শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বাঙালি জাতির মুক্তির দিশারী: সালাম মূর্শেদী
খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মূর্শেদী বলেছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বাঙালি জাতির মুক্তির দিশারী। তার ডাকে পাকিস্তানের শোষক গোষ্ঠীর হাত থেকে মুক্তি পেতে জাতি র্ধম-বর্ণ নির্বিশেষে এ দেশের কৃষক-শ্রমিক ও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে দেশকে স্বাধীন করেছিল। জাতির পিতার বিচক্ষণ নেতৃত্বে মাত্র ৯ মাসে এ দেশ স্বাধীন হয়েছিল।এ জন্য বঙ্গবন্ধুকে জীবনের অধিকাংশ সময় কারাভোগ করতে হয়েছে। জাতির পিতা যখন ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরলেন তখন সর্ব স্তরের মানুষ তাকে এক নজর দেখতে ছুটে যান বিমানবন্দরে।সেদিন মানুষের অপার ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। এমপি সালাম মুর্শিদী বলেন জাতির পিতার যোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন ক্ষমতায় থাকেন আমাদের দেশে কৃষিতে এবং শিক্ষায় ব্যাপক উন্নয়ন ঘটে।শেখ হাসিনা সরকার কৃষিবান্ধব ও শিক্ষাবান্ধব সরকার। তিনি বাংলাদেশকে সোনার বাংলায় পরিনত করতে দিনরাত পরিশ্রম করে চলেছেন। তিনি আরও বলেন লোডশেডিং বর্তমানে আন্তর্জাতিক সমস্যা। আমাদের দেশে এ সমস্যা সমাধানের চেষ্টায় সরকার কাজ করে চলেছে এবং দ্রুত এর সমাধান হবে। কিন্তু বিরোধী চক্র সরকারের সুনাম নষ্ট করার জন্য পায়তারা করে বেরাচ্ছে। তাই আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্ত করতে আমাদের সকল পর্যায়ের তৃনমূল নেতা কর্মীকে এক্যবদ্ধ হয়ে সেইসব অপশক্তির মোকাবেলা করতে হবে।
তিনি ২ আগষ্ট বিকালে রূপসা উপজেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস ও সাংগঠনিক বিষয়ে তৃনমূল আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন রূপসা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি,উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ কামাল উদ্দীন বাদশা। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন জেলা আওয়ামীলীগ সদস্য ফ,ম আঃ সালাম,জাহাঙ্গীর হোসেন মুকুল, মুক্তিযোদ্ধা আঃ মজিদ ফকির। রূপসা উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক এবিএম কামরুজ্জামানের পরিচালনায় বক্তৃতা করেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আয়ূব মল্লিক বাবু, মোল্যা আরিফুর রহমান,মোর্শেদুল আলম বাবু,খান শাহাজান কবীর প্যারিস,আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা ইমদাদুল ইসলাম,সেলিম মোল্যা, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক নেতা মোতালেব হোসেন,আওয়ামীলীগ নেতা এসএম হাবিব,আকতার ফারুক, গাজী মোঃ আলী জিন্নাহ, ফারহানা আফরোজ মনা, শ,ম জাহাঙ্গীর,চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ইসহাক সরদার, আওয়ামীলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, রবিউল ইসলাম বিশ্বাস, মনিরুজ্জামান মনি, জাহাঙ্গীর হোসেন,বিনয় কৃষ্ণ হালদার, কামাল হোসেন বুলবুল, সরদার মিজানুর রহমান, আরিফুজ্জামান লিটন, মুনির হোসেন মোল্যা, ওয়াহিদুজ্জামান মিজান, আঃ মান্নান শেখ, রুহুল আমিন রবি, রাজীব দাস টাল্টু,ফরিদ শেখ, আওরঙ্গজেব স্বর্ন, আাসাদ শেখ,তাহিদ মোল্যা,মাধূরী সরকার,রনজিত বিশ্বাস, যুবলীগ নেতা সাইদুর রহমান ছগির,সুব্রত বাগচী, কামরুজ্জামান সোহেল, শফিকুর রহমান ইমন, আরাফাত হোসেন সাকিব,শারাফাত হোসেন উজ্জল, রবিউল ইসলাম, তারেক আজিজ, আবুল কালাম আজাদ, শাহনেওয়াজ কবীর টিংকু, রতন মন্ডল, খায়রুজ্জামান সজল, সাইফুল ইসলাম শাওন,মুসা লস্কর, আশিক ইকবাল, আঃ করিম শেখ, আরমান মিয়া,নাজিম মোড়ল,উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা আশিকুজ্জামান তানভির, সাফিরুল ইসলাম হিমেল, জুয়েল সরদার,আরিফুর ইসলাম কাজল,নাজমুল হুদা অন্জন,রিয়াজ শেখ, রূবেল মোল্যা, ইখতিয়ার লস্কর, আশিষ বিশ্বাস, সাব্বির, আজমাইন, মুরাদ মোল্যা, আজমল ফকির, ইন্দ্রজিত বিশ্বাস,সাইফুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম সোহাগ, রুমিছা বেগম, সেহরিন আক্তার, লিপিকা রানী দাস প্রমূখ।
এরপূর্বে এমপি সালাম মূর্শেদী রূপসার প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় ও পুনবার্সন কেন্দ্রে প্রধান অতিথি হিসাবে নতুন ভবনের উদ্বোধন এবং ছাত্রীদের মাঝে খাবার বিতরন করেন। উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন রূপসা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ কামাল উদ্দীন বাদশা,এনভয় গ্রুপের চেয়ারম্যান মিসেস সারমিন সালাম, রূপসা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রূবাইয়া তাছনিম,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা আফরোজ মনা, রূপসা থানা অফিসার ইনচার্জ সরদার মোশাররফ হোসেন,জেলা আওয়ামীলীগ নেতা ফ,ম সালাম, জাহাঙ্গীর হোসেন মুকুল, প্রকৌশলী এসএম ওয়াহিদুজ্জামান,ঘাটভোগ ইউপি চেয়ারম্যান ওয়াহিদুজ্জামান মিজান। অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলামের সভাপতিত্বে ও যুবলীগ নেতা সুব্রত বাগচীর পরিচালনায় বক্তৃতা করেন সমাজসেবা কর্মকর্তা জেসিয়া জামান, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফারহানা ইয়াসমিন, আওয়ামীলীগ নেতা আঃ মজিদ ফকির, ইমদাদুল ইসলাম,গাজী মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, রুহুল আমিন রবি,রাজীব দাস টাল্টু, আকলিমা খাতুন তুলি, সারমিন সুলতানা রুনা,যুবলীগ নেতা নোমান ওসমানী রিচি,আবুল কালাম আজাদ, শামসুল আলম বাবু প্রমূখ।
এরপর এমপি সালাম মূর্শেদী রূপসার নতুনদিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,বান্ধাখাল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং রূপসা কৃৃষিকেন্দ্রে নতুন ভবন এবং ফল মেলার উদ্বোধন করেন।
দাকোপে ভ্রাম্যমান আদালত ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ২৪ হাজার ৫শত টাকা আদায়
মোঃ শামীম হোসেন- বাজুয়া
খুলনার দাকোপে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মিন্টু বিশ্বাস উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমান আদালত ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ২৪ হাজার ৫শত টাকা আদায় করেছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিস সুত্রে জানা গেছে, গত ১২ জুলাই থেকে ২৭ জুলাই পর্যন্ত চালনা পৌরসভার ও উপজেলা বিভিন্ন স্থানে সড়ক পরিবহন আইন, ধূমপান আইন, ভোক্ত অধিকার আইন, মৎস্য আইনসহ বিভিন্ন আইনে ১৬ ব্যাক্তির কাছ থেকে ২৪ হাজার ৫শত টাকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মিন্টু বিশ্বাস ভ্রাম্যমান আদালত ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে আদায় করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সেলিম সুলতান, নির্বাহী অফিসের নাজির বিকাশ চন্দ্র বর্মন ও নৌ-পুলিশ এবং থানা পুলিশের সদস্য বৃন্দ।
২০২৩ সালের নির্বাচনে বিজয়ের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মানের পথে এগিয়ে যেতে হবে: বাবুল রানা
খবর বিজ্ঞপ্তি
শোকাবহ আগষ্ট মাস যথাযথ মর্যাদায় পালন উপলক্ষ্যে আজ ০২/০৮/২০২২ইং তারিখ রোজ মঙ্গলবার বাদ আছর দলীয় কার্যালয়ে খুলনা মহানগর শ্রমিক লীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা। সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা মহানগর শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মোতালেব মিয়া। সভা পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রনজিত কুমার ঘোষ।
সভায় প্রধান অতিথি এম ডি এ বাবুল রানা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদেরকে স্বাধীন একটি রাষ্ট্র উপহার দিয়েছিলো তাঁর জীবনকে বিসর্জন দিয়ে। স্বাধীন বাংলাদেশের সূর্য্য অস্তমিত করার জন্য ৭১ এর পরাজিত শক্তি ও এদেশীয় ঘাতক দালালদের ষড়যন্ত্রে ৭৫ এর ১৫ আগস্ট স্ব-পরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়। তারা ভেবেছিল বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে পারলে স্বাধীন বাংলাদেশ একটি অকার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে পরিনত হবে। কিন্তু আল্লাহর রহমতে সেদিন বেচে যাওয়া তার জ্যোষ্ঠ কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা শক্তহাতে দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশকে একটি আধুনিক ও সুখি সমৃদ্ধ রাষ্ট্র হিসেবে পৃথিবীর বুকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তার প্রত্যাশা আগামী ৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে গড়ে তোলা। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০২৩ সালের নির্বাচনে বিজয়ের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মানের পথে এগিয়ে যেতে হবে। এজন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। তিনি উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, সকলকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আদর্শিক কর্মী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
সভায় জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে খুলনা মহানগর শ্রমিক লীগের উদ্যোগে আগামী ১৮ আগস্ট বাদ আছর দলীয় কার্যালয়ে শোক সভা ও দোয়া মাহফিল করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। আগামী ৫, ৮, ১১, ১৫, ১৭, ২১, ২৫ আগস্ট ও ৬ সেপ্টেম্বর খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ ঘোষিত সকল কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এছাড়াও মাসব্যাপি আরো অনেক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয় এবং খুলনা মহানগর শ্রমিক লীগের অন্তর্গত সকল সংগঠনকে মাস ব্যাপি বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করার আহবান জানান হয়। সভায় খুলনা মহানগর শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মোতালেব মিয়া গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক মুক্তিযুদ্ধের ডিজিটাল সনদ পাওয়ায় তাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয়।
সভায় বক্তব্য রাখেন, মল্লিক নওশের আলী, মোঃ দুলাল মল্লিক, মোঃ বাবুল হোসেন, মোল্লা মাহাবুবুর রহমান, মোঃ সেলিম, কাজী আঃ ওহাব, আব্দুর রহিম খান, মোল্লা আজাদ আলী, আঃ রশিদ শিকদার, কিংকর সাহা, মোঃ আসাদুজ্জামান মুন্না, শরীফ মোর্ত্তজা আলী, মুন্সী ইউনুস, খন্দকার রফিকুল ইসলাম, মোঃ মতিউর রহমান, মোঃ জামাল হোসেন, মোঃ হাবিবুর রহমান হাবি, মোঃ শাহ আলম শেখ, মোঃ মোশারফ হোসেন, শেখ মোঃ রমজান, হুমায়ুন কবির খান হিমু, মোঃ মোত্তাহিদুর রহমান অপু, মোঃ শরিফুল ইসলাম, মোঃ আলমগীর মল্লিক, মোঃ রফিকুল ইসলাম, মোঃ বাবুল হোসেন, মোঃ জাবেদ মিয়া, মোঃ আক্তার হোসেন, মোঃ শরিফুল, মোঃ আনিছুর রহমান, বিপ্লব কুমার দে, মোঃ নূর ইসলাম, মোঃ আজিম উদ্দিন, খান মোঃ মিথুন, মোঃ বাবুল শেখ, কাজী রফিকুল বারী, মাছুমা আক্তার রানী, সঞ্জয় কর্মকার, মোঃ আসলাম হোসেন, মোঃ হাবিবুর রহমান, মোঃ শামুর আলম মান্দার, মোঃ বায়জিত সরদার, সঙ্কর কুন্ডু, মোঃ আয়ূব শেখ, মোঃ জব্বার, মোঃ আজগর, মোঃ শহিদুল, ইমরান খান, আবুল হোসেন কার্ফু, মোঃ ইদ্রিস মল্লিক, কুতুবুর রহমান, আব্দুল হাকীম, মোঃ মহরাজ, মোঃ লাভলু পাটুয়ারী, এস এম পান্না সরদার, মোঃ তৈয়ব আলী হাওলাদার, মোঃ আল আমিন ফরাজি, মোঃ রাজু, মোঃ সোহেল গাজী, মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, বিপ্লব কুমার রায়, সলেমান শিকদার, মিঠু আকন, মোঃ আল আমীন কবির, মোঃ সাদ্দাম হোসেন, মোঃ আয়নুল ইসলাম, মোঃ সেলিম খান, মোঃ শহিদুল, শহিদ কাজী, মোঃ অনিক, সঞ্জিত ঘোষ, মোঃ ফারুক, মোঃ আলামিন শেখ, মোঃ মহাসিন খান, মোঃ সোহাগ হোসেন, মোঃ খলিল প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
শেখ সোহেলের রোগ মুক্তি কামনায় খুলনা মহানগর তাঁতী লীগের দোয়া মাহফিল
খবর বিজ্ঞপ্তি
জাতির জনক এর ভ্রাতুষ্পুত্র শহিদ শেখ আবু নাসের এর সুযোগ্য সন্তান বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ এর প্রেসিডিয়াম সদস্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক শেখ সোহেল এর রোগ মুক্তি কামনায় গতকাল খুলনা মহানগর তাতী লীগের সভাপতি সাব্বির আহমেদ শুভর উদ্যোগে কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন নগর সহসভাপতি মঞ্জুর হোসেন, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম রায়হান, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মনির হোসেন.সদস্য খোকন হাওলাদার জাহিদ খান হিরোন,শেখ নাসির, বাদল, মহিন, রানা তালুকদার প্রমুখ ।
সন্ত্রাসী হামলায় আহত জাকির চেয়ারম্যান চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন
দিঘলিয়া প্রতিনিধিঃ
সন্ত্রাসী হামলায় মারাত্মকভাবে আহত বারাকপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গাজী জাকির হোসেন (৫৫) দীর্ঘ প্রায় দু’মাস চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না লিল্লাহি রাজিউন)।
নিহতের ভাইপো ও বারাকপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী আলী বাকের প্রিন্স এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, গতকাল মাঝ রাতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। আজ ( ৩ আগস্ট) সকাল ১০ টায় বারাকপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গনে নিহত গাজী জাকির হোসেনের নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হবে।
তাঁর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। গাজী জাকির হোসেন ছিলেন দিঘলিয়া উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নের মধ্যে একমাত্র নৌকা প্রতিক নিয়ে বিজয়ী ইউপি চেয়ারম্যান। এর আগেও তিনি ২ বার একই ইউনিয়নের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন।
গত ১৭ই জুন বারাকপুর বোয়ালিয়া চর নামক স্থানে একদল সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত হন, আহত চেয়ারম্যান কে উদ্ধার করে খুলনা সিটি মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দীর্ঘ প্রায় ৫০ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে সোমবার (২ আগষ্ট) দিবাগত রাত ২ টায় সময় ঢাকায় অবস্থিত বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। গত সোমবার ১ আগষ্ট ভোর সাড়ে ৪টার দিকে তাঁর শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি হলে সেই থেকে তাঁকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। লাইফ সাপোর্টপ থাকা অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী এক কন্যা, ৪ পুত্রসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন এবং গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
বর্তমানে বারাকপুর বাজার সহ-কয়েকটি এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। দিঘলিয়া থানা পুলিশ পরিস্থিতির পর্যবেক্ষণ করছে এবং সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
এদিকে গতকাল বিকাল ৫.৩০ টায় উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের উদ্যোগে সেনহাটী বড়ইতলা ঘাট হতে সেনহাটী বাজার পর্যন্ত এক বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়, বিক্ষোভ মিছিল শেষে পথসভায় বক্তারা সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্ত মূলক স্বাস্তির দাবি জানায়।
ফকিরহাটের বেতাগায় চলতি অর্থ বছরের প্রথম উন্মুক্ত ওর্য়াড সভা
ফকিরহাট প্রতিনিধি।
বাগেরহাটের ফকিরহাটের মডেল বেতাগা ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে ২০২২-২৩অর্থ বছরের প্রথম উন্মুক্ত ওর্য়াড সভা মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টায় ৩নং ধনপোতা ওয়ার্ডের ধনপোতা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্তরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইউপি সদস্য মাসুদ রানা আরিফ এর সভাপতিত্বে জনঅংশিদারিত্বে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অর্জন ও সুশাসন প্রতিষ্টা মুলক এ সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উন্মুক্ত ওর্য়াড সভার প্রবক্তা স্বপন দাশ। উদ্ভোধন করেন ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ইউনুস আলী শেখ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ দুলাল চন্দ্র দাশ, মডের থানা পুলিশের উপ পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) প্রতাব কুমার সিংহ ও বেতাগা ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়ন সহযোগী আনন্দ কুমার দাশ। উপদেষ্টা ছিলেন সংরক্ষিত মহিলা সদস্যা মোসাঃ রাফেজা বেগম।
ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নিলুফার ইয়াসমীন এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন, সহকারী শিক্ষক মোঃ নাজমুল হুদা, ইউনিয়ন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সোলায়মান মন্ডল, আ’লীগ নেতা আব্দুল্লাহ শেখ, ছাত্রলীগ নেতা গোপাল কুমার পাল, কৃষকলীগ নেতা আঃ রউফ, আবুল হাসান ও স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা শামীম হামান। সভায় বিভিন্ন ব্যক্তিরা চাহিদা দাবী করেন যা ইউপি সচিব ঢালী মাহাবুবুর রহমান খসড়া আকারে একটি রেজুলেশন করেন। এ সময় শিক্ষক সাংবাদিক জনপ্রতিনিধি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সহ বিভিন্ন শ্রেণীর ও পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন। ##
ফকিরহাটে স্কুলে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্রী নিহত
ফকিরহাট প্রতিনিধি।
বাগেরহাট-ঢাকা মহাসড়কের ফকিরহাট বৈলতলী এলাকায় মাইক্রোবাসের ধাক্কায় বৈলতলী-পিলজংগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী মরিয়ম খাতুন (১০) নিহত হয়েছে। এসময় তার সাথে থাকা সহপাঠী ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী তাজমিরা খাতুন আহত হয়েছে। ফকিরহাট মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মু. আলীমুজ্জামান জানান, মঙ্গলবার সাড়ে ১১টার দিকে মরিয়ম খাতুন ও তাজমিরা খাতুন সহ কয়েকজন শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে রাস্তা পার হওয়ার সময় খুলনাগামী অজ্ঞাত একটি মাইক্রোবাস পিছনদিক থেকে ধাক্কা দেয়। এতে মরিয়ম খাতুন ও তাজমিরা খাতুন গুরুত্বর আহত হয়। বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্ েএনে ভর্তি করে। এদের মধ্যে মরিয়ম খাতুনের অবস্থার অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য আশংকাজনক অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে চিকিৎসক জানিয়েছে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ১টার দিকে সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। ঘাতক মাইক্রোবাসটি পালিয়ে গেছে।
অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাছিমা বেগম বলেন, ৪র্থ শ্রেণির ক্লাস শুরু হয় দ্বিতীয় শিপটে দুপুর ১২টার দিকে। ওই শিক্ষার্থীরা বাড়ী থেকে বিদ্যালয়ে আসার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে বিদ্যালয়ের মরিয়ম খাতুন নামের এক শিক্ষার্থী মারা গেছে। আহত হয়েছে ্একজন। এ ঘটনায় অন্য শিক্ষার্থীরা আতংকগ্রস্থ হয়ে পড়ে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাহিদুল ইসলাম মোড়ল জানান, নিহত মরিয়ম খাতুন পিলজংগ ইউনিয়নের মো. রেজাউল ইসলামের কন্যা এবং আহত তাজমিরা খাতুন একই এলাকার ছরোয়ার ঢালীর কন্যা। এদিকে ৪র্থ শেণির ছাত্রী মরিয়ম খাতুনের মৃত্যুতে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী সহ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসছে।
রহিম হত্যার মধ্য দিয়ে সরকারের বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে:খুলনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা
খবর বিজ্ঞপ্তি।।
বর্তমান সরকার বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের হত্যা করে, গুম করে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে চায়। তারা বিগত সময়ে বিএনপির ৩ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গুম করেছে। ৩৫লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। ধোঁকাবাজ, মামলাবাজ, অত্যাচারী সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না দেশের জানগন। সকলকে প্রস্তুত থাকতে হবে শীঘ্রই হাসিনা সরকারকে হটাতে একদফার কর্মসুচি ঘোষনা হবে। ঐক্যবদ্ধভাবে খুনি হাসিনা সরকারকে বিদায় করে জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠা করে আমরা ঘরে ফিরবো। আব্দুর রহিম হত্যার শোককে শক্তিতে পরিনত করে হাসিনা হটাও আন্দোলন বেগবান করতে হবে। ভোলায় পুলিশের গুলিতে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুর রহিম নিহতের ঘটনায় কেন্দ্রীয় বিএনপির কর্মসুচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (০২ আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৩টায় খুলনা মহানগর ও জেলার বিএনপির উদ্যোগে কেডি ঘোষ রোডস্থ বিএনপি কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বক্তারা আরো বলেন সিরাজ শিকদারকে হত্যা করে খুনি আওয়ামী লীগ সরকার দেশে খুনের রাজনীতি শুরু করেন। নির্বিচারে শত শত নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। লাশের কাফেলায় আব্দুর রহিমের নাম যুক্ত হয়েছে। আব্দুর রহিম হত্যাকান্ডে মধ্যদিয়ে বর্তমান তাবেদার ফ্যাসিষ্ট সরকার জনগনের মাঝে যে আগুন জ্বালিয়েছে সেই আগুনের লেলিহান শিখায় তাবেদার সরকার জ্বলে পুড়ে ছাড়খার হয়ে যাবে তারা।
খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম দলীয় নেতাকর্মীদের গর্জে ওঠার আহবান জানিয়ে বলেন, সকলকে গর্জে উঠতে হবে, রাজপথ দখলে নিতে হবে। এই সরকার কে আর সময় দেয়া যাবে না। এখন একটাই দফা একটাই দাবি, এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে। প্রধান বক্তার সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রনেতা ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা-৩ আসনে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আলহাজ্ব রকিবুল ইসলাম বকুল বলেন, রহিম হত্যার মধ্য দিয়ে এই সরকারের বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে। আপনারা অনেকেই সরকার বিরোধী একদফার দাবি জানিয়েছেন। এই সরকারের বিদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়বো না। আপনারা রাজি আছেন? এ সময় উপস্থিত সকল নেতাকর্মীরা হাত তুলে হ্যাঁ সূচক শব্দ উচ্চারণ করেন। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার আন্দোলনের মুখে পালানোর পথ পাবে না। নদী পথে পালাতে পারেব না। হ্যালিকপ্টারে পালানোর চেষ্টা করতে পারে। কারন বঙ্গভবনে নাকি হ্যালিপ্যাড আছে। তিনি বলেন অবিলম্বে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করলে বাংলার জনগন বর্তমান হাসিনা সরকারকে ক্ষমা করলেও করতে পারে। দেশটার মালিক পুলিশ কিংবা সরকার নয়। এই দেশের মালিক আব্দুর রহিমের মতো জনগণ। হাজার হাজার কোটি টাকা বিদ্যুৎ খাতে লুটপাট করে বিদেশে পাচার করা হয়েছে। টাকার হিসাব চাইলে গুলি করে মানুষ মারবেন? আমরা পুলিশকে দোষারোপ করি গুলি করছে বলে। পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে কে? তাকে আমাদেরকে খুঁজে বের করতে হবে। এসময় বৃষ্টিতে ভিজে হাজার হাজার নেতাকর্মী হাসিনা হটাও স্লোগান দিতে থাকে। বক্তারা আরো বলেন, অচিরেই বাংলাদেশে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে। সকল অনাচারের বিচার এই দেশের মাটিতেই হবে এবং আইনের কাঠগড়ায় দাড় করানো হবে অবৈধ সরকারকে।
খুলনা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পির পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির আহবায়ক আমির এজাজ খান, খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, স ম আ. রহমান, অ্যাড. কাজী মাহমুদ আলী, আজিজুল হাসান দুলু, শের আলম সান্টু, আবুল কালাম জিয়া, বদরুল আনাম খান, মাহাবুব হাসান পিয়ারু, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, একরামুল হক হেলাল, মাসুদ পারভেজ বাবু, শেখ সাদী, হাসানুর রশিদ চৌধুরী মিরাজ, আশরাফুল আলম নান্নু, শেখ জাহিদুল ইসলাম, আ. রাজ্জাক, হাফিজুর রহমান মনি, শাহিনুল ইসলাম পাখি, রুবায়েত হোসেন বাবু, মুর্শিদ কামাল, আরিফ ইমতিয়াজ খান তুহিন, কে এম হুমায়ুন কবির, সাজ্জাদ হোসেন তোতন, সৈয়দ সাজ্জাদ আহসান পরাগ, কাজী মিজানুর রহমান, একরামুল কবির মিল্টন, শেখ ইমাম হোসেন, হাবিব বিশ্বাস, হাসান উল্লাহ বুলবুল, শেখ জামাল উদ্দিন, আবু সাঈদ হাওলাদার আব্বাস, আফসার উদ্দিন মাস্টার, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, আনসার আলী, নাসির খান, আব্দুস সালাম, আব্দুর রহমান ডিনো, নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগর, ফারুক হোসেন হিল্টন, তারিকুল ইসলাম, মো. জাহিদ হোসেন, মিজানুর রহমান মিলটন, শফিকুল ইসলাম শফি, আক্কাস আলী, ফারুক হোসেন, মুজিবর রহমান, আজিজা খানম এলিজা, মাসুদ খান বাদল, এড. আব্দুল মজিদ, জি এম রফিক, মনিরুজ্জামান লেলিন, এবাদুল হক রুবায়েত, মনির হাসান টিটো, এস এম এনামুল হক, সামসুল বারী পান্না, ইঞ্জি. নুরুল ইসলাম বাচ্চু, আবু সাঈদ শেখ, ইশতিয়াক হোসেন ইসতি, আব্দুল মান্নান মিস্ত্রি, তাজিম বিশ্বাস, এড. কানিজ ফাতেমা আমিন, গোলাম মোস্তফা তুহিন, শাহ আলম, আনোয়ার হোসেন আনো, জাবির আলী, আশরাফী আফিফা চুমকি, কাওসারী জাহান মঞ্জু, কাজী আব্দল লতিফ, এইচ এম আসলাম, লিটন খান, মোস্তফা কামাল প্রমূখ। সমাবেশ স্থলে দুপুর থেকে বিভিন্ন থানা ওয়ার্ড থেকে মিছিল সহকারে নেতাকর্মীরা জমায়েত হতে থাকে। বিকাল ৪টায় কেডি ঘোষ রোড কানায় কানায় পুর্ন হয়ে যায়। এ সময় নেতাকর্মীরা সরকার বিরোধী নানা স্লোগান দিতে থাকে।
পাটকেলঘাটা ব্রিজের উপর বড় গর্ত ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন
এস.এম মজনু, পাটকেলঘাটা
খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের পাটকেলঘাটা বড় ব্রিজের উপর দীর্ঘদিন ধরে পিচ খোয়া উঠে গিয়ে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সড়ক ও জননপদ বিভাগের পুটিংয়ের ব্যাপারে কোন মাথা ব্যাথা নেই। যানবাহন চলাচল করছে ঝুকি নিয়ে।
১৯৫৭ সালে ব্রিজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন আইয়ুব খান। ব্রিজটি নির্মান করতে সময় লাগে দীর্ঘ ৮বছর। ১৯৬৫ সালে ব্রিজটি উদ্ভোধন করেন তৎকালীন সময়ের সামরিক সরকার। ব্রিজটির মেয়াদ বর্তমানে ৫৬ বছরে পদার্পন করেছে। কিন্তু ব্রিজটি এখনও খুবই মজবুত রয়েছে। সাতক্ষীরা স্থলবন্দর ভোমরা থেকে ট্রাক গুলি মালামাল নিয়ে উক্ত ব্রিজের উপর দিয়ে রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় গমন করে। এছাড়া ঢাকাগামী পরিবহন, লোকাল বাস, মাইক্রো, পিকআপ, ১০ চাকার পিকআপ ৪০-৪৫ টন মালামাল নিয়ে, ৬ চাকার ট্রাক ৩০ টনের মত মালামাল নিয়ে চলাচল করে। গাড়ির চাকাগুলি যখন ঐ গর্তের মধ্যে পড়ে তখন ব্রিজটা থরথর করে কাঁপে। এদিকে রাধের আঁধারে অনেক ভ্যান সাইকেলগুলি ব্রিজের গর্তের মধ্যে পড়ে ভেঙ্গে যায়। এসময় সাইকেল ও ভ্যান চালকরা আহত হয়। মোজাহার কোম্পানি ব্রিজের উপর কার্পেটিং করেছে যার মেয়াদ ১বছর না হতেই ব্রিজের উপর গর্তে পরিনত হয়েছে। এই মুহুর্তে উক্ত ব্রিজের উপরের গর্তটি যদি পুটিং না করা হয় তাহলে বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে। তখন এই ক্ষতির দ্বায় দায়িত্ব কে নেবে ?
পাটকেলঘাটায় পুলিশের সহযোগীতায় মোবাইল উদ্ধার
পাটকেলঘাটা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
পাটকেলঘাটায় মোবাইল ফোন চুরি হওয়ার ৫ মাস পর পুলিশের সহযোগীতায় উদ্ধার। কিন্তু ফোনের মালিক চোরের ছবি সহ ফেসবুকে চুরির ঘটনা পোস্ট করলে সেটা দেখে রেগে যান চোর। পরে চোর সবুজ পোস্ট দাতাকে হুমকি দিয়ে বলে তোকে দেখে নেব।
গত ৫ মাস পূর্বে চুরির ঘটনার জেরে থানায় লিখিত জিডির বিবরণে জানাগেছে পারকুমিরা গ্রামের আব্দুর রশিদ পাটোয়ারীর ছেলে সবুজ (৪২) পাটকেলঘাটা ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার জামসেদ আলীর ছেলে শেখ ইমাম হোসেনের একটি এন্ড্রয়েড মোবাইল চুরি করে যায় যার মূল্য ২৫ হাজার টাকা। এ ঘটনায় পাটকেলঘাটা থানায় একটি জিডি করে যার নং-৩৭৯। থানা পুলিশের সহযোগীতায় ৫ মাস পর ফোন সহ চোরকে আটক করে। মেম্বার মানবতায় চোর সবুজকে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পাটকেলঘাটা থানায় একটি জিডির প্রস্তুতি চলছিল।
প্রফুল্লচন্দ্র রায় ছিলেন বিজ্ঞানী বেশে বিপ্লবী:আলোচনা সভায় বক্তারা
খবর বিজ্ঞপ্তি
প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের মূল মন্ত্র ছিল তার দেশসেবা। ব্রিটিশ গোয়েন্দা দপ্তরে প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের নাম লেখা ছিল ‘বিজ্ঞানী বেশে বিপ্লবী’। স্বদেশি আন্দোলনের প্রথম পর্যায় থেকেই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন তিনি। ১৯০৫ এ বঙ্গভঙ্গের ঘোষণাকে কেন্দ্র করে যখন বাংলায় বিপ্লবী আন্দোলন সক্রিয় হয়ে ওঠে, তখন গোপনে তিনি বিপ্লবীদের অর্থ সাহায্য করতেন। বাংলায় বিজ্ঞান চর্চার সুফল পৌঁছে দিয়েছিলেন তিনি গণমানুষের মাঝে। তার জীবনের সবটুকুু জুড়েই ছিল এদেশের মানুষ। বলতেন, ‘আমার সমস্ত কিছুর কেন্দ্রবিন্দুই এদেশের মানুষ ভালো থাকবে বলে।’ আমরা আজ যে সমবায়ের কথা বলি তার জনক ছিলেন আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়। রবীন্দ্রনাথ তার সম্পর্কে লিখেছিলেন, ‘সংসারে জ্ঞানী তপস্বী দুর্লভ নয়, কিন্তু মানুষের মনের মধ্যে চরিত্রে ক্রিয়া প্রভাবে তাকে ক্রিয়াবান করতে পারে এমন মনীষী সংসারে কদাচ দেখতে পাওয়া যায়’। এভাবে বললেন গুণীজন স্মৃতি পরিষদের আলোচনায় বক্তারা।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় গুণীজন স্মৃতি পরিষদের আয়োজনে মহীয়সী রোকেয়া পাঠাগার মিলনায়তনে বিজ্ঞানী প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের ১৬১ তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র ও তাঁর জনহিতকর কর্মকাণ্ড নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি এ্যাডঃ শামীমা সুলতানা শীলু।্ সঞ্চালনা করেন লেখক ও সাংবাদিক গৌরাঙ্গ নন্দী। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শিক্ষাবিদ অসিতবরণ ঘোষ, পিসি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মুজিবর রহমান, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ট্রেজারার মোহাম্মদ মাজহারুল হান্নান, গুণীজন স্মৃতি পরিষদের উপদেষ্টা শ্যামল সিংহ রায়,মহানগর ওয়ার্কার্স পাটির মফিদুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন দিলু, সিপিবি নেতা এস এম চন্দন,খুলনা উন্নয়ন ফোরামের কো-চেয়ারম্যান ডাঃ সৈয়দ মোসাদ্দেক হোসেন বাবলু, কবি সৈয়দ আলী হাকিম, এপিসি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফাহইমদা সুলতানা,খুলনা পোল্ট্রি ফিস ফিড শিল্প মালিক সমিতির মহাসচিব এস এম সোহরাব হোসেন, ছাত্র ইউনিয়নের মহানগর কমিটি সাধারন সম্পাদক জয় বৈদ্য, দীপ কুমার বৈদ্য, এম এম হাসান, মোসাম্মাৎ আনোয়ারা পারভীন, মুক্তা জামান, দৌলতুন্নেছা কিন্ডার গার্টেনের প্রিন্সিপ্যাল দিরারা নাসরিন, মাহমুদা খাতুন বদরুণ নাহার, আনোয়ারা খাতুন, সুমাইয়া আক্তার,খুলনা আর্ট কলেজের পরিচালক বিধান চন্দ্র রায়। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মহেন্দ্রনাথ সেন।
বক্তারা বলেন,বর্তমান যে খুলনা টেক্সটাইল মিলস এটি তার হাতেই গড়া। তরুণদের ব্যবসা করতে দারুণভাবে উদ্বুব্ধ করতেন তিনি। বলতেন ‘লক্ষ্য স্থির করো। ঝুঁকি নাও। কেবল মুখস্ত বিদ্যার জন্য নয়, পড়ো কারিগরি শিক্ষা অর্জনের জন্য। চাকরি না করে ব্যবসা করো। একটা সমগ্র জাতি শুধুমাত্র কেরানী হয়ে টিকে থাকতে পারে না।’
বক্তারা বলেন, সবার আগে ছিল তার মানবতাবোধ। ১৯২২ সালের ভয়াবহ বন্যায় সমগ্র বাংলা ঘুরে ঘুরে অর্থসংগ্রহ এবং ত্রাণকার্য করেছিলেন নিজে। শুধু ১৯২২ নয়, তার আগের বছর চতুর্থ বার ইংল্যান্ড ভ্রমণ শেষে তিনি দেশে ফিরে খুলনার সুন্দরবন অঞ্চলে দুর্ভিক্ষের খবর পেয়েই ছুটে গিয়েছিলেন।
জাতীয় শোক দিবসকে সামনে রেখে খুলনা বেতার কেন্দ্রের বঙ্গবন্ধু স্মৃতি ভাস্কর্য সংস্কার
।। নাজমুল হক লাকি।।
জাতীয় শোক দিবসকে সামনে রেখে খুলনা বেতার কেন্দ্রে নির্মিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৃষ্টিনন্দন স্মৃতি ভাস্কর্য সংস্কার করা হয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মকবুল হোসেন খুলনা বেতার কেন্দ্র পরিদর্শনকালে জাতির পিতার পনের ফুট দৈর্ঘ্যের মূল ভাস্কর্যসহ বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য কমপ্লেক্সের মধ্যে আরও যে চারটি ছোট আকৃতির ভাস্কর্য রয়েছে, সেগুলোও সংস্কারের নির্দেশ দেন।
খুলনা বেতারের আঞ্চলিক পরিচালক নিতাই কুমার ভট্টাচার্যের সার্বিক তত্ত্বাবধানে শুরু হয় সংস্কার কাজ এবং শোকের মাস আগস্টের শুরুতে তা সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। সংস্কার করতে প্রায় এক মাস সময় লেগেছে বলে জানান শিল্পী বিধান চন্দ্র রায় ও প্রদ্যুৎ কুমার ভট্ট। সংস্কার কাজে হোয়াইট সিমেন্ট, গ্রে সিমেন্ট ও পাথর ব্যবহার ক’রে, সূক্ষ্ম পরিশ্রমের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর ক্ষতিগ্রস্ত ভাস্কর্যের সংস্কারকাজ ভালোভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে। মূল ভাস্কর্য বেদীতে পিতলের যে ম্যুরাল রয়েছে সেগুলো কালো হয়ে গিয়েছিল, সেখানে আমরা কিছু ক্যামিকেল ব্যবহার করে আগের পরিস্কার, ঝকঝকে অবস্থায় ফিরিয়ে এনেছি বলে জানান শিল্পীরা।
আঞ্চলিক পরিচালক নিতাই কুমার ভট্টাচার্য বলেন, জাতির পিতার ৭ মার্চের ভাষণের আদলে নির্মিত এই শৈল্পিক ভাস্কর্যটি বাঙালির সাহস ও আত্মবিশ^াসের প্রতীক হয়ে খুলনা বেতারসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলে আলো ছড়াচ্ছে। এই ভাস্কর্যেই ৭ মার্চ ভাষণ দিবস, ১৭ই মার্চ জাতির পিতার জন্মদিন ও শিশু দিবস এবং ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবসসহ বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠানে পুষ্পমাল্য অর্পন করে শ্রদ্ধা জানান খুলনার সরকারি-বেসরকারি-স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। জাতীয় শোক দিবসকে সামনে রেখে সচিব মহোদয়ের নির্দেশে বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য কমপ্লেক্সের সংস্কার কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করতে পেরে আমরা গৌরবান্বিত বোধ করছি।
খুলনা বেতারের আঞ্চলিক প্রকৌশলী তাজুন নীহার বলেন, খুলনা বেতার কেন্দ্রে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য কমপ্লেক্স রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে আমরা সবসময়ই সচেষ্ট থাকি, কিন্তু এই অঞ্চলের লবণাক্ততার কারণে বঙ্গবন্ধুর মূল ভাস্কর্যের রঙে কিছুটা সমস্যা হয়েছিল এবং ছোট দুই-একটি ভাষ্কর্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সচিব মহোদয়ের নির্দেশের পর সেগুলো আমরা খুব ভালভাবে সংস্কার করেছি।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ বেতারের সহযোগিতায় তথ্য মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে ৮কোটি ২৯ লাখ ৯১ হাজার টাকা ব্যয়ে ভাস্কর্যটি নির্মাণ করেছে গণপূর্ত বিভাগ। মূল নকশা করেছেন প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে স্বর্ণপদক প্রাপ্ত শিল্পী লিটন পাল রনি। আর পরামর্শক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সহকারী অধ্যাপক ড. মুকুল কুমার বাড়ৈ।
ছয় ফুট ফাউন্ডেশনের উপরে পনের ফুট দৈর্ঘ্যের ভাস্কর্যটিতে বিশ্বখ্যাত ৭ মার্চের ভাষণের প্রতিকৃতি ফুটে উঠেছে। ফাউন্ডেশনের বাম দিকে জাতীয় চার নেতা ও ডান দিকে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পীদের প্রতিচ্ছবি প্রস্ফুটিত হয়েছে নান্দনিকভাবে। ব্যাকগ্রাউন্ডে ৭ মার্চে উপস্থিত জনতার মুখচ্ছবিও প্রতিফলিত হয়েছে।
সমগ্র ভাস্কর্যটির ব্যাকগ্রাউন্ডে রয়েছে তৎকালীন ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে জাতির স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণকালের শৈল্পিক নিদর্শন। সবমিলিয়ে খুলনা বেতার কেন্দ্রের ‘বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য কমপ্লেক্স’ জাতির পিতার ঐতিহাসিক সব মুহূর্ত স্মরণ করিয়ে দেবে প্রজন্মের পর প্রজন্মকে।
খালিশপুরে গাঙচিলের তিনদিনব্যাপী সাহিত্য সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত
খবর বিজ্ঞপ্তি
মঙ্গলবার খুলনা জেলার খালিশপুর সরকারি মহসিন কলেজের সহযোগিতায় কলেজ মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত কবিতা ও ত্রিদেশীয় সাহিত্য সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গাঙচিল সরকারি মহসিন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোঃ হানিফ মল্লিক। তিনদিনব্যাপী গাঙচিল সাহিত্য সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ছিলেন গাঙচিল বাগেরহাট জেলা শাখা কমিটির সভাপতি সৈয়দ শওকত হোসেন। প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ খুলনা মহানগরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ আশরাফুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে ভারতীয় অতিথি ছিলেন গাঙচিল ভারতের কুচবিহার শাখার সভাপতি ও কথা সাহিত্যিক, কবি শ্রী অমল দাশ ও ভারতের কুচবিহার শাখার সাধারণ সম্পাদক সাজিনুর রহমান এবং বাহরাইন অতিথি ছিলেন ছোটো গল্প লেখিকা তানিশা বিশ্বাস। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন গাঙচিল সরকারি মহসিন কলেজ শাখা কমিটির সভাপতি ড. নাজমুল আহসান। অতিথি ছিলেন ইব্রাহিম মনির (সাধারণ সম্পাদক, গাঙচিল, খুলনা বিভাগ), এ্যডভোকেট কাজী রুমু (যুগ্ম সম্পাদক সম্পাদক, গাঙচিল, খুলনা বিভাগ), এস এম আবদুর রহমান (সভাপতি, গাঙচিল খানজাহান আলী শাখা), রহিমা খানম (সভাপতি, গাঙচিল ফুলতলা উপজেলা শাখা), সৈয়দা তৈফুন নাহার, (সাধারণ সম্পাদক, গাঙচিল, বাগেরহাট জেলা শাখা), আসিফ ইকবাল (সভাপতি, গাঙচিল খালিশপুর শাখা), নাগরিক নেতা ডাঃ সৈয়দ মোসাদ্দেক হোসেন বাবলু, গাঙচিলের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক শেখ আনোয়ার হোসেন।
অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ, সঙ্গীতে অংশ নেন খুলনা বিভাগীয় গাঙচিল শাখা থেকে তৈয়বুর রহমান, জাহান আরা আলম, মংলা উপজেলা গাঙচিল থেকে অসীত বরণ রায়, খানজাহান আলী গাঙচিল থেকে পিজিএল ইউনুস আলী, শেখ গোলাম রসুল খোকন, গাঙচিলের মহসীন কলেজ শাখা থেকে শেখ মোঃ মোমিনুল ইসলাম (মিলন), মোঃ আরিফ জিন্নাহ, মোঃ আনিসুজ্জামান, গৌতম চন্দ্র হাওলাদার, মুঃ হুসাইন শেখ, আনিকা সাঈফ, মোঃ শফিকুল ইসলাম, তপন কয়াল, বিপুল কুমার সানা, মোঃ সিরাজুল ইসলাম, শেখ মোঃ মাসুম আহমেদ, মুকুল আহমেদ, শেখ রাশেদুজ্জামান, সরদার আরোজ আলী, সনজিৎ কুমার ঘোষ, মোঃ তাজুল ইসলাম, মোসম্মৎ পারভীন, কাজী আলিমুজ্জামান, সৈয়দ মুস্তাফিজুর রহমান, সৈয়দ আনিসুর রহমান, আবুল বাসার, অসিত বরণ রায়, নার্গিস সেবিনা, শেখ জসিমুল হক, মোঃ মাহফুজ হোসেন, শেখ মোঃ মুরাদ হোসেন, মোঃ রিয়াজুল ইসলাম, তানভীর আহমেদ, মোঃ রাসেল হাওলাদার, শেখ শহীদুল ইসলাম, মহুয়া দত্ত, মুন্দিরা রানী, মোল্লা মুহাম্মদ এনামুল হক, সাবরুল জামিল সাজিন, রাশিদা ইসলাম, নূর জাহান মৌসুমী, মোঃ ওমর আলী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে শেখ মোঃ মমিনুল ইসলাম (মিলন) এর “বাংলার বিবেক” ও মোঃ আরিফ বিল্লাহর “রক্ত ধারায় বঙ্গবন্ধু” গ্রন্থের প্রকাশনা পর্বে মোড়ক উন্মোচন করা হয়। তিনদেশীয় এ অনুষ্ঠানে ভারতীয় কথা সাহিত্যিক অমল দাশকে বঙ্গবন্ধু স্মারক সম্মাননা প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানটি সার্বিক পরিচালনা করেন গাঙচিল সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ খান আখতার হোসেন।
দাকোপে শেখ সোহেলের সুস্থতা কামনায় স্বেচ্ছাসেবকলীগের দোয়া মাহফিল
বাজুয়া (দাকোপ) প্রতিনিধি
শেখ সোহেলের সুস্ততা কামনায় দাকোপে উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্যোগে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভ্রাতুষ্পুত্র সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিনের ছোট ভাই বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক শেখ সোহেল সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে হার্টের (বাইপাস সার্জারি) অপারেশন হওয়ায় তার রোগ মুক্তি ও সুস্ততা কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় দাকোপ উপজেলা আ’লীগের কার্যালয়ে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহবায়ক জি এম রেজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দোয়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ আব্দুল কাদের, সাংগঠনিক সম্পাদক এবিএম রুহুল আমিন, চালনা পৌর আ’লীগের সভাপতি শেখ শফিকুল ইসলাম আক্কেল, সাধারণ সম্পাদক ও চালনা পৌর মেয়র সনত কুমার বিশ্বাস, উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি গোলাম হোসেন শেখ, কনিকা বৈরাগী, ফরিদা বেগম, লিপিকা বৈরাগী, উত্তম রায়, সংগ্রাম সেন, মাফেল হাওলাদার, ইউনুস আলী জমাদ্দার, সৌম্য বিশ্বাস, বিদ্যুৎ সরদার প্রমুখ।
সিদ্ধিপাশায় বসতবাড়ির পিছন থেকে সাড়ে আট কেজি গাজা গাছ সহ আটক ১
তামিম আহমেদ মনির (অভযনগর) থেকে
যশোরের অভযনগর উপজেলার সিদ্ধিপাশায় অভিযান চালিয়ে বসতবাড়ির পিছনের কলাবাগান থেকে সাড়ে আট কেজির ওজনের ৫টি গাজা গাছ সহ মো.মিরাজ মোল্লা(৪০)নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। এর আগে সোমবার (১ আগষ্ট) দিনগত রাত ১টার দিকে ইউনিয়নের সোনাতলা মুন্সি পাড়া থেকে তাকে আটক করে সোনাতলা অস্থায়ী পুলিশ ফাড়ি।আটক মিরাজ মোল্লা সোনাতলার মৃত মকছেদ মোল্লার ছেলে।
সোনাতলা পুলিশ ফাড়ির উপ-পরিদর্শক (এস আই) মো.নাসিম উদ্দিন জানান,আমি এবং সহকারি উপ-পরিদর্শক (এ এস আই) সোহাগ সরদার সহ পুলিশের একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার আনুমানিক রাত ১টার দিকে ৫টি গাজা গাছ সহ মো.মিরাজ মোল্লা(৪০)নামে এক ব্যক্তিকে আটক করি।
এ ব্যাপারে অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (্ওসি) একেএম শামিম হাসান বলেন, ‘মঙ্গলবার দুপুরে সোনাতলা পুলিশ ক্যাম্প পাঁচটি গাঁজার গাছসহ মিরাজ মোল্যা নামে এক মাদক বিক্রেতাকে অভয়নগর থানায় সোপর্দ করেছে। আটক মিরাজের বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।’
বাগেরহাটে কমিউনিটি ক্লিনিকে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ
স্টাফ রিপোটার,বাগেরহাট
বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা সদর ইউনিয়নে কমিউনিটি ক্লিনিকে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ এনে জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জনের কাছে অভিযোগ করেছেন সুরশাইল কমিউনিটি ক্লিনিকের পরিচালনা কমিটির কোষাধ্যক্ষ রুপালী বেগম।
অভিযোগে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারী সুরশাইল কমিউনিটি ক্লিনিকের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) পদে নিয়োগ প্রদান করা হয়। নিয়োগ প্রদান করার শর্তে উল্লেখ ছিল প্রার্থীকে অত্র ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। কিন্তু নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ পাশ^বর্তী হিজলা ইউনিয়নের বাসিন্দা ভূমিকা বর্মনের তথ্য গোপন করে সরদর ইউনিয়নের সুরশাইল কমিউনিটি ক্লিনিকের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) পদে নিয়োগ দেন। নিয়োগের পর থেকে ভুমিকা বর্মন সুরশাইল কমিউনিটি ক্লিনিকে দায়িত্ব পালন নাই। এ বিষয়ে স্থানীয় লোকজন চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থো ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মামুন হাসানের কাছে গেলে তিনি বিষয়টি খোজ খবর নেন। তিনি জানতে পারেন সুরশাইল কমিউনিটি ক্লিনিকে সিএইচসিপি পদে ভ’মিকা বর্মনের নিয়োগ আছে। পরবর্তীতে গত ২০২২ সালের ১৮ এপ্রিল তারিখে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থো ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে সুরশাইল কমিউনিটি ক্লিনিকে ডিউটি করেন। তিনি আরো জানান, তিনি অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ১ নং শর্তে স্পষ্ট লেখা রয়েছে প্রার্থীকে ক্লিনিকের একই ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। কিন্তু ভূমিকা বর্মন হিজলা ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দা। নিয়োগ বিজ্ঞন্তির ১২ নং শর্তে স্পষ্ট লেখা রয়েছে নিয়োগ প্রাপ্তির পরেও অসত্য/ ভূয়া প্রমাণিত হলে নিয়োগ বাতিল করা হবে এবং মিথ্যা/ ভুল তথ্য সরবরাহ করার জন্য তার বিরুদ্ধে আইনগত/প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এক্ষেত্রে সুরশাইল কমিউনিটি ক্লিনিকের কমিউনিটি হেলস কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) ভূমিকা বর্মন শুধু অসত্য ও ভুল তথ্য দিয়ে চাকুরী গ্রহন করেন নাই। তিনি জালিয়াতীর মাধ্যমে বেতন ভাতাও গ্রহণ করছেন। তিনি তথ্য গোপনকারী ভূমিকা বর্মনের বিরুদ্ধে আইনগত প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে সদর ইউনিয়নের জাহানার বেগম জানান, ভুমিকা বর্মন দীর্ঘ ৩ বছর নিয়োগ নিয়েও চাকরী করেননি। ফলে হাজার হাজার মানুষ স্বাস্থ্যে সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। তিনি অফিসের কোন নিয়োম কানুনের তোয়াক্কা না করে ভুমিকা বর্মন সকাল ১০ টায় অফিসে আসেন আবার দুপুর ১টার আগেই অফিস থেকে বের হয়ে যান। তিনি বলেন, আমরা চাই অত্র ইউনিয়নের একজন যোগ্য ব্যক্তিকে আমাদের কমিউনিটি ক্লিনিকে নিয়োগ দেওয়া হোক।
চিতলমারী সদর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ ইব্রাহীম মুন্সি জানান,ভুমিকা বর্মন পাশ^বর্তী হিজলা ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দা। তিনি সুরশাইল কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত আছেন।
এ বিষয়ে ভুমিকা বর্মন জানান, আমি ২০১৮ সালে নিয়োগ সুরশাইন কমিউনিটি ক্লিনিকে নিয়োগ পাই। ২০১৮ সালের ৯ ডিসেম্বর চাকরিতে যোগদান করি। সেই থেকে আমার বাড়ি হিজলা ইউনিয়নের কাছে চরবড়বাড়িয়া কমিউনিটি ক্লিনিকে ডিউটি পালন করতাম। ২০২২ সালের সালের ১৮ এপ্রিল থেকে সুরশাইল কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত রয়েছি।
চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থো ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মামুন হাসান জানান, সুরশাইল কমিউনিটি ক্লিনিকের নিয়োগের অনিয়মের অভিযোগের বিষয়টি আমার কাছে এসেছিল। আমি বিষয়টি উদ্বোধন কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা জানা যেভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ওভাবেই থাকবে আমাদের কিছু করার নাই।
বাগেরহাটের ডেপুুটি সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ হাবিবুর রহমান জানান, সুরশাইল কমিউনিটি ক্লিনিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ন নিয়ম ও বিধি মোতাবেক করা হয়েছে। তার নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ন বৈধ।
ভোলায় বিএনপি নেতা হত্যার প্রতিবাদে বাগেরহাট জেলা বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ
স্টাফ রিপোটার,বাগেরহাট
ভোলায় পুলিশের গুলিতে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আব্দুর রহিম হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাগেরহাটে জেলা বিএনপি। আজ মঙ্গলবার সকালে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে বাগেরহাট জেলা বিএনপি সরুই দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করে।
এ সময় দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করেন বাগেরহাট বিএনপির নেতাকর্মীরা। এতে সভাপতিত্ব করেন বাগেরহাট জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোজাফ্ফর রহমান আলম। সমাবেশে বাগেরহাট থানা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক আবুল কালাম আজাদের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন বাগেরহাট জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি নাজমুল হুদা, শ্রমিকদলের জেলা সাংগঠনিক এলাহি মল্লিক আলম, বিএনপি নেতা খায়রুল আজাদ আরজু, যুবদলের জেলা সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান মান্না,পৌর যুবদলের আহবায়ক জসিম সরদার, সদস্য সচিব ওমর আলী মুন্না, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক শেহেবুব রহমান সাদ্দাম, ছাত্রদলের সদর থানা সদস্য সচিব হাবিব আহম্মেদ, ছাত্রনেতা মুন্না আহসান, রিয়াদ শেখসহ বিএনপি ও অংঙ্গ সংগঠনের র্শীষ নেতৃবৃন্দ সহ কয়েকশত নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, দলের নেতাকর্মীদের হত্যা করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না সরকার। আগামী দিনে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশে রাজপথে এই হত্যাকান্ডের কঠোর জবাব দেওয়া হবে।
ডোবা-জলাশয়ে পানি নেই, পাট পচানো নিয়ে দুশ্চিন্তায় চাষিরা
স্টাফ রিপোটার,বাগেরহাট
‘শ্রাবণের আজকে ১৭ তারিখ। বর্ষাকাল প্রায় শেষ। তবুও বৃষ্টি নেই। ক্ষেত-খামারের আশেপাশের ডোবা, নালা ও জলাশয়ে পানি নেই। যেটুকু পানি আছে তা দিয়ে পাট পচানো সম্ভব নয়। জমিতে পাটগাছ বড় হয়ে পানির অভাবে পাতা শুকিয়ে মরে যাচ্ছে। ভরা বর্ষা মৌসুমেও বৃষ্টি না হওয়ায় বহুকষ্টে ফলানো পাট জাগ দিতে পারছি না। পাট পচানো নিয়ে আছি বড় দুশ্চিন্তায়।’সোমবার (১ আগস্ট) দুপুরে এমনটাই বলেছেন উপজেলার বড়গুনি বাজারের বিশিষ্ট পাট ব্যবসায়ী ও বড়বাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাসুদ সরদার।মাসুদ সরদারের মত বিপাকে পড়েছেন বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার কয়েক হাজার পাট চাষি।’
সোনালী আঁশ পাট দামে-দরে তাঁর পুরানো ঐতিহ্যকে আবারও কৃষকের মাঝে তুলে ধরেছে। পরপর কয়েক বছর দাম ভাল থাকায় চাষিরা লাভবান হচ্ছেন। তাই অন্যসব ফসলের পাশাপাশি এ বছর পাটের চাষ বেশী হয়েছে।
জানা যায়, প্রতি বিঘা জমিতে পাট উৎপাদন করতে ১০ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এ বছর প্রতি বিঘা জমি থেকে ১২-১৪ মণ পাট উৎপাদন হবে। বর্তমানে প্রতিমন পাট ২ হাজার ৬০০ টাকা থেকে ২ হাজার ৭০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া নানা কাজে খড়ির (পাটকাঠি) ব্যাপক চাহিদা রয়েছে এবং বেশ চড়া দামে বিক্রি হয়ে থাকে। সে হিসেবে সময়মত ঘরে পাট তুলতে পারলে চাষিরা খুব লাভবান হবেন। আর পানির অভাবে পাট জাগ দিতে না পারলে অনেক চাষি মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
উপজেলার বড়গুনি গ্রামের পাট চাষিরা জানান, এ বছর তাঁরা অনেক আশা নিয়ে পাটের আবাদ করেছেন। ফলনও ভালো হয়েছে। কিন্তু পানির অভাবে পাট জাগ দিতে পারছেন না। উপজেলার অধিকাংশ পাট চাষির তাঁদের মত একই অবস্থা।
গত বছর দাম বেশি পাওয়ায় চলতি বছর পাটের আবাদে ঝুঁকে পড়েন। পাট আবাদ ভালো হলেও এখন পাট কাটা ও জাগ দেয়া নিয়ে তাঁরা মহাবিপদে পড়েছেন। উপযুক্ত পানি না থাকায় পাট জাগ দেয়া খুব সমস্যা হচ্ছে। তাই বহুকষ্টে উৎপাদিত পাট নিয়ে তাঁরা বিপাকে পড়েছেন।
চিতলমারী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা অসীম দাশ জানান, চলতি বছর এ উপজেলার ৭ টি ইউনিয়নে মোট ২ হাজার ১০০ একর জমিতে বিভিন্ন জাতের পাট চাষ করা হয়েছে। কিন্তু পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় পানির অভাবে কৃষকেরা পাট পচাতে পারছেন না। কম পানিতে কিছু পাট জাগ দিলেও তার ফলাফল ভাল হচ্ছে না। কারণ বেশি পানিতে পাট পচাতে পারলে পাটের আঁশ সাদা পাওয়া যায়। তাতে কৃষকেরা দাম বেশি পান।
বাগেরহাটে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় প্রান গেলো ৪র্থ শ্রেনীর স্কুল ছাত্রীর
স্টাফ রিপোটার,বাগেরহাট
বাগেরহাট-ঢাকা মহাসড়কের ফকিরহাট বৈলতলী এলাকায় মাইক্রোবাসের ধাক্কায় বৈলতলী পিলজংগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী মরিয়ম খাতুন (১০) নিহত হয়েছে। এসময় তার সাথে থাকা সহপাঠী ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী তাজমিরা খাতুন আহত হয়েছে।
ফকিরহাট মডেল থানার অফিসার্স ইনটার্জ মু. আলীমুজ্জামান জানান, মঙ্গলবার সাড়ে ১১টার দিকে মরিয়ম খাতুন ও তাজমিরা খাতুন সহ কয়েকজন শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে রাস্তা পার হওয়ার সময় খুলনাগামী অজ্ঞাত একটি মাইক্রোবাস পিছনদিক থেকে ধাক্কা দেয়। এতে মরিয়ম খাতুন ও তাজমিরা খাতুন গুরুত্বর আহত হয়। বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এনে ভর্তি করে।
এদের মধ্যে মরিয়ম খাতুনের অবস্থার অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য আশংকাজনক অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে চিকিৎসক জানিয়েছে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ১টার দিকে সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। ঘাতক মাইক্রোবাসটি পালিয়ে গেছে।
অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাছিমা বেগম বলেন, ৪র্থ শ্রেণির ক্লাস শুরু হয় দ্বিতীয় শিপটে দুপুর ১২টার দিকে। ওই শিক্ষার্থীরা বাড়ী থেকে বিদ্যালয়ে আসার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে বিদ্যালয়ের মরিয়ম খাতুন নামের এক শিক্ষার্থী মারা গেছে। আহত হয়েছে একজন। এ ঘটনায় অন্য শিক্ষার্থীরা আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়ে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাহিদুল ইসলাম মোড়ল জানান, নিহত মরিয়ম খাতুন পিলজংগ ইউনিয়নের মো. রেজাউল ইসলামের কন্যা এবং আহত তাজমিরা খাতুন একই এলাকার ছরোয়ার ঢালীর কন্যা। এদিকে ৪র্থ শেণির ছাত্রী মরিয়ম খাতুনের মৃত্যুতে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী সহ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসছে।
সাতক্ষীরায় বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি রবির পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন
খান নাজমুল হুসাইন, সাতক্ষীরা
শোকের মাস আগস্ট উপলক্ষে সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য নৌ-কমান্ডো ০০০১ বীরমুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবির পক্ষ থেকে মহান স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে। সোমবার (০১ আগস্ট) সকালে সাতক্ষীরা শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারে বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি রবির পক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দলীয় নেতৃবৃন্দ।
এসময় নেতৃবৃন্দ সেখানে কিছু সময় নিরবে দাঁড়িয়ে থাকেন এবং শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এক মিনিট নীরবতা পালন ও মাসব্যাপী কালো ব্যাচ ধারণ কার্যক্রমের শুভ সূচনা করেন নেতৃবৃন্দ। এসময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফিরোজ কামাল শুভ্র, জাতীয় মহিলা সংস্থা সাতক্ষীরা জেলা শাখার চেয়ারম্যান ও জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জ্যোৎস্না আরা, জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সহ-সভাপতি ও সাপ্তাহিক ইচ্ছেনদী পত্রিকার চীফ এডিটর প্রকৌশলী শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু, জেলা যুবলীগের সিনিয়র সদস্য যুব নেতা মীর মহিতুল আলম মহি, সাবেক ব্যাংকার কাজী আব্দুল মহিদ, পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-দপ্তর সম্পাদক ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর বিন সেলিম যাদু, যুব নেতা ও জজ কোর্টের এডিশনাল পিপি এ্যাড. শেখ তামিম আহম্মেদ সোহাগ, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি কাজী হাশিম উদ্দিন হিমেল, জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সৈয়দ মহিউদ্দিন হাসেমী তপু, জেলা তাঁতীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মীর আজহার আলী শাহিন, পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ মোস্তাফিজুর রহমান শোভন, সাতক্ষীরা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের অফিস সহকারি মো. কামরুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত যুব প্রধান মো. ইলিয়াস হোসেন প্রমুখ। এসময় দলীয় নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মসজিদকুড় মসজিদটি দ্রুত উন্নয়ন করে কয়রায় পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে: সাংস্কৃতিক প্রতিমন্ত্রি
শাহজাহান, কয়রা
সরকারের মাননীয় সাংস্কৃতিক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন কয়রায় অবস্থিত খানজাহান আলী পীরের স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহ্যবাহী মসজিদকুড় মসজিদ কে কেন্দ্র করে এই এলাকায় পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে।পীর খানজাহান আলীর সময়কার নির্মিত এই প্রাচীনতম মসজিদটি যথাযথ মান উন্নয়নের মাধ্যমে কয়রায় পর্যটনের গুরুত্ব বাড়িয়ে তোলা সম্ভব। কারণ পর্যটনের ক্ষেত্রে সুন্দরবন সংলগ্ন এ জনপদ খুলনার কয়রায় অপার সম্ভাবনা রয়েছে।এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে দেশের অর্থনৈতিক অবকাঠামোকে মজবুত করার যথেষ্ঠ সুযোগ রয়েছে।এ যা যা দরকার সেটা আমার মন্ত্রণালয় থেকে করা হবে। তিনি মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় ঐতিহ্যবাহী মসজিদকুড় মসজিদ চত্তরে এক মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। সভায় সংসদ সদস্য আকতারুজ্জামান বাবু মাননীয় মন্ত্রীকে কয়রা বাসীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, উপকূলীয় জনপদে কয়রার মসজিদকুড় মসজিদকে ঘিরে এ অঞ্চলের মানুষের নানান স্বপ্ন রয়েছে। এখনে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হলে দেশি বিদেশী পর্যটকদের আনাগোনা বেড়ে যাবে। এত করে এই অঞ্চলের মানুষের কর্মসংস্থানের পথ সুগম হবে। অর্থনৈতিক ভাবে মানুষ হবে সাবলম্বী। তিনি আরও বলেন, দেশের উপকূলীয় ও দূর্যোগ প্রবণ এলাকার মানুষ বর্তমান অনেক আধুনিক সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত, সেজন্য সাংস্কৃতিক কেন্দ্র গড়ে তোলা হলে এ জনপদের মানুষ উপকৃত হবে। তিনি বলেন, মাননীয় মন্ত্রী আগেই উক্ত দাবী মেনে নিয়ে জমি দিতে বলেন। এসময় স্থানীয় চেয়ারম্যান জুয়েলের সভাপতিত্বে ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্মল দাসের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন কয়রা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জিএম মোহসিন রেজা, পাইকগাছা উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার ইকবল মন্টু, পাইকগাছা পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর, কয়রা উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম শফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এসএম মুনিম লিংকন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ^াস, কয়রা থানা অফিসার ইনচার্জ এবিএম এস (বিপিএম) দোহা, কয়রার সদর ইউপি চেয়ারম্যান এসএম ও আ’লীগ নেতা এসএম বাহারুল ইসলাম, বাগালী ইউপি চেয়ারম্যান আঃ সামাদ গাজী, মহারাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ^রীপুর চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, উত্তর বেদকাশি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম, দঃ বেদকাশি ইউপি চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, কৃষকলীগের আহবায়ক প্রভাষক শাহাবাজ, সাধারণ সম্পাদ শাহিনুর রহমান, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পারভেজ হাওলাদার, কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম টিংকু, পাইকগাছা ছাত্রলীগ সভাপতি পার্থ প্রতীম চক্রবর্তী কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক বাদলসহ আওয়ামীলীগ ও সকল সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অভয়নগরে স্কুলছাত্রীকে জোরপূর্বক বিয়ে করার অভিযাগে মামলা: আটক -২
স্টাফ রিপোর্টার, অভয়নগর
যশোরের অভয়নগর উপজলায় স্কুল ছাত্রী (১১)কে জোরপূর্বক বিয়ে করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্কুল ছাত্রীর মা বাদী হয়ে অভিযুক্ত হাফিজুর রহমান মোল্যা (৩৫) ও রুহুল আমিনকে আসামী কর মামলা করেছেন। গত সোমবার রাতে অভয়নগর থানায় মামলা করা হয়েছে। হাফিজুর রহমান উপজেলার বুইকরা গ্রামের আলম মোল্যার ছেলে। ওই স্কুল ছাত্রী বুইকরা আল-হলাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়র ৫ম শ্রেনীতে পড়ে। পুলিশ গত রাতে অভিযুক্ত হাফিজুর রহমান ও রুহুল আমিনকে আটক করেছে।
জানা গেছে গত ১৫ জুলাই ওই স্কুলছাত্রী ও তার মা একটি বিয়ে বাড়িতে দাওয়াত খেতে যায়। সেখানে উপজেলার বুইকরা গ্রামের আলম মোল্যার ছেলে হাফিজুর রহমান ছাত্রীকে আটকিয়ে স্কুল শিক্ষক রুহুল আমিনকে দিয়ে একটি নিকাহনামা কাগজ স্বাক্ষর করে নেয়। পরে হাফিজুর প্রচার করে তার সংঙ্গে বিয়ে হয়ে গেছে। এটা না মেনে নিতে তাদের পরিবারকে ভয়ভিতি দেখায়। এ ঘটনায় স্কুল ছাত্রীর মা গত বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) তানজিলা আখতারের নিকট লিখিত অভিযোগ দেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি রবিবার অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম শামীম হাসানকে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নিতে আদেশ দেন। অভিযুক্ত হাফিজুর রহমানের স্ত্রী ও একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
আল হেলাল নিন্মমাধ্যমিক বিদ্যালয়র শিক্ষক রুহুল আমিনের কাছে বিষয়টি জানত চাইল তিনি ঘটনা স্বীকার করে বলেন, আমি অনেক বার বলেছি, এমন কাজ করবা না, দুই পক্ষের চাপে বিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছি। আমার চরম ভুল হয়েছে, এমন ভুল আর হবেনা।
অভয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম শামীম হাসান বলেন “বিষয়টি তদন্ত করে মামলা মামলা নেয়া হয়েছে। যার মামলা নং ০২ তারিখ ২-৮-২২। অভিযুক্ত হাফিজুর রহমান ও রুহুল আমিনক আটক করা হয়েছে।
ছয় মাসে নারী,শিশু ও দালালসহ আটক ২৫০: মহেশপুর সীমান্ত মানবপাচারের অন্যতম রুট
শামীম খান জনী, মহেশপুর(ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি।।
মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে মানব চোরাচালানের সময় গত ৬মাসে দালালসহ বিজিবির হাতে আটক ২৫০ জনকে মহেশপুর থানার মাধ্যমে আদালতে সোপর্দ করা হয়। এর মধ্যে মানবপাচার আইনে একাধিক মামলা হয়েছে।
৫৮বিজিবির ব্যাটালিয়ন সূত্রে জানা যায়, অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার সময় ৬মাসে আটক হয় ১৬৭জন,এরমধ্যে নারী ৫৪জন, পুরুষ ৬৪জন, শিশু ৪৯জন এবং ভারত থেকে আসার পথে ৮০জন আটক হয়,এরমধ্যে নারী ৩৭জন, পুরুষ ২৯জন ও শিশু ১৪জন। এছাড়া মানব চোরাচালানে সহায়তাকারী দালাল চক্রের সদস্য রয়েছে ৩ জন।
মহেশপুর থানা সূত্রে জানা যায়, অত্র থানায় এ বিষয়ে মানবপাচার আইনে একাধিক মামলা রয়েছে। সীমান্তের এ সকল অবৈধ পারাপারকে ধূর পাচার বলে। বিজিবি আটককৃতদের থানায় সোপর্দ করলে ব্রিটিশ আমলের ১১ ও ৪ ধারায় মামলা রঞ্জু করে তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করে।
মহেশপুর উপজেলায় বড় ধরণের একটি মানব চোরাচালানের সিন্ডিকেট জড়িত রয়েছে। যার কারণে সারা বাংলাদেশ থেকে নারী পুরুষ এই সীমান্ত দিয়ে পারাপার হয়। দালালরা আটক হলেও তারা আইনের ফাঁক-ফোঁকড় দিয়ে বেরিয়ে এসে একই কাজে লিপ্ত হয়। মানবপাচার নিয়ে কাজ করে এমন একটি সংস্থার প্রতিনিধি জানিয়েছেন, সীমান্তে দালালদের হাতে নারীরা নানা ধরণের নির্যাতনের শিকার হয় এবং তাদের সর্বস্ব লুট করে নেওয়া হয়। অনেক ক্ষেত্রে নারীরা পাচারের শিকার হলেও চিহিৃত না হওয়ায় তারা পাসপোর্ট আইনের(ধূর পাচারকারী)আসামি হিসেবে আদালতে চালান যায়। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী-পুরুষ আটক হলেও মানবপাচার আইনে মামলা হয়েছে সীমিত আকারে।
৫৮ বিজিবি’র অধিনায়ক লে. কর্ণেল শাহীন আজাদের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, সীমান্তে দায়িত্বরত বিজিবি অবৈধ পারাপার রুখতে সবসময় টহল জোরদার রেখেছে। দালাল চক্র আটক হলেও আদালত থেকে বেরিয়ে এসে পুনরায় একই কাজ করছে। এই চক্রকে দমন করতে বিজিবি সর্বদা সক্রিয় রয়েছে। এ বিষয়ে মহেশপুর থানার ওসি সেলিম মিয়া জানান, ধূর পাচারকারী দালাল চক্রকে রুখতে পুলিশ বদ্ধ পরিকর। চলতি বছরের ৩০ জুলাই বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী আইন-২০১৩ এর ৩৪ ধারায় পাচারকারী সহায়তাকারী(দালাল) চক্রের বিরুদ্ধে মামলা রঞ্জু করা হয়েছে।
দাকোপের সাহেবের আবাদ এলাকায় জবর দখল করে জমি দখলের অভিযোগ
বাজুয়া (দাকোপ) প্রতিনিধি
খুলনার দাকোপের সাহেবের আবাদ এলাকায় জবর দখল করে জমি দখলের অভিযোগ। এলাকা ঘুরে জানা যায় দাকোপের সাহেবের আবাদ এলাকায় ক্রয় সূত্রে জমির মালিক দীপংকর মন্ডল (রায়)। তিনি ৩০ বছরের উর্ধে ক্রয়কৃত বসত ভিটাতে ভোগ দখল করে আসছে। এমন সময় প্রতিপক্ষ পর সম্পদ লোভী দাঙ্গাবাজ প্রকাশ বাহিনীর সড়যন্ত্রের শিকার হয়ে তার নিজ বসত ভিটা হারানোর চক্রান্তের শিকার হয়ে পড়েছে।ভিটার মালিক দীপংকর মন্ডল জানান তিনি বিশেষ কাজে খুলনায় জান। এই সুযোগে প্রকাশ বাহিনী তার ভিটা জোর পূর্বক জবরানে দখল করে চার তলা একটি বিশিষ্ট ভবন নির্মান কাজ শুরু করেছে। জমির মালিক দীপংকর ও তার বড় ভাই সংকরকে চির বিদায় করে দেওয়ার পায়তারা এমনকি ফাকা পেলে জীবনে শেষ করে ফেলবে মর্মে হুমকি প্রদর্শন করছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। পৈতৃক সম্পত্তি উদ্ধারের স্বার্থে গত ইংরেজি ১৩/০৫/২০২২ তারিখ ২নং দাকোপ ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে একটি লিখিত আবেদন করেন। পরিষদের আবেদন উপেক্ষা করে বিবাদিরা দ্রুত ভবনের কাজ এগিয়ে নিচ্ছে। এর পর জমির মালিক দীপংকর ভবনের কাজ বন্ধ রাখার জন্য স্থানীয় অতিরিক্তি পুলিশ সুপার কার্যলয় সি-সার্কেল দাকোপকে এক অভিযোগ দায়ের করে যার তারিখ ২১/০৭/২০২২ সারক নং ১০-৩৩। সেখানেও প্রশাসনকে উপেক্ষা করে জবর দখলকারী প্রকাশ বাহিনী তার সংঘ -পাংগ ও সন্ত্রাসী বাহিনীদের নিয়ে দ্রুত ভবন তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ন্যায় বিচারের আশায় নিরুপায় জমির মালিক দীপংকর এখন দিশেহারা। তিনি ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। দীপংকর জানান তার ক্রয়কৃত জমির ডি,পি খতিয়ন নং ৭৮০০ ও ৫৯০০ দাগ নং ১৮৩ ও ৩৫১ জমির পরিমান ০.৪১৫০ একর ও এক একর জমির মধ্য হতে ৪/৫ একর জমির বিবাদীর অনুকূলে নিয়ে ভবনের কাজ চলমান রেখেছে। অসহায় দীপংকর ও তার ভাই ওদের বাধা প্রদান করতে গেলে অকত্য ভাষায় গালিগালাজ সহ লাঠি সোঠা, দা, কুড়াল নিয়ে মারতে আসে। এ ব্যাপারে প্রতিপক্ষ প্রকাশ বাহিনীর কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, তাদের নামের কোন কাগজ পত্র কাউকে দেখাতে পারবেনা। আর যদি কেউ এর পক্ষ হয়ে খবর দারি করে তাকেও দেখে নেব। এলাকাবাসীর দাবি প্রকাশ বাহিনীর কাগজ পত্র বিহীন এদের খুটির জোর কোথায়? জবর দখলকারীদের কবল হতে প্রকৃত জমির মালিক তার জমি ফেরত পাওয়ার জন্য দেশের সকল শ্রেণীর প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে।
বেনাপোল সীমান্তে ১০টি স্বর্ণের বারসহ ১ পাচারকারী আটক
বেনাপোল প্রতিনিধি
বেনাপোলের পুটখালী সীমান্তবর্তী বালুন্ডা গ্রামে থেকে ১০টি স্বর্ণেরবারসহ মোঃ হাসানুজ্জামান (২২) নামে এক পাচারকারীকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা ।
আজ মংগলবার দুপুরে শার্শা উপজেলার টেংড়া গ্রামস্থ বালুন্ডা গ্রামের ইছামতি নদীর তীরে অভিযান চালিয়ে ১৫পিচ স্বর্নের বার সহ মোঃ হাসানুজ্জামানকে (২২) আটক করে বিজিবি। আটক হাসানুজ্জামান পুটখালি গ্রামের মৃত-নূর মোহাম্মদের ছেলে।
বিজিবি জানায়, আগে থেকে আমাদের কাছে গোপন খবর ছিল একজন স্বর্ন পাচারকারী বিপুল পরিমাণ সোনার একটি চালান ভারতে পাচার করছে এমন ধরনের গোপন সংবাদ পেয়ে বিজিবির একটি টহলদল সেখানে অভিযান চালিয়ে ১০ টি স্বর্নের বার সহ হাসানুজ্জামানকে আটক স্বর্ণের বাজার মূল্য ৮৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল তানভীর আহমেদ পিএসসি জানান, ভারতে পাচারের সময় বিজিবির একটি টহল দল ১ কেজি ১০০ গ্রাম স্বর্ণসহ হাসানুজ্জামান নামে একজন স্বর্ন পাচারকারীকে আটক করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আটককৃতকে শার্শা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
মহেশপুরে ৬টি সোনার বারসহ একজন আটক
মহেশপুর(ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি।।
ঝিনাইদহের মহেশপুরে ৬টি সোনার বারসহ রাসেল(২৫)নামের একজন কে আটক করেছে ৫৮ বিজিবি। সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার বড়বাড়ি গ্রামের বাহার ইটভাটার নিকট পাকা রাস্তায় ইজিবাইক চালক রাসেলের পকেট থেকে ৬টি সোনার বারসহ তাকে আটক করে ৫৮ বিজিবি। ধৃত রাসেল উপজেলার কানাইডাঙ্গা গ্রামের মৃত রুবেলের ছেলে।
৫৮বিজিবির অতিরিক্ত পরিচালক তসলিম মো. তারেক এক প্রেস ব্রিফিং-এ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৫৮ বিজিবির নায়েব সুবেদার মাহাবুব হোসেনের নেতৃত্বে একটি টহল দল অভিযান চালিয়ে ৬টি সোনার বারসহ রাসেল(২৫)কে আটক করে। ধৃত রাসেল কানাইডাঙ্গা গ্রামের মৃত রুবেলের ছেলে। তার সাথে কথা বলে জানা যায়, তার গ্রামের কালু মিয়ার ছেলে আতাউল হক তাকে যশোর পাঠায়। যশোর লালদিঘিরপাড় থেকে টেলিফোনে যোগাযোগর মাধ্যমে জনৈক ব্যক্তি তার কাছে একটি ছোট প্যাকেট দিলে সে বহন করে নিয়ে আসছিল পথিমধ্যে সে বিজিবির হাতে ধরা পড়ে। সে আরো জানায়, সোনা চোরাকারবারি আতাউল হক তাকে মাসে ১৬ হাজার টাকা দেয়। গত ২০ দিনের ব্যবধানে ১২ ক্ষেপের মাথায় সে ধরা পড়লো।
বিজিবি আরো জানায়, ৬টি বারের ওজন ৫৯৯.৮৫ গ্রাম যার মূল্য ৪১লাখ ৮১হাজার ১শ ৬টাকা। এ ব্যাপারে মহেশপুর থানায় চোরাচালান আইনে মামলা হয়েছে।
কালিয়ায় প্রেমিকের বাড়ীতে প্রেমিকার অনশন
নড়াইল প্রতিনিধিঃ
নড়াইলের কালিয়ায় বিজিবি সদস্য প্রেমিক শামীম মোল্যার বাড়ীতে বিয়ের দাবিতে বিষের বোতল হাতে শিরিতাজ পারভীন (৩০) অনশনে বসেন। তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের মৃত আজিজুল হকের মেয়ে। রোববার (৩১ জুলাই) বিকালে ও সোমবার (১আগষ্ট) সকালে ওই প্রেমিকা পৌর শহরের মির্জাপুর গ্রামে প্রেমিকের ভাড়া বাড়ীতে অবস্তান করেন। মেয়েটির আসার খবর পেয়ে শামীমের বাবা-মা বাড়ীতে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যান। প্রেমিক শামীম মোল্যা উপজেলার কান্দুরি গ্রামের খায়রুল মোল্যার ছেলে। খাইরুল মোল্যা উপজেলার মাথাভাঙ্গা মধুমতি কারিগরি মহাবিদ্যালয়ের দফতরী কাম নৈশ প্রহরী। স্থানীয় সুত্র থেকে জানা যায়, রোববার (৩১ জুলাই) বিকালে ও সোমবার (১আগষ্ট) সকালে প্রেমিকা শিরিতাজ পারভীন কালিয়া পৌর শহরের মির্জাপুর (কলেজ পাড়া)গ্রামে প্রেমিক শামীমের
ভাড়া বাড়িতে বিষের বোতল হাতে অবস্তান করেন। মেয়েটির আসার খবর পেয়ে শামীমের বাবা-মা রোববার সকালেই বাড়ীতে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যান। ওইদিন কালিয়া থানা পুলিশের পরিচয়ে মেয়েটিকে ওই বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দিলেও পরেরদিন সকালে আবারও তিনি ওই বাড়ীতে বিয়ের দাবীতে অনশনে বসেন। তবে স্থানীয়রা তাকে বুঝিয়ে বা ম্যানেজ করে ওই বাড়ী থেকে বিকালে আবারও সরিয়ে তার নিজ বাড়ীতে পাঠিয়ে দেন বলে জানা যায়। এঘটনাটি পৌর শহরে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
শামীম মোল্যা প্রায় ৩ বছর আগে বিজিবির সদস্য হিসেবে চাকুরীতে যোগদান করেন বলে জানা গেছে। চাকুরী হওয়ার আগে ৮ লক্ষ টাকা যৌতুক নিয়ে উপজেলার বিলব্যাউচ গ্রামের তৈয়েব কাজীর মেয়ে স্বর্ণাকে বিয়ে করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে শামীম বিশেষ কারণে বিয়ের খবর দীর্ঘদিন গোপন রাখেন। চাকুরী হওয়ার একবছর পরে অর্থাৎ (চলতি বছরের) দু’মাস আগে স্থানীয় গ্রাম্য সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে শামীম স্ত্রী স্বর্ণাকে তালাক দেন।
এ বিষয়ে বিজিবি সদস্য শামীম মোল্যার সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, শিরিতাজ পারভীনের সাথে আমার কোন সম্পর্ক ছিলনা। তবে তাকে আমি চিনি। তার বয়স আমার
থেকে বেশি। বিধায় বিয়ে করা সম্ভব নয়।
আইসিটি একাডেমি প্রতিষ্ঠায় একসাথে হুয়াওয়ে ও কুয়েট
খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক জ্ঞানে আরও বেশি দক্ষ করে তুলতে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে একটি আইসিটি একাডেমি চালু করবে শীর্ষস্থানীয় আইসিটি অবকাঠামো, পণ্য ও সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে। এ নিয়ে কুয়েট ক্যাম্পাসে কুয়েট ও হুয়াওয়ে’র মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করা হয়।
এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেক্টিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আযহারুল হাসান, রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আনিসুর রহমান ভুঁইয়া, ইলেক্ট্রনিক্স এন্ড কমিউনেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. পল্লব কুমার চৌধুরী, হুয়াওয়ে বাংলাদেশের এন্টারপ্রাইজ বিজনেস গ্রুপের প্রেসিডেন্ট জর্জ লিন, পাবলিক রিলেশন্স ম্যানেজার তৌহিদুল হাসান এবং অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ।
এই চুক্তির অধীনে কুয়েটে একটি বিশেষ ট্রেনিং সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হবে এবং হুয়াওয়ে এর নিজস্ব আই-লার্নিং প্লাটফর্মের মাধ্যমে কুয়েট শিক্ষার্থীদের জন্য অনলাইন ট্রেনিং ম্যাটেরিয়াল ও কোর্স প্রদান করবে। এই একাডেমি প্রথমে কুয়েটের শিক্ষকদের হুয়াওয়ের সার্টিফাইড ট্রেইনার হিসেবে গড়ে তুলতে প্রশিক্ষিত করবে। এরপর আইসিটি একাডেমির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সর্বাধুনিক আইসিটি প্রযুক্তিতে প্রশিক্ষণ গ্রহণের সুযোগ পাবেন।
কুয়েটের ইলেক্টিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আযহারুল হাসান বলেন, “আমাদের ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধিসহ সার্বিকভাবে উন্নয়নের জন্য একটি টেকসই আইসিটি ট্যালেন্ট ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের আইসিটি ইকোসিস্টেমে হুয়াওয়ে নানাভাবে অবদান রেখেছে। আমি বিশ্বাস করি, হুয়াওয়ে কুয়েট আইসিটি একাডেমি আমাদের শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে এবং দক্ষতা ও জ্ঞান অর্জনের নতুন নতুন দিক উন্মোচন করবে।”
হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটডের এন্টারপ্রাইজ বিজনেস গ্রুপের প্রেসিডেন্ট জর্জ লিন বলেন, “ডিজিটালাইজেশনের সাথে সম্পর্কিত লক্ষ্যপূরণ করতে বাংলাদেশকে সার্বিক সহায়তা করতে সবসময় প্রস্তুত হুয়াওয়ে। এক্ষেত্রে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, একটি শক্তিশালী আইসিটি ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা। এজন্য একটি ইকোসিস্টেম তৈরির মাধ্যমে আইসিটি বিষয়ে মেধাবী তরুণদের দক্ষ করে তুলতে সরকার ও স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করে যাচ্ছে হুয়াওয়ে। এ তরুণরাই আগামী দিনে দেশের প্রবৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে। ভবিষ্যতের পৃথিবীর জন্য তরুণ প্রজন্মকে প্রস্তুত করতে আমাদের প্রতিশ্রুতিরই অংশ এই আইসিটি একাডেমি।”
হুয়াওয়ে ২০১৩ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী স্কুল-এন্টারপ্রাইজ কো-অপারেশন প্রকল্প হিসেবে আইসিটি একাডেমি চালু করে। বর্তমানে, পাকিস্তান, জাম্বিয়া ও চীনসহ বিশ্বজুড়ে ৯০টির বেশি দেশে হুয়াওয়ের পরিচালনায় ১৫শ’ আইসিটি একাডেমি কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এ উদ্যোগের সাথে সবমিলিয়ে ৯২৭টি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সম্পৃক্ত। এছাড়াও, বিশ্বের হাজার-হাজার শিক্ষার্থী এ উদ্যোগ থেকে উপকৃত হচ্ছেন।
একইভাবে বাংলাদেশে একটি আইসিটি ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে নিরলস কাজ করে চলেছে হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেড। এরই মধ্যে, গত মার্চ মাসে বুয়েটে হুয়াওয়ে বুয়েট আইসিটি একাডেমি চালু করা হয়েছে।
কলারোয়ায় প্রতারণায় স্বীকার হাস-মুরগীর ওষুধ ব্যবসায়ীর সংবাদ সম্মেলন
সোহাগ হোসেন কলারোয়া
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় এক নিরহ হাস-মুরগীর ওষুধ ব্যবসায়ী প্রতারনায় স্বীকার হয়ে জেলা প্রশাসনের সুাবিচার প্রার্থনা করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। তিনি সোমবার (১আগষ্ট) দুপুরে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য-উপজেলার যুগিখালী ইউনিয়নের মৃত সোনাই দেওয়ানের ছেলে হযরত আলী দেওয়ান বলেন-একই এলাকার প্রতিপক্ষ মৃত ইউনুছ আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করে আসছে। আমার রামভদ্রপুর মৌজায় জেএল নং-১০০, সাবেক খতিয়ান-৭২০, সাবেক দাগ ১৫৫৮, হালদাগ-২৫৫৪, জমির পরিমান ৫০শতক যার মধ্যে প্রতিপক্ষ রফিকুল ইসলামের কাছ থেকে ক্রয় সূত্রে ১৭.৫ শতক জমি আমার প্রাপ্য এবং ঐ দাগে অন্য ব্যক্তিদের কাছ থেকে আমি ৩৩ শতক জমি ক্রয় করি। ঐ ৩৩শতক জমি আমার ভোগ দখলে আছে। কিন্তু ১৭.৫ শতক জমি আমার দখল না দিয়ে প্রতিপক্ষরা জোর করে ভোগদখল করছে। আমি ২০১০সালে ৩১ধারায় আপিল করি। আপিল নং-২২৬১৪/১০। ২২ফ্রেরুয়ারী ২০১০ ইং তারিখে আমার দিন ধার্য ছিল। আমি মুহুরী আতিয়ার সরদার ওই দিন সকাল ৯টার সময় সেটেলমেন্ট অফিসে হাজির হতে বলে। আমি সেটেলমেন্ট অফিসে আসিলে মুহুরী খুবই ব্যাস্ততা দেখায় এবং আমার কাছ থেকে হাজিরা খাতাই সহি করে নেয়। আমি অল্প শিক্ষিত বুঝতে পারি নাই হাজিরা খাতা নাকি অন্য কিসে সহি করে নিয়েছে। তারপর মুহুরী আমাকে অপেক্ষা করেতে বলে। মুহুরী আমাকে দুপুর ১২টার দিকে বলে আজকে আমাদের মৌজা ধরবে না, অন্য দিন হবে। যেদিন হবে তোমাকে জানাবো। মহুরী পরে আর কোন কিছু আমাকে জানাই নাই। এখন আমি শুনছি যেটাই সহি করেছিলাম সেটা নাকি নাদাবি পত্র ছিল। ঐ ৫০শতকের মধ্যে অন্য লোকের কাছ থেকে ৩৩শতক জমি ক্রয় করি সে জমিও না দাবি করে নিয়েছে। অবশ্য সে জমি আমার ভোগ দখলে ও প্রিন্ট পর্চা আমার নামে আছে। আমি প্রকৃত পক্ষে ওই জমির কোন নাদাবি দেই নাই বা স্বাক্ষর করে নাই। এনিয়ে আমি উপজেলার যুগিখালী বাজারে মেম্বরসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে বিচার শালিশ হলে প্রতিপক্ষরা তা মেনে নেয় নাই। বিষয়টি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জেলা প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠ ও সুবিচার প্রর্থনা করছি।
বঙ্গবন্ধু‘র অবিনাশী চেতনা ও আদর্শ চির প্রবাহমান থাকবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে: সিটি মেয়র
খবর বিজ্ঞপ্তি
মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির স্বাধীনতা ও মুক্তির প্রতীক। তিনি বাংলার মাটি ও মানুষের পরম আত্মীয়, বাংলার ইতিহাসের মহানায়ক, স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা। বাঙালি জাতির পিতা। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। উন্নত সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলা’র স্বপ্নসারথি।
তিনি বলেন, ’৭৫-এর ১৫ই আগস্ট নরপিশাচ খুনিরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করতে ঘৃণ্য ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট থেকে দীর্ঘ ২১ বছর বাঙালি জাতি বিচারহীনতার কলঙ্ককের বোঝা বহন করতে বাধ্য হয়। জাতির পিতার সুযোগ্যকন্যা দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গঠিত সরকার বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে নিয়মতান্ত্রিক বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ২০১০ সালে ঘাতকদের ফাঁসির রায় কার্যকর করার মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করে। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, বাংলার মাটিতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবেই। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সকল ষড়যন্ত্রকে উপেক্ষা করে নানা প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়েও ঘৃণ্য যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রক্রিয়া শুরু করেন।
তিনি বলেন, বাঙালির মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চিরঞ্জীব- তাঁর চেতনা অবিনশ্বর। বাঙালি জাতির অস্থিমজ্জায় মিশে আছেন বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। মুজিবাদর্শে শাণিত বাংলার আকাশ-বাতাস জল-সমতল। বঙ্গবন্ধু‘র অবিনাশী চেতনা ও আদর্শ চির প্রবাহমান থাকবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে।
তিনি আরো বলেন, জাতির পিতা চেয়েছিলেন ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের জনগণের মুক্তির যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তাঁর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যকে জয় করে বিশ্বসভায় একটি উন্নয়নশীল, মর্যাদাবান জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ। সারা বিশে^ বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় দলীয় কার্যালয়ে মহানগর কৃষক লীগের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানসহ ১৫ই আগস্ট নিহত সকল শহীদদের স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। এসময়ে আরো বক্তৃতা করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা। মহানগর কৃষক লীগের আহ্বায়ক এ্যাড. এ কে এম শাহজাহান কচি ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যা. এ বি এম আদেল মুকুলের পরিচালনায় এসময়ে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম বন্দ, সাংগঠনিক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যা. আলমগীর কবির, দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জুবায়ের আহমেদ খান জবা, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহ্বায়ক মীর বরকত আলী, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জিলহজ্জ হাওলাদার, কৃষক লীগ নেতা মো. আইউব আলী খান, শেখ হারুন মানু, মো. আলমগীর কবীর, অধ্যা. প্রশান্ত রায়, শামসুজ্জোহা বাঙালী, কানাই রায়, রেজোয়ান আকুঞ্জী রাজা, মো. আবু নাঈম, মো. মফিজুর রহমান, শেখ আবু বকর সিদ্দিকী বাবুল, হেলালুর রহমান রিমন, লুৎফর রহমান, মো. লিমন, কবিরুল আলম, হালিম আকন, হীরা, শহিদুল ইসলাম মাষ্টার, মো. আবিদ, আবু হাসান, কাইয়ুম মোল্লা, মাষ্টার নজরুল ইসলাম, হরিপদ সাহা, শহিদুল ইসলাম ধলু, মো. আলী রানা, শেখ নিজাম উদ্দিন, মো. টিটু, মনির হোসেন, মতিউর রহমানসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
আলোচনা সভা শেষে শোকাবহ আগস্টে নিহত সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় এবং বাংলাদেশ আওয়ামী যুব লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বর ও বিসিবি‘র পরিচালক শেখ সোহেল এর সুস্থতা ও দীর্ঘায়ূ কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
শেখ সোহেলের সুস্থ্যতা কামনায় ২৭ নং ওয়ার্ড যুবলীগের দোয়া
খবর বিজ্ঞপ্তি
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এর পরিচালক, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ এর প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষপুত্র শেখ সোহেল এর সুস্থ্যতা কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বাদ মাগরিব ২৭ নং ওয়ার্ড যুবলীগের উদ্যোগে ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ে এই দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নগর যুবলীগের আহবায়ক সফিকুর রহমান পলাশ, নগর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক ও নগর ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ শাহজালাল হোসেন সুজন, নগর ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রাসেল, ২৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন লাবু, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা মেহেদী হাসান, নগর যুবলীগের সদস্য ও ২৭নং ওয়ার্ড যুবলীগের আহবায়ক মোঃ আবুল হোসেন, নগর যুবলীগের সদস্য কাজী কামাল হোসেন, সদর থানা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক রাশেদুজ্জামান রিপন, ছাত্রলীগ নেতা তাজুল ইসলাম তাজু, সাবেক ছাত্রনেতা অভিজিৎ পাল, এস এম সাঈদুজ্জামান সাঈদ, আইনজিবী মেহেদী হাসান, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মাজহারুল ইসলাম মজু, ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা ইব্রাহিম হোসেন তপু, জামিল আহমেদ সোহাগ, জিহাদুর রহমান জিহাদ, জয়নাল আবেদীন জনি, মহিদুল হক শান্ত, ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি বরকত উল্লাহ রাজ, সাধারণ সম্পাদক শেখ রাকিব আহমেদ, যুবলীগ কর্মী রেজওয়ান আহমেদ জয়, সাগর মজুমদার, মোঃ আনোয়ার হোসেন বাবু, একরামুল শেখ, মোঃ ইব্রাহিম, মোঃ সোহাগ প্রমুখ। দোয়া পরিচালনা করেন রসূল বাগ জামে মসজিদের ইমাম শরীফ মোঃ মাহমুদুর রহমান।
খুলনা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আউটসোর্সিং কর্মচারী নিয়োগের নিষেধাজ্ঞা স্থগিত
স্টাফ রিপোর্টার
খুলনা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে নতুন করে আউটসোর্সিং কর্মচারী নিয়োগের ওপরে ৬মাসের নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করেছে সুপ্রীমকোর্ট। ১আগস্ট সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগের চেম্বারকোর্ট এ আদেশ দিয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার (২আগস্ট) সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবী জয়নুল আবেদীন এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এরআগে গত ৩০জুন সুপ্রীমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মোঃ আক্তারুজ্জামানের যৌথ বেঞ্চ খুলনা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে নতুন করে আউটসোর্সিং কর্মচারী নিয়োগের ওপরে ৬মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন। ওই রিট পিটিশনটি দাখিল করেছিলেন মেসার্স কন্ট্যাক্ট ক্লিনিং সার্ভিসেস লিঃ এর মালিক মোঃ হেমায়েত হোসেন ফারুক নং- ৭৬০০/২০২২। এবিষয়ে সিভিল পিটিশন লিভ টুআপিল নং-২১০৩/২২ শুনাণী শেষে ১আগস্ট সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগের চেম্বারকোর্ট ওই নিষেধাজ্ঞা ৮ সপ্তাহের জন স্থগিতাদেশ দেন।
বাতিল হলো যশোরে ৩ উপজেলা আ’লীগের ‘পকেট কমিটি’
যশোর অফিস
বাতিল হয়ে গেল জেলা সভাপতির একতরফা স্বাক্ষরে ঘোষিত যশোরের মনিরামপুর, ঝিকরগাছা ও বাঘারপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ‘পকেট কমিটি’। মঙ্গলবার দলের কেন্দ্রীয় কমিটির খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হকের ধানমন্ডির অফিসে আহূত জরুরি সভায় কথিত ওই কমিটিগুলো বাতিল করা হয়।
সভা শেষে এদিন রাতে পাঠানো জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুজিবুদ্দৌলা সরদার কনক স্বাক্ষরিত সংবাদবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আওয়ামী লীগের যশোর জেলাধীন কয়েকটি উপজেলা শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি সংবাদমাধ্যম ও ফেসবুকে প্রকাশিত হয়। সংগঠনের গঠনতন্ত্র যথাযথ অনুসরণ না করে ওই কমিটি ঘোষণা করায় তা নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়। এ বিভ্রান্তি অবসানের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত) বি এম মোজাম্মেল হকের আহ্বানে জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দ এবং সংসদ সদস্যদের উপস্থিতিতে বিস্তারিত আলোচনা করে গণমাধ্যম ও ফেসবুকে প্রচারিত ওই কমিটিগুলো বাতিল করা হয়।’
এ নিয়ে অপপ্রচার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘সেপ্টেম্বর মাসে গঠনতন্ত্র অনুসারে এসব ইউনিটের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে।’
উল্লেখ্য, ৩১ জুলাই শনিবার রাতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন স্বাক্ষরিত ওই তিনটি উপজেলা কমিটির পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হয়। যেখানে স্বাক্ষর ছিল না জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার এমপির। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলে নানা বিতর্ক।
নির্বাহী কমিটির সভা ও সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের যৌথ স্বাক্ষর ছাড়া কমিটি অনুমোদন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ত্যাগী ও বঞ্চিত নেতারা। অভিযোগ ওঠে, দলীয় গঠনতন্ত্র উপেক্ষা করে সুযোগসন্ধানী একটি পক্ষকে পুনর্বাসনের মধ্য দিয়ে ‘পকেট কমিটি’ করেন জেলা সভাপতি। এ নিয়ে পরস্পরকে দোষারোপ করে বক্তব্য দেন জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
মঙ্গলবার বিকেলে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হকের ধানমন্ডির অফিসে অনুষ্ঠিত এ-সংক্রান্ত সভায় নেতৃবৃন্দের তোপের মুখে পড়েন জেলা সভাপতি। শুরুতেই তাঁর প্রতি উত্তেজিত হন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুল মজিদ ও অ্যাডভোকেট আলী রায়হান এবং জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক ও যশোর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা ফরিদ আহম্মেদ চৌধুরী। একপর্যায়ে সভাপতি দুঃখ প্রকাশ করেন। এ সভায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, যশোর-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিনও উপস্থিত ছিলেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও যশোর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা ফরিদ আহম্মেদ চৌধুরী বলেন, দীর্ঘ আলোচনা শেষে সন্তোষজনকভাবে সভা শেষ হয়েছে। শোকের মাস আগস্ট পার হওয়ার পর খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকসহ অন্য নেতৃবৃন্দের নির্দেশনা অনুযায়ী গঠনতন্ত্র মেনে যোগ্য নেতাদের নিয়ে জেলার সব ইউনিটের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে।
মহাসড়ক পার হচ্ছিল ২ বান্ধবী, ধাক্কা দিল মাইক্রোবাস
বাগেরহাট প্রতিনিধি
বাগেরহাটের ফকিরহাটে বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় চতুর্থ শ্রেণির এক শিশু নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার বৈলতলী নামক স্থানে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। এ সময় অপর এক শিশুশিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়।
নিহত শিক্ষার্থী মরিয়ম (৯) বৈলতলী গ্রামের রেজাউল করিমের মেয়ে। আহত তাজমিরা (১০) একই এলাকার সরোয়ার হোসেনের মেয়ে। তারা স্থানীয় বৈলতলী পশ্চিমপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক নাসিমা খাতুন জানান, দুপুর ১২টার দিকে মরিয়ম ও তাজমিরা স্কুলে আসার জন্য মহাসড়ক পার হচ্ছিল। এ সময় খুলনাগামী মাইক্রোবাস তাদের ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে মরিয়ম নিহত ও তাজরীন আহত হয়। তাজরীনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মোল্লাহাট হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক শেখ আবুল হাসান বলেন, ঘাতক মাইক্রোবাসটি শনাক্তের চেষ্টা চলছে। নিহত শিশুর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
Post Views:
34