জুমবাংলা ডেস্ক : আমাদের বহির্বিশ্বে এমন অনেক প্রজাতি এবং প্রাণী রয়েছে যাদের সম্পর্কে আমাদের কোনো ধারণা নেই। বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য এই সব প্রাণীদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু তা সত্বেও আমরা অনেক প্রাণীদের নাম জানিনা। আজকের এই বিশেষ প্রতিবেদনে আমরা এমন একটি ছোট পতঙ্গ নিয়ে আলোচনা করবো যা অত্যন্ত আক্রমণাত্মক।
প্রতিবেদনটি এতদূর পড়ার পর হয়ত আপনারা ভাবছেন এই পতঙ্গটি কি! তাহলে আসুন আর দেরি না করে শুরু করা যাক আমাদের এই বিশেষ প্রতিবেদন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এই আক্রমণাত্মক পতঙ্গটি হলো Praying mantis । অনেকটা ঘাসফড়িং এর মত দেখতে হয়ে থাকে বলে এদেরকে
একসাথে গুলিয়ে ফেলেন অনেকে। তবে ম্যান্টিসের জ্ঞাতি প্রজাতি হচ্ছে উইপোকা এবং তেলাপোকা, যারা সুপারঅর্ডার ডিক্টপ্টেরায় অবস্থান করে। ম্যান্টিসরা নাতিশীতোষ্ণ এবং গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চলে বসবাস করে।
এদের ত্রিকোণাকার মাথা এবং গোলাকার পুঞ্জাক্ষী বিদ্যমান। এদের দীর্ঘায়িত দেহে ডানা থাকতেও পারে আবার নাও থাকতে পারে। আক্রমণ করার সময় তাদের ন্যায়পরায়ণ অঙ্গবিন্যাস, অগ্রপদ ভাঁজ থাকায় এদের
নাম দেওয়া হয়েছে প্রেয়িং ম্যান্টিস। মোটামুটি বছরখানেক সময় পর্যন্ত এই পতঙ্গের প্রজাতি বেঁচে থাকে। উল্লেখ্য স্ত্রীজাতীয় ম্যান্টিসরা অনেক সময় স্বজাতিভক্ষন করে এবং
পুরুষ ম্যান্টিসদের খেয়ে ফেলে। তবে সাপের মতো প্রজাতিকেও এরা ভক্ষণ করতে পারে।প্রাচীনকালে মনে করা হতো ম্যন্টিসদের অতিপ্রাকৃত শক্তি রয়েছে। যদিও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই চিন্তা ভাবনা পাল্টে গিয়েছে।
আরেকটি আশ্চর্যের বিষয় জানিয়ে রাখি যে, ম্যান্টিসরা পতঙ্গদের মধ্যে একমাত্র প্রজাতি যা পোষাপ্রাণী হিসেবে ব্যবহার করা হয়। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় পতঙ্গের এই প্রজাতিটিকে নিয়ে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সমিরন বারিক নামে এক ব্যক্তির নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল থেকে এই ভিডিওটি শেয়ার করা হয়েছে। বিস্তারিত জানতে আপনারা সেই ভিডিওটি দেখে নিতে পারেন।