সুন্দরবন ডেক্স: সুন্দরবনে এফবি সোহেল নামে একটি ফিশিং ট্রলারে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিপক্ষ জেলে বাবুল হাওলাদারের নেতৃত্বে ১৫-১৬ জন জেলে নামধারী দুর্বৃত্ত সোহেল ট্রলারটি ভাঙচুর করে। এসময় তারা চার জেলেকে মারধর করে প্রায় দেড় লাখ টাকাসহ বিভিন্ন মালামাল লুটে নেয়। রবিবার (১৩নভেম্বর) দুপুরে ক্ষতিগ্রস্ত ট্রলার মালিক সোহেল হাওলাদার ও হামলার শিকার জেলেরা এই অভিযোগ করেন।
আগেরদিন শনিবার (১২নভেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের কটকা অফিসসংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে এই হমালার ঘটনা ঘটে।
আহত জেলেরা হলেন ট্রলারের মাঝি আ. রহিম হাওলাদার (৩০), জেলে এমাদুল হাওলাদার (৪৫), আজিজুল (১৫) ও পান্না মুন্সী (৬০)। এদের মধ্যে গুরুত্ব আহত ট্রলার মাঝি রহিম ও জেলে এমাদুলকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অন্য দুজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। আহত জেলেদের বাড়ি শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামে। ট্রলারের মাঝি আ. রহিম জানান, তারা সুন্দরবনের শ্যালা নদী থেকে মাছ ধরে পাথরঘাটার মহিপুরে বিক্রি করতে যান। মাছ বিক্রি করে আবার শ্যালায় ফেরার উদ্দেশে রওনা হন।
তারা ট্রলার নিয়ে কটকার কাছাকাছি এলে প্রতিপক্ষ দক্ষিণ রাজাপুরের জেলে বাবুল হাওলাদারের নেতৃত্বে ১৫ থেকে ১৬ জন জেলে দুটি ট্রলারযোগে এসে তাদের ট্র্রলারে হামলা চালায়। তারা দুটি ট্রলার দিয়ে সজোরে একের পর এক আঘাত করতে থাকে তাদের ট্রলারে। এতে এফবি সোহেল ট্রলারের পেছনের অংশ সম্পূর্ণ ভেঙে সাগরে ভেসে যায়।
পরে ওই দুর্বৃত্তরা তাদের ট্রলারে উঠে জেলেদের এলোপাতাড়ি মারধর করে মাছ বিক্রির এক লাখ ৪৮ হাজার টাকা এবং মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত ট্রলার মালিক মো. সোহেল হাওলদার বলেন, আমার ট্রলারের জেলে এমাদুল হাওলাদার হামলাকারীদের প্রধান বাবুলের কাছে এক লাখ টাকা পাবেন। সেই পাওনা টাকা নিয়ে তাদের মধ্যে শত্রæতা। কিন্তু তারা আমার ট্রলারে হামলা চালিয়ে ট্রলার ভাঙচুর ও জেলেদের মাধর করেছে। মাছ বিক্রি করা সমস্ত টাকা নিয়ে গেছে এবং লুটপাট চালিয়েছে। এতে আমার তিন লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। এঘটনায় থানায় মামলা করা হবে।
এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অভিযুক্ত বাবুল হাওলাদার মোবাইল নেটওয়ার্কের বাইরে দুর্গম সুন্দরবনে অবস্থান করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
শরণখোলা থানার দায়িত্বপালনকারী কর্মকর্তা (ডিউটি অফিসার) এ এস আই ইন্দ্রজিৎ জানান, ট্রলার মালিক সোহেল হাওলাদার এব্যাপারে মৌখিকভাবে জানিয়েছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।