সুন্দরবন ডেক্স: শরণখোলায় এক প্রবাসীর স্ত্রী বাড়ি নির্মান করতে যেয়ে প্রতিপক্ষ দ্বারা হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অনৈতিক সুবিধা আদায় করতে না পেরে নির্মান কাজে বাঁধাসহ মিথ্যা মামলা দিয়ে একর পর এক হয়রানি করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে সৌদি প্রবাসী উপজেলার রাজৈর গ্রামের খলিল তালুকদারের স্ত্রী ফাতিমা আক্তার সাংবাদিকদের কাছে এমন অভিযোগ করেন।
লিখিত অভিযোগে তিনি জানান, রাজৈর গ্রামের মোবারক হাওলাদারের কাছ থেকে ১৮ শতক জমি ক্রয় করে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছেন। কিন্তু তার স্বামী প্রবাসী হওয়ায় প্রতিবেশী আঃ রহমান হাওলাদার শান্তিপূর্ণ বসবাসে বিভিন্ন সময় ষড়যন্ত্র ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে আসছে। আমার বাড়ির মধ্যে জমি পাবে বলে দাবী করে নির্মান কাজ জোর পূর্বক বন্ধ করে দেয়। এরপর স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উভয় পক্ষের কাগজপত্র দেখে জমি পরিমাপ করে দিলে আমি পুনঃরায় বাড়ি নির্মানের কাজ শুরু করি।
কিন্তু আঃ রহমান হাওলাদার এরপরও শুধুমাত্র হয়রানির উদ্যেশ্যে বাগেরহাট অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করে ১৪৪ ধারা নিয়ে এসে কাজ বন্ধ করে দেন। এমনকি বুধবার সকালে আঃ রহমান বাড়ির সীমানার বেড়া ও গাছপালা জোর করে কেটে ফেলেছেন। এ অবস্থায় নির্মান কাজ বন্ধ থাকায় একদিকে যেমন মালামাল নষ্ট হচ্ছে অপরদিকে সন্তানদের নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে।
এখন যে কোন সময় প্রতিপক্ষের হামলার ভয়ে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছেন বলে তিনি জানান। তিনি এ বিষয়ে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সুদৃষ্টি কামনা করছেন। এব্যপারে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন খান মহিউদ্দিন জানান, আঃ রহমানের ছেলে আসাদ হাওলাদার স্থানীয়দের নিয়ে সীমানা নির্বারন করে দেয়ার পরে ওই প্রবাসীর স্ত্রী বাড়ি নির্মান কাজ শুরু করেন।
কিন্তু পরবর্তীতে তারা স্থানীয় সালিশ বৈঠক না মেনে পরিবারটিকে হয়বানি করার জন্য আদালতে মামলা করেছেন। এব্যপারে জানতে চাইলে আঃ রহমান হাওলাদার বলেন, কাগজপত্র অনুযায়ী আমরা তাদের মধ্যে জমি পাবো। জমি না ছাড়ায় আদালতে মামলা করেছি। আদালতের রায় অনুযায়ী বিষয়টি ফয়সালা হবে।