সারাদেশে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে ঝুঁকছেন চাষিরা। তরমুজ খুবই সুস্বাদু একটি ফল। ঠান্ডা তরমুজ গ্রীষ্মকালে বেশ জনপ্রিয়। এতে প্রচুর পরিমাণ জল থাকে। কম সময়ে অধিক ফলন হয় আর খরচও কম লাগে। তাই কৃষকরা তাদের ফেলে রাখা জমিতে তরমুজ চাষ করছেন।
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের কৃষক মো. সেলিম পরীক্ষামূলক গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করেছেন। চলতি মৌসুমে শখের বসে ৫০ শতাংশ জমিতে তৃপ্তি, ব্লাক ড্রাগন ও সুইট ড্রাগন জাতের তরমুজ চাষ শুরু করেছেন।
তরমুজের চাষাবাদ, বীজ ও মাচা তৈরিতে প্রায় ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে তাকে অধিকাংশ সহযোগিতাই করা হয়েছে । একজন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা তার প্রকল্প দেখাশোনা করার জন্য নিয়োজিত রয়েছেন।
কৃষি বিভাগ জানায়, পরীক্ষামূলক এ চাষ সফলতার মুখ দেখলে পুরো উপজেলায় গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষাবাদে কৃষকদের উৎসাহিত করা হবে।
কৃষক মো. সেলিম বলেন, তিনি কৃষি অফিসের পরামর্শে শসা, বেগুন, ব্রুকলিসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করে আসছেন। চলতি মৌসুমে শসা চাষ করে তিনি অনেক লাভবান হয়েছেন। তার জমির সবজি সরাসরি ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করেছেন।
তিনি আরও জানান, বর্ষা মৌসুমে তিনি ৫০ শতাংশ জমিতে পরীক্ষামূলক গ্রীষ্মকালীন উন্নত জাতের তরমুজ চাষ শুরু করেছেন। উপজেলা কৃষিসম্প্রসারণ অধিদফতর থেকে তাকে তরমুজ চাষে উৎসাহিত ও সহযোগিতা করছে।
চরলরেন্স ইউনিয়নের করইতলা ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. মোবারক হোসেন বলেন, স্মলহোল্ডার এগ্রিকালচারাল কম্পিটিটিভনেস প্রজেক্ট (এসএসিপি) ও কমলনগর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর পরীক্ষমূলক গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে কৃষক মো. সেলিমকে উৎসাহ দিয়েছে। এখানে হলুদ ও কালো রঙ্গের তরমুজ চাষ করা হয়েছে। জমিতে তরমুজের ভালো ফলন এসেছে। আমরা আশা করছি কৃষক মোঃ সেলিম অনেক লাভবান হবেন।
কমলনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আতিক আহমেদ বলেন, ধানের চাষের পাশাপাশি কৃষকদের বিভিন্ন ফল ও শাকসবজি চাষ করার জন্য উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। কৃষি অফিস থেকে সার, বীজ ও নগদ টাকাসহ সব ধরনের সহযোগিতা নিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে উপজেলার চরলরেন্স, চরকাদিরা ও পাটারিরহাট ইউনিয়নে তিন জাতের বারোমাসি গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ শুরু করেছেন তারা। অল্প খরচে বেশি লাভ আসে বলে দিন দিন চাষিরা তরমুজ চাষে ঝুঁকছেন। তারা সফল হলে আরো অনেক চাষিরা তরমুজ চাষে আগ্রহী হবেন বলে মনে করছেন এ কৃষি কর্মকর্তা।