সুন্দরবন ডেক্স: বাগেরহাটের শরণখোলায় একটি মার্কেটে আগুন লেগে ১৫টি দোকান পুড়ে গেছে। বুধবার (৯ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলা সদরের পাঁচরাস্তা বাদল চত্বর মোড়ে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনে দোকানের মালামাল ও অবকাঠামোসহ প্রায় তিন কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও ঘর মালিকরা দাবি করেছেন।
স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের শরণখোলা ও মোরেলগঞ্জের দুটি ইউনিট স্থানীয়দের সহযোগীতায় প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণ আসে।
এদিকে, ব্যবসায়ী, ঘর মালিকসহ ১৮ জন ক্ষতিগ্রস্তকে তাৎক্ষণিকভাবে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। রায়েন্দা ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ইউপি চেয়ারম্যান আজমল হোসেন মুক্তা এই খাদ্যসামগ্রী প্রদান করেন। এসময় উপজেলা পরিষদের চেয়রাম্যান রায়হান উদ্দিন শান্ত, রায়েন্দা ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ রুমি, রায়েন্দা বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান বাবুল তালুকদার প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে হাওলাদার ফার্মেসী মালিক মো. মাইনুল ইসলাম টুকু জানান, আগুনে তার দোকানের ওষুধ ও ঘরসহ প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। রিপা টেলিকমের মালিক ও বিকাশ এজেন্ট মো. শফিকুল ইসলাম জানান, নগদ টাকাসহ তার প্রায় ২২ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে গেছে। খোকন তালুকদার জানান, তার কনফেকশনারী দোকানের প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
মার্কেটেরে মালিক মো. শফিকুল ইসলাম খোকন ও সাইয়েদ খান জানান, তাদের মার্কেটে ওষুধের ফার্মেসী, মুদি, ইলেক্ট্ররিক্স, ভেটেরিনারী ফার্মেসী, কনফেকশনারী, খাবার দোকানসহ মোট ২৫টির মতো দোকান রয়েছে। এর মধ্যে ১৫টি দোকান পুড়ে গেছে। আগুনে মালামাল ও অবকাঠামোসহ তাদের প্রায় তিন কোটি কাটার ক্ষতি হয়েছে।
শরণখোলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আফতাব-ই আলম বলেন, রাত আনুমানিক ৩টার দিকে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিকের মাধ্যমে আ নের সূত্রপাত হয়েছে। আমরা রাত সাড়ে ৩টার দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালাই। পরে পার্শ্ববর্তী মোরেগঞ্জ উপজেলা থেকে ফায়ার সার্ভিসের আরো একটি টিম এসে আগুন নেভাতে সহায়তা করে। দুই টিমের ২০ জন সদস্য এবং স্থানীয় কয়েক শ লোকের প্রচেষ্টায় প্রায় দুই ঘন্টার পর আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসে।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নূর-ই আলম সিদ্দিকী বলেন, আগুনে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরী করেছি। ক্ষতিগ্রস্তরা যাতে সরকারি সহায়তা পান সেজন্য তালিকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠানো হবে।