেলেরা ফিরতে শুরু করেছে।