নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের ডুবারপাড়া এলাকার শিশির আহমেদ সমন্বিত কৃষি খামার করে সফলতা পেয়েছেন। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ শেষ করে চাকরির পেছনে না ছুটে মাছ চাষ শুরু করেন এবং পাশাপাশি কবুতর ও ছাগল পালন করছেন তিনি।
জানা যায়, বর্তমানে তার খামারে ২১টি উন্নত জাতের ছাগল রয়েছে। ১৫০ থেকে ২০০ জোড়া দেশি-বিদেশি কবুতর এবং ১৮ বিঘা আয়তনের দুটি পুকুর রয়েছে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন জেলায় মাছ পাঠাতে ৫টি ট্রাকও রয়েছে তারা। তার খামারে প্রতিদিন কাজ করে সংসার চালাচ্ছেন ১০০ শ্রমিক।
শিশির আহমেদের বলেন, ২০১২ সালে এমবিএ শেষ করে মাছ চাষ শুরু করি। নিজ এলাকায় ৮০ থেকে ৯০ বিঘার ১০ থেকে ১২টি পুকুরে চাষ শুরু করি বিভিন্ন জাতের মাছ। শুরুতে পুকুরে মাছ চাষ করে পাইকারদের কাছে বিক্রি করলেও ২০১৬ সালে পুকুরের সংখ্যা কমিয়ে দিই।
তিনি আরও বলেন, ছাগলের খামারে ৬টি তোতা, ৩টি হরিয়ানা, ২টি বারবাড়ি এবং ৭টি ক্রসসহ মোট ২১টি সৌখিন ছাগল রয়েছে। গত ২ বছর থেকে ছাগলের খামার সংযোজন করেছি। ভারতের রাজস্থান থেকে ছাগলগুলো সংগ্রহ করি। ৬ মাস পরপর ছাগলগুলো ৩টি করে বাচ্চা দেয়। ওই ছাগলের খামারে তার এ পর্যন্ত ৯ থেকে ১০ লাখ খরচ হয়েছে। যা থেকে বছরে গড়ে ৫ লাখ টাকা লাভ হচ্ছে।
শিশির বলেন, বর্তমানে খামারে রয়েছে ১৫০ থেকে ২০০ জোড়া উন্নত জাতের কবুতর। কবুতরগুলো দেখাশোনার জন্য ২ জন শ্রমিক সার্বক্ষণিক কাজ করে। কবুতরের খামার করতে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। প্রতি মাসে এসব উন্নত জাতের কবুতর বিক্রি করে তার ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা লাভ হয়।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা বলেন, ওই খামার সম্পর্কে তিনি অবগত। শিক্ষিত যুবক তার স্ত্রীর সহায়তায় উন্নত জাতের কবুতর আর ছাগলের খামার গড়ার পাশাপাশি মাছ সরবরাহের মাধ্যমে লাভবান হচ্ছেন, একইসঙ্গে শত মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। বিষয়টি উদাহরণযোগ্য।