সোমবার, ২০ মার্চ ২০২৩, ০৬:০০ অপরাহ্ন
শিরোনাম
সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন খুলনা মহানগর শাখার সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত রামপালে যথাযোগ্য মর্যাদায় বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন শরণখোলায় বিআরডিবির নবনির্বাচিত পরিষদের শপথ ও দায়িত্ব গ্রহন শরণখোলায় দিনব্যাপী উদ্যোক্তা সমাবেশ ও প্রদর্শনী মেলা অনুষ্ঠিত শরণখোলায় শ্রেণীকক্ষ থেকে ২০০ এ্যান্ড্রয়েড ফোন উদ্ধার! মোরেলগঞ্জে নিখোঁজ ড্রেজার শ্রমিকের লাশ উদ্ধার মোরেলগঞ্জে খালে পড়ে ড্রেজার শ্রমিক নিখোঁজ চুরি হয়েছিল গর্ভবতী গাভি, ৫ মাস পর বাছুরসহ ফেরত দিলো চোর! মোরেলগঞ্জে স্কুল শিক্ষিকার বসতঘর পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা মোরেলগঞ্জে সরকারি রাস্তা কেটে ৫ বছর ধরে ঘেরে পানি তুলছেন প্রভাবশালী

খুলনায় ধর্ষণসহ তিন মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে সাজা

  • Update Time : বুধবার, ১০ আগস্ট, ২০২২
খুলনায় ধর্ষণসহ তিন মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে সাজা

স্টাফ রিপোর্টার ।।
নগরীর খানজাহান আলী থানার ধর্ষণ মামলায় দোষী সাবস্ত হওয়ায় মাসুদ গাজী (৪৫) নামের এক আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। একই সাথে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে। বুধবার (১০ আগস্ট) খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুস ছালাম খান এ রায় ঘোষণা করেছেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মাসুদ গাজী খানজাহান আলী থানাধিন মাতমডাঙ্গা পুর্বপাড়া ৪নং ওয়ার্ড এলাকার মৃত. আব্দুর রহমান গাজী ওরফে দফাদারের ছেলে। রায় ঘোষণাকালে মাসুদ গাজী আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী (পেশকার) মো. রুবেল খান নথীর বরাত দিয়ে জানান, ২০১৫ সালের ১৫ অক্টোবর খানজাহান আলী থানাধিন মাতমডাঙ্গা পুর্বপাড়া ৪নং ওয়ার্ড মরিয়ম বেগমের বাড়ির ভাড়াটিয়া মাসুদ গাজী (৪৫) ওই এলাকার এক যুবতীকে গলায় ছুরি ঠেকিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর বিভিন্ন সময় তাকে ডেকে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করতো। পরবর্তিতে ওই যুবতী গর্ভবতি হয়ে যায়। এঘটনায় তার বাবা বাদি হয়ে ২০১৬ সালের ২০ জুন খানজাহান আলী থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রোকনুজ্জামান আসামি মাসুদকে অভিযুক্ত করে একই বছরের ১১ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ৮জনের স্বাক্ষ্য গ্রহন করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন বিশেষ পিপি এড. ফরিদ আহমেদ।

বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতে বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় একজনের ৩ বছরের কারাদণ্ড

বটিয়াঘাট থানার বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলার এক আসামিকে ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ৩ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত।
বুধবার (১০ আগস্ট) খুলনা বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ওহিদুজ্জামান শিকদার এ রায় ঘোষণা করেছেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা থানার খাসখামার গ্রামের মো. ইব্রাহিম গাজীর ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম (২৮)। রায় ঘোষণাকালে আসামি পলাতক ছিলেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী ইয়াসিন আলি নথীর বরাত দিয়ে জানান, ২০১৩ সালের ২৫ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জিরোপয়েন্ট এলাকায় অভিযান পরিচলনা করে র‌্যাব-৬। এসময় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে ১২ বোতল ফেন্সিডিলসহ সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। এঘটনায় র‌্যাবের এসআই মো. জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে সাইফুলের বিরুদ্ধে বটিয়াঘাট থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলা দায়ের করেন যার নং- ২১। ওই বছরের ৩০ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বটিয়াঘাটা থানার এসআই প্রবীণ চক্রবর্তী আদালতে সাইফুলকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। রাস্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট মাহমুদা ফারজানা।

অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতে অস্ত্র মামলায় ৩ আসামির বিভিন্ন মেয়াদে সাজা

বটিয়াঘাটা থানার অস্ত্র আইনের পৃথক দু’টি ধারায় ৩ আসামিকে ভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করেছে আদালত। বুধবার (১১ আগস্ট) অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক বেগম শিরীন নাহার এ রায় ঘোষণা করেছেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে পলাশ বৈরাগীকে অস্ত্র আইনের ১৯ (এ) ও (এফ) ধারায় ১৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও অপর দু’আসামি নজরুল ইসলাম ও প্রতাপ বৈরাগীকে ১৯ (এফ) ধারায় ৭ বছরের সশ্রম করাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে। রায় ঘোষণাকালে প্রতাপ বৈরাগী পলাতক ছিলেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো: আলমগীর হোসেন নথীর বরাত দিয়ে জানান, ২০১৫ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি বনদস্যু ও ডাকাত গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করে র‌্যাব-৬ এর একটি দল। এসময় তারা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে বটিয়াঘাটা উপজেলার গোপালখালী খেয়াঘাটে ডাকাতির উদ্দেশ্যে কয়েকজন লোক অবস্থান করছে। এমন সংবাদে তারা সেখানে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও গুলিসহ ৫জনকে আটক করে। তারা হলেন, পলাশ বৈরাগী, নজরুল ইসলাম, প্রতাপ বৈরাগী, সৈয়দ সুমন হোসেন ও আরেফিন গাজী। এদের মধ্যে পলাশ বৈরাগীর হাতে থাকা একটি ব্যাগের ভেতর থেকে ৩টি দেশি তৈরি পাইপগান, নজরুল ইসলাম ও প্রতাপ বৈরাগীর কাছ থেকে ৪টি শর্টগানের গুলি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ওইদিন রাতে র‌্যাবের ডিএডি সামশুল আলম বাদী হয়ে বটিয়াঘাটা থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করেন যার নং- ১৭। একই বছরের ২৭ অক্টোবর থানার এসআই রিপন কুমার তাদের ৫জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। রাস্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এপিপি অ্যাডভোকেট এম ইলিয়াস খান।


Post Views:
41



নিউজের উৎস by [সুন্দরবন]]

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Recent Posts

© 2022 sundarbon24.com|| All rights reserved.
Designer:Shimul Hossain
themesba-lates1749691102